বিশ্বনাথে প্রেমিকার ছবি নিতে এসে জনতার হাতে প্রেমিকসহ আটক ২
প্রকাশিত হয়েছে : ৬:০৭:৫৪,অপরাহ্ন ২৪ জুন ২০১৫
নিউজ ডেস্ক :: বিশ্বনাথে প্রেমিকার ছবি নিতে এসে প্রেমিকসহ ২জনকে আটক করে পুলিশ দিয়েছেন জনতা। ঘটনাটি মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার রামপাশা ইউনিয়নের কাদিপুর শাহজালাল পল্লী পরিষদ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ঘটেছে। আটককৃতরা হলো- উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নের শেখেরগাঁও গ্রামের মৃত আব্দুল জলিলের ছেলে অটোরিক্সা চালক আরিফ মিয়া (২২) ও একই গ্রামের কাওছার আহমদ কাচা মিয়ার ছেলে দিলোয়ার হোসেন (২০)। এসময় তাদের সাথে থাকা অটোরিক্সাটি (সিলেট-থ ১১-৭৭২৯) স্থানীয় জনতা ভাংচুর করেন।
এদিকে, প্রেমিকার বোনের মেয়ের (স্কুল ছাত্রী) কাছ থেকে প্রেমিকার ছবি নিতে এসে জনতার হাতে আটক হয়েছে এমনটাই প্রেমিক বললেও স্কুল কর্তৃপক্ষের দাবি, ছাত্রীকে অপহরণের চেষ্টায় তাদের আটক করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পালেরচক গ্রামের আখলিমা বেগম নামের একটি মেয়ের সাথে আটক আরিফ মিয়ার প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে। সেই সুবাদে আখলিমা নিজের ছবি তার বড় বোনের মেয়ে ও স্কুলের ৫ম শ্রেণীর ছাত্রী সিমা বেগমের মাধ্যমে ছবি প্রেমিকের কাছে দিতে সম্মত হওয়ায়। প্রেমিক আরিফ মঙ্গলবার দুপুরে তার সহযোগী দিলোয়ারকে সাথে নিয়ে কাদিপুর শাহজালাল পল্লী পরিষদ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আসে। এরপর আরিফ স্কুলে প্রবেশ করে সিমাকে খুঁজতে থাকলে বিদ্যালয়ের শিক্ষিকাদের সন্ধেহ হয়। এসময় শিক্ষিকারা স্থানীয় লোকদেরকে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে বিষয়টি অবগত করলে লোকজন বিদ্যালয়ে জমায়েত হতে থাকেন। একপর্যায়ে অপহরণকারী সন্ধেহে উপস্থিত জনতা আরিফ ও দিলোয়ারকে আটক করে থানা পুলিশে খবর দেন এবং আরিফের সাথে থাকা তার অটোরিক্সাটি ভাংচুর করেন। খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে আটককৃতদের থানায় নিয়ে আসে।
এব্যাপারে, শাহজালাল পল্লী পরিষদ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষিকা বাহারা বেগম, আটককৃতরা ইতিপূর্বে আরো ২দিন বিদ্যালয়ে এসে ফাইমা ও ছালমা নামের দুটি ছাত্রীর সন্ধ্যান করেছিল। এরপর মঙ্গলবার দুপুরে আবারো তারা বিদ্যালযে এসে তার (্শিক্ষিকার) মেয়ে ৫ম শ্রেণীর ছাত্রী সিমা’র খোঁজ করে এবং সিমা বলে তার মামা দেখা করতে চান। এসময় সিমা প্রধান শিক্ষিকাকে বলে বিদ্যালয়ের বাহিরে বের হয়ে দেখতে পায় ঐ লোকটি তার মামা নয়। এসময় সিমাকে তারা (আটককৃতরা) জোর করে গাড়ি উঠাতে চাইলে সিমা দৌড়ে বিদ্যালয়ে প্রবেশ করে এবং বিষয়টি প্রধান শিক্ষিকাকে জানালে তিনি তাদেরকে (আটককৃতদের) অফিস রোমে ডেকে নেন। এরপর স্থানীয় লোকজন এসে তাদেরকে পুলিশে তুলে দিয়েছে। তার ছোট বোনের সাথে আটকৃত আরিফের প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে কিনা জানতে চাইলে স্কুল শিক্ষিকা বাহারা বলেন, একসময় আরিফ আমার বোনের সাথে সম্পর্ক করা চেষ্টা করে সে ব্যর্থ হয়। এরপর আমি আমার বোনকে আমার বাড়িতে (কাদিপুর) নিয়ে আসি। এরই জের ধরে আরিফ আমার মেয়েকে অপহরণের চেষ্টা করেছে।
এদিকে, আটক আরিফ মিয়া সাংবাদিকদের জানায়, স্কুল শিক্ষিকা বাহারা বেগমের ছোট বোন আখলিমার সাথে তার প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে। আখলিমা তার বোনের মেয়ে সিমার মাধ্যমে তার (আখলিমা) ছবি আরিফের কাছে দেওয়া কথা থাকায় সেই ছবি আনতে সে (আরিফ) স্কুলে গিয়েছিল।
বিশ্বনাথ থানার এসআই তোফাজ্জুল বলেন, স্কুল ছাত্রীকে অপহরণের চেষ্টার অভিযোগে আরিফ ও তার সহযোগী দিলোয়ারকে আটক পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছেন স্থানীয় লোকজন। এঘটনায় এখনো কোন মামলা হয়নি। তবে আটককৃতদেরকে বুধবার ৫৪ ধারায় আদালতে প্রেরণ করা হবে বলে তিনি জানান।