বিশ্বনাথে পুলিশের কাছ থেকে ডাকাত ছিনতাই
প্রকাশিত হয়েছে : ৮:৪১:০৮,অপরাহ্ন ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৫
নিউজ ডেস্ক :: বিশ্বনাথের মুফতিরবাজার থেকে পুলিশের ওপর হামলা করে সোমবার রাতে ডাকাত সর্দার আপ্তাব উদ্দিনকে ছিনিয়ে নিয়ে গেছে গ্রামবাসী। ডাকাত সর্দার আপ্তাব উদ্দিনের পক্ষ নিয়ে মীরপুর গ্রামবাসী বিশ্বনাথ উপজেলার খাজাঞ্চী ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার ফজলু মিয়া ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা ও ভাংচুর করেছে।
বিশ্বনাথ ও সদর উপজেলার তিন গ্রামবাসীর হামলা-পাল্টা হামলার ঘটনায় কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছেন। আহতরা হলেন বিশ্বনাথ উপজেলার তবলপুর গ্রামের আসক আলী, আবদুল আহাদ, মানিক মিয়া, আমির উদ্দিন, আসদ আলী, হাসিম উদ্দিন, হোসেনপুর গ্রামের ফয়ছল আহমদ প্রমুখ।
এ ঘটনায় বিশ্বনাথ উপজেলার তবলপুর-হোসেনপুর ও সদর উপজেলার মীরপুর গ্রামবাসীর মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। যেকোন সময় উভয় পক্ষ আবারও সংঘর্ষে লিপ্ত হতে পারে বলেও আশংঙ্কা করছেন এলাকাবাসী।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বিশ্বনাথ উপজেলা সীমান্তবর্তী গ্রাম সদর উপজেলার মিরপুর গ্রামের কুখ্যাত ডাকাত ও সিলেটের বিভিন্ন থানার ডাকাতি মামলার পলাতক আসামী আপ্তাব উদ্দিনকে গ্রেফতার করতে সোমবার সন্ধ্যায় বিশ্বনাথের মুফতির বাজারে অভিযান চালায় পুলিশ। থানা পুলিশের একটি দল ডাকাত আপ্তাব উদ্দিনকে গ্রেফতার করে। এ সময় মীরপুর গ্রামবাসী জড়ো হয়ে দেশীয় অস্ত্র হাতে পুলিশের ওপর হামলা করে আটক ডাকাত সর্দার আপ্তাব উদ্দিনকে ছিনিয়ে নেয়। মীরপুর গ্রামবাসীর কবল থেকে পুলিশকে রক্ষা করতে বিশ্বনাথ উপজেলার তবলপুর ও হোসেনপুর গ্রামের লোকজন এগিয়ে গেলে তাঁদের (মীরপুর) হামলায় আহত হন কমপক্ষে ১০ জন।
দোকান ভাঙচুরের সত্যতা স্বীকার করে ফজলু মিয়া মেম্বার বলেন, পুলিশ আপ্তাব উদ্দিনসহ আরো দুজনকে গ্রেফতার করে আমার দোকানে নিয়ে অবস্থান নেন। এ সময় মীরপুর গ্রামের লোকজন আমার দোকান ভাঙচুর করে পুলিশের কাছ থেকে আপ্তাব উদ্দিনকে ছিনিয়ে নিয়ে যান।
এ ব্যাপারে বিশ্বনাথ থানার ওসি রফিকুল হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, আপ্তাব উদ্দিন একজন ডাকাত সর্দার। তাকে গ্রেফতারের জন্য আজ (সোমবার) সন্ধ্যায় অভিযান চালায় পুলিশ। এ সময় সন্দেহজনক ৩ জনকে আটকের পর ডাকাত আপ্তাব উদ্দিনকে সনাক্তের সময় সদর ও বিশ্বনাথ উপজেলার লোকজনের মধ্যে মারামারি হয়। এক পর্যায়ে আটককৃতরা পালিয়ে যায়।