বিশ্বকাপে রুবেল, ক্ষুব্ধ হ্যাপি
প্রকাশিত হয়েছে : ১২:২৩:৪৫,অপরাহ্ন ০৪ জানুয়ারি ২০১৫
স্পোর্টস ডেস্ক :: জাতীয় ক্রিকেট দলের পেসার রুবেল হোসেন বিশ্বকাপে চান্স পাওযায় ক্ষুব্ধ হয়েছেন চিত্র নায়িকা নাজনীন আক্তার হ্যাপি।
রবিবার দুপুরে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি নাজমুল হাসান বিশ্বকাপ ক্রিকেট খেলায় বাংলাদেশের ১৫ সদস্যের দল ঘোষণা করেন। এই দলে আছেন রুবেল হোসেনও।
এ সম্পর্কে জানতে চাইলে হ্যাপি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, একজন মাতালের চরিত্র সম্পর্কে সবাই জানে। তারপরও কিভাবে এমন লোক গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পায়, তা বোধগম্য নয়।
রবিবার বিকালে চিত্র নায়িকা নাজনীন আক্তার হ্যাপী বলেন, ‘‘রুবেলের বিশ্বকাপ ক্রিকেট খেলার সুযোগ পাওয়ার ব্যাপারে আমি কিছু বলতে চাই না। বিসিবির সভাপতি আগে বলেছিলেন, রুবেল যদি দোষী প্রমাণিত হয় তবে সে ছাড় পাবে না। কিন্তু এখনো পর্যন্ত তো এটা প্রমান হয়নি যে রুবেল নির্দোষ। তাহলে সে কিভাবে বিসিবি থেকে সাপোর্ট পেলো।’’
সংবাদ সম্মেলনে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনকে এক সাংবাদিক প্রশ্ন করেন- রুবেল যদি দোষী প্রমাণিত হয় তাহলে কি করবেন? তখন সাংবাদিকের প্রশ্নের উত্তরে বিসিবি সভাপতি পাপন বলেন, ‘দোষী প্রমাণ হলে দেখা যাবে।’ বিসিবি সভাপতির এমন ভূমিকার সমালোচনা করে হ্যাপী বলেন, ‘বিসিবি সভাপতি কি ব্যবস্থা নেবেন? রুবেলের চরিত্র সম্পর্কে আপনারা জানেন। সে একজন মাতাল। আমাদের সম্পর্কের ব্যাপারে ক্রিকেট অঙ্গনেও সবাই জানেন। তাহলে কিভাবে রুবেল বিশ্বকাপে চান্স পায়।’
রুবেল বিশ্বকাপ ক্রিকেটে চান্স পাওয়ায় আপনি আইনগত কোন ব্যবস্থা নেবেন কি না এমন প্রশ্নের জবাবে হ্যাপী বলেন, ‘আমি আইনি বিষয়ে তেমন কিছু বলতে চাই না। আমার আইনজীবী এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবেন।’
এদিকে গত ২৮ ডিসেম্বর রুবেলের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে চিত্র নায়িকা নাজনীন আক্তার হ্যাপি মামলা করেন। মামলার তদন্তভার মহিলা সাপোর্ট ও তদন্ত বিভাগের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
৩১ ডিসেম্বর চিত্র নায়িকা নাজনীন আক্তার হ্যাপির দায়ের করা ধর্ষণ মামলায় মো. রুবেল হোসেন ও নাজনীন আক্তার হ্যাপির পোশাকের ডিএনএ টেস্টের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। বুধবার দুপুরে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এসআই) মাসুদ পারভেজের এক আবেদনের প্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর ম্যাজিস্ট্রেট মো. মোস্তাফিজুর রহমান এ আদেশ দেন। তবে ওই আদেশও এখনো পর্যন্ত হাতে পায়নি মামলার বর্তমান তদন্তকারী কর্মকর্তা।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা (এসআই) মাসুদ পারভেজ বলেন, মামলাটি তদন্ত করবে মহিলা সাপোর্ট তদন্ত বিভাগ। পুলিশ সদর দপ্তর থেকে এ সংক্রান্ত একটি আদেশ দেওয়া হয়েছে। তাই উদ্ধারকৃত মামলার আলামত হিসেবে হ্যাপির নাইটি, রুবেলের জার্সি ও হ্যাপির বাসার পাপোস এখনো পর্যন্ত সিআইডি পুলিশের ডিএনএ টেস্টের ল্যাবে পাঠনো সম্ভব হয়নি। তবে আজ কালের মধ্যে মামলার নথিপত্র মহিলা সাপোর্ট তদন্ত বিভাগের হাতে তুলে দেওয়া হবে।
গত ১৩ ডিসেম্বর শনিবার বিকাল সাড়ে ৪ টায় বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ এনে মিরপুর মডেল থানায় নিজেই হাজির হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলাটি দায়ের করেন হ্যাপি। ওইদিন রাতেই তাকে নেওয়া হয় রাজধানীর তেজগাঁওয়ের মহিলা ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে। পরের দিন রবিবার সকালে পুলিশি প্রহারায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগে হ্যাপির শারীরিক পরীক্ষাও সম্পন্ন করা হয়।