বিশেষ নির্দেশনা এলো পুলিশের কাছে
প্রকাশিত হয়েছে : ১২:৪৭:১৮,অপরাহ্ন ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৫
নিউজ ডেস্ক::
বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের চলমান হরতাল-অবরোধ কর্মসূচীতে নাশকতা ঠেকাতে রাজধানীসহ দেশজুড়েই চলছে গ্রেপ্তার অভিযান। চলমান এ অভিযানের অংশ হিসেবে কাউকে গ্রেপ্তারের আগে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ৯টি নির্দেশনা মেনে চলার পরামর্শ দেয়া হয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপির) পক্ষ থেকে ।
শুক্রবার রাজধানীর বেশ কয়েকটি থানায় কথা বলে নির্দেশনার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে। রমনা থানার ডিউটি অফিসার সাইফুল ইসলাম জানান, গত রাতেই (বৃহস্পতিবার) তারা ডিএমপির পক্ষ থেকে ৯টি নির্দেশনা পেয়েছেন। যেখানে বলা হয়েছে, গ্রেপ্তারের পূর্বে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তি সত্যিকার অর্থে অপরাধী, নাকি কেউ তাকে ধরিয়ে দিচ্ছে। তাছাড়া রেজিস্টারভুক্ত ছাড়া কোন ব্যক্তিকে থানায় রাখা যাবে না। বিষয়টি প্রতি রাতে প্রত্যেক থানা ডিসি, এডিসি ও এসিদের নিশ্চিত করতে হবে। পাশাপাশি ডিবি পুলিশ কাউকে গ্রেপ্তার করলে তাৎক্ষণিকভাবে তা ডিবি যুগ্ম-কমিশনারকে অবহিত করতে হবে। এ ব্যতিত কোনভাবে ডিবি কার্যালয়ের অন্তরীণে কারো অবস্থান কাম্য নয়।
নির্দেশনায় মাঠ পর্যায়ের পুলিশ সদস্যদের নির্দেশ দেয়া হয়, কোনো নিরপরাধ ব্যক্তি যাতে হয়রানিমূলক গ্রেপ্তার না হন সে বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখতে হবে। আসল অপরাধীরা যাতে ছাড়া না পান তার নিশ্চয়তা বিধানও করতে হবে।
নির্দেশনায় আরো বলা হয়, ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের কোনো দল কোনো ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করার সঙ্গে সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ডিসিকে জানাতে হবে। ডিসি বিষয়টি অবহিত করবেন অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি অ্যান্ড প্রসিকিউশন) ও যুগ্ম-কমিশনারকে (ডিবি)। বেআইনিভাবে কোনো ব্যক্তিকে যাতে ডিবি কার্যালয়ে অন্তরীণ করা না হয় তা অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি অ্যান্ড প্রসিকিউশন), যুগ্ম-কমিশনার (ডিবি) ও সংশ্লিষ্ট সব ডিসি নিশ্চিত করবেন। পুলিশের ভাবমূর্তি ও সরকারের সুনাম রক্ষা করতে হবে। চলমান সন্ত্রাসী ও নাশকতা দমন অভিযান প্রশ্নবিদ্ধ হয় এমন কোনো কর্মকাণ্ডে কেউ জড়ালে বিভাগীয় কঠোর শাস্তি ও ক্ষেত্র বিশেষে ফৌজদারি আইনের আওতায় নেয়া হবে। এমনকি যুগ্ম-কমিশনার এবং তার চেয়ে উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তারা নিজ নিজ অধীনস্থ ইউনিটে আকস্মিক পরিদর্শন করবেন। কোনো নিরপরাধ ব্যক্তি হয়রানিমূলক গ্রেপ্তারের শিকার হচ্ছেন কি না তা তদারকি করবেন।
পুলিশের প্রতি নির্দেশনায় বলা হয়েছে, নিরপরাধ কোনো ব্যক্তি যাতে হয়রানিমূলক গ্রেপ্তার হয়ে থানায় সোপর্দ না হন এ বিষয়টি সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে খতিয়ে দেখা জরুরি। ব্লক রেইড বা নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডে সংশ্লিষ্ট ঘটনাস্থল থেকে কোনো ব্যক্তিকে আটকের পর স্থানীয় ডিসি, এডিসি ও এসি যাচাই করে নিরপরাধ ব্যক্তিকে হয়রানি না করার বিষয়টি নিশ্চিত করবেন। অন্যায়ভাবে বা কারো মাধ্যমে প্ররোচিত হয়ে কোনো নিরপরাধ ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা যাবে না। প্রতিদিন থানা জিডি ও হাজত রেজিস্ট্রার পর্যালোচনা করে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের থানায় নেয়ার পর সঠিকভাবে রেজিস্ট্রারভুক্ত হয়েছে কি না তা পর্যবেক্ষণ করবেন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। জিডি ও হাজত রেজিস্ট্রার ছাড়া যাতে গ্রেপ্তার হওয়া কোনো ব্যক্তি থানা-হাজত কিংবা অন্য কোনো কক্ষে অবস্থান না করে সে ব্যাপারটি ডিসি, এডিসি ও এসিকে জানাতে হবে। সংশ্লিষ্ট বিভাগের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা বিষয়টি নিয়মিত তদারকি করবেন। তবে নির্দেশনার প্রসঙ্গে জানতে চাইলে রমনা থানার এসআই মোকাম্মেল বলেন, ‘এ ধরনের কোনো নির্দেশনা আমরা পায়নি।’শাহবাগ থানার এসআই শামীম বলেন, ‘এ ধরনের নির্দেশনাতো আগেই দেয়া ছিল। তবে নতুন করে কোনো নির্দেশনা দেয়া হয়েছে কি না, তা আমার জানা নেই।’