বিমান বাহিনীতে যুক্ত হলো ট্রেইনার বিমান জেট ‘কে-৮ ডব্লিউ’
প্রকাশিত হয়েছে : ৯:১২:০৯,অপরাহ্ন ১০ ডিসেম্বর ২০১৪
নিউজ ডেস্ক::
যুদ্ধ বৈমানিক প্রশিক্ষণে বিমান বাহিনীতে যুক্ত হয়েছে ডিজিটাল ককপিট বিশিষ্ট অত্যাধুনিক জেট ট্রেইনার কে-এইট ডব্লিউ। এটির অন্তর্ভুক্তির মাধ্যমে যুদ্ধ বৈমানিক প্রশিক্ষণে বাংলাদেশের সক্ষমতা বিশ্বমানে নিয়ে যাবে। একইসঙ্গে প্রশিক্ষণকে করবে আরো নিরাপদ ও দ্রুততর। এটি ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৮০০ কিলোমিটার গতিতে ছুটতে পারে।
বুধবার সকালে কুর্মিটোলায় বিমান ঘাঁটি বঙ্গবন্ধুতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশ বিমান বাহিনীতে এ প্রশিক্ষণ উড়োজাহাজটির অর্ন্তভুক্তির আদেশনামা প্রদান করেন। বিশ্বের বিভিন্ন পরাশক্তি তাদের যুদ্ধ বৈমানিক প্রশিক্ষণে এ বিমানটি ব্যবহার করে।
বাংলাদেশে এই প্রথম কোন জেট ট্রেইনার উড়োজাহাজ ১ হাজার ৪০০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে চীন থেকে মিয়ানমার হয়ে বাংলাদেশে এসেছে। মাত্র ১০ ঘণ্টার স্বল্প মেয়াদী প্রশিক্ষণ নিয়ে বিমান বাহিনীর বৈমানিকেরা অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে কাজটি সম্পন্ন করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাদের আন্তরিক অভিনন্দন জানায়।
কে-এইট ডব্লিউ প্রশিক্ষণ বিমানটির অর্ন্তভুক্তির উপলক্ষে মনোজ্ঞ কুচকাওয়াজের আয়োজন করা হয়। কুচকাওয়াজের অধিনায়কত্ব করেন উইং কমান্ডার মো. শরিফ মোস্তফা।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী বিমান বাহিনী ঘাঁটি বঙ্গবন্ধুতে পৌঁছালে বিমানবাহিনী প্রধান এয়ার মার্শাল মোহাম্মদ ইনামুল বারী এবং ঘাঁটি বঙ্গবন্ধুর এয়ার অধিনায়ক এয়ার কমডোর এম ওবায়দুর রহমান তাঁকে স্বাগত জানান। বিমানটির অর্ন্তভুক্তির আদেশনামা হস্তান্তরের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিমান বাহিনীকে আরো আধুনিক সুদৃঢ় ও শক্তিশালী বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
অচিরেই বিমান বাহিনীর বহরে নতুন Mi-171 (এম আই-ওয়ান সেভেন ওয়ান) হেলিকপ্টার, PT-6 বিমান, LET-410 বিমান, AW-139 হেলিকপ্টার এবং YAK-130 (ইয়াক-ওয়ান থ্রি জিরো) বিমান যুক্ত করা হবে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী।