বিমান ছিনতাইকারীর এক্সক্লুসিভ ছবি প্রকাশ!
প্রকাশিত হয়েছে : ১১:২৬:৩৪,অপরাহ্ন ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৯
নিউজ ডেস্ক:: বাংলাদেশ বিমানের উড়োজাহাজ ছিনতাইয়ের চেষ্টা করা সেই অস্ত্রধারী মাহাদী (২৬) গুলিতে নিহত হয়েছেন।বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর স্পেশাল ফোর্স ও নৌ কমান্ড দলের অপারেশনে তিনি নিহত হয়েছেন।
তবে টিকিটে তার নাম মো. মাজিদুল বলে জানা গেছে। তবে তার সর্ম্পকে বিস্তারিত কিছু জানা যায়ানি। ইতিমধ্যে তার ছবি প্রকাশ করা হয়েছে।মৃত্যুর পর শাহ আমানত বিমানবন্দরের রানওয়েতে তার মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়।
আজ রবিবার (২৪ ফেব্রুয়ারী) রাত পৌনে নয়টায় সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে ব্রিফিংয়ে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। এতে বিমানবন্দরে বিমান ছিনতাইয়ের চেষ্টা নাটকের অবসান হয়েছে।
ব্রিফিংয়ে সেনা বাহিনীর চট্টগ্রাম জোনের জিওসি মেজর জেনারেল মতিউর রহমান বলেন, ‘অত্যন্ত দুঃখজনকভাবে একটা বিমান ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছিলো। এই ছিনতাই নাটকের অবসান হয়েছে সফলভাবে। বিকাল পাঁচটা ৩৩ মিনিটে আমাদের এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের মাধ্যমে বিমানবাহিনী জানতে পারে যে, বিমানটি হাইজ্যাক হয়েছে। ককপিট থেকে আমাদের পাইলট এটি জানান। বিমানটি পাঁচটা ৪১ মিনিটে এখানে অবতরণ করে। এরপর এখানে নিয়োজিত বিমান বাহিনী এবং অন্যান্য নিরাপত্তাবাহিনীর সমন্বয়ে ইমার্জেন্সি পদক্ষেপ নেয়া হয়।’
মেজর জেনারেল মতিউর রহমান আরও বলেন, প্রথমে ওই যুবককে আত্মসমার্পণের আহ্বান জানায় কমান্ডো বাহিনী। এতে সে সাড়া দেয়নি। বরং সে আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠে। এরপর স্বাভাবিকভাবেই অ্যাকশনে যায় কমান্ডোরা। এতে সে প্রথমে আহত হয় এবং পরে তার মৃত্যু হয়।
এ সময় উড়োজাহাজ ছিনতাইকারির পরিচয় হিসেবে মেজর জেনারেল মতিউর রহমান জানান, নিহত অস্ত্রধারীর নাম মাহাদী বলে জানা যায়। তার বয়স আনুমানিক ২৫/২৬ বছর। এই ছিনতাইয়ের ঘটনায় কোন যাত্রী হতাহত হননি বলেও জানান তিনি। তবে টিকিটে তার নাম মো. মাজিদুল বলে জানা গেছে। তবে তার সর্ম্পকে বিস্তারিত কিছু জানা যায়ানি।
এর আাগে রোববার বিকালে দুবাইয়ের উদ্দেশে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বাংলাদেশ বিমানের একটি উড়োজাহাজ উড্ডয়ন করে। উড্ডয়নের কিছুক্ষণ পরই ছিনতাইয়ের কবলে পড়ে বিমানটি।
বিমানের চট্টগ্রামগামী ফ্লাইটটি যখন মাঝ আকাশে, তখন এক ব্যক্তি পাইলটকে অস্ত্র ঠেকিয়ে উড়োজাহাজটি জিম্মি করেন। অবস্থা বেগতিক দেখে চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিমানের জরুরি অবতরণ করা হয়। জরুরি অবতরণের পরপরই রানওয়েতে বিমানটি ঘিরে ফেলে সেনাবাহিনী, র্যাব ও পুলিশ।
পরে সব যাত্রীকে নিরাপদে নামিয়ে আনা হলেও একজন ক্রুকে ওই ছিনতাইকারী জিম্মি করে রাখে বলে সূত্রের খবর।পরে বিমানবন্দরে যায় সোয়াত টিম ও বোম ডিসপোজাল ইউনিট। ঘটনাস্থলে ছুটে যায় ফায়ার সার্ভিসও।
ঘটনাস্থল থেকে একাধিক সূত্র জানায়, বিমানের বিজি-১৪৭ নম্বর ফ্লাইটটি চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা হয়ে দুবাই যাওয়ার কথা। কিন্তু উড্ডয়নের পরপরই এ ঘটনা ঘটে।এরপরই দ্রুত ফ্লাইটের সব যাত্রীকে নামিয়ে দেয়া হয়। বিমানটি রানওয়েতে অবস্থান করে এবং সেটি ঘিরে ফেলেন সেনাবাহিনী, পুলিশ, র্যাবসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।
বিমানবন্দরের একাধিক সূত্র জানায়, যাত্রীদের নামিয়ে আনলেও সাগর নামে একজন ক্রু ও ছিনতাইকারী প্লেনের ভেতরে অবস্থান নেন।বিমানটি রোববার বিকাল ৫টা ৪০ মিনিটের দিকে জরুরি অবতরণ করা হয়। তাৎক্ষণিক সেখানে বিমান ওঠানামা বন্ধ করা হয় বলে জানান বিমানবন্দরের এক কর্মকর্তা মোহাম্মদ উল্লাহ।