বিভাগ হচ্ছে ময়মনসিংহ
প্রকাশিত হয়েছে : ১০:৪৪:২৮,অপরাহ্ন ১৩ জানুয়ারি ২০১৫
নিউজ ডেস্ক :: বিভাগ হচ্ছে ময়মনসিংহ। মন্ত্রিসভা বৈঠকে এ বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সোমবার সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সভাকক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার সাপ্তাহিক বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী এ সিদ্ধান্ত দেন বলে বৈঠক সূত্রে জানা গেছে।
এছাড়া মন্ত্রিসভা বৈদেশিক মুদ্রা নিয়ন্ত্রণ (সংশোধন) আইন-২০১৫ এর খসড়া নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে বলে জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ মোশাররাফ হোসাইন ভূইঞা।
বৈঠকে উপস্থিত একাধিক সিনিয়র মন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বৈঠকে অনানুষ্ঠানিক আলোচনায় ময়মনসিংহ সদরের সংসদ সদস্য ও ধর্মমন্ত্রী অধ্যক্ষ মতিউর রহমান ময়মনসিংহকে বিভাগ করার প্রস্তাব উত্থাপন করেন। এ প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী তাৎক্ষণিক ময়মনসিংহকে বিভাগ করার বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে মন্ত্রিসভার একজন সিনিয়র সদস্য বলেন, অধ্যক্ষ মতিউর রহমান বিভাগ করার প্রসঙ্গটি উত্থাপন করলে তাতে আপত্তি জানান শ্রমবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক চুন্নু।
তিনি বলেন, ময়মনসিংহকে বিভাগ করা হলে তার নিজ জেলা কিশোরগঞ্জ এর সঙ্গে যুক্ত হবে না। এ সময় স্থানীয় সরকার মন্ত্রী কিশোরগঞ্জ থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম কোনো কথা বলেননি।
একটি সূত্র জানায়, ময়মনসিংহ, জামালপুর, শেরপুর, নেত্রকোনা এবং কিশোরগঞ্জ জেলা নিয়ে এ বিভাগ গঠিত হবে। এর বাইরে টাঙ্গাইল জেলাও অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে।
এদিকে নাম প্রকাশ না করার শর্তে মন্ত্রিসভার অপর একজন সদস্য বলেন, ধর্মমন্ত্রী অধ্যক্ষ মতিউর রহমান ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের নাম পরিবর্তন করে ড. ওয়াজেদ মিয়ার নামানুসারে রাখার প্রস্তাব করেন।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ধর্মমন্ত্রীর কাছে জানতে চান, কেন ওয়াজেদ মিয়ার নামে মেডিকেল কলেজের নামকরণ করতে হবে? এই কলেজটিতে ওয়াজেদ মিয়ার অবদান কি?
মন্ত্রিসভার একাধিক সদস্য জানান, বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছিলেন বেশ উৎফুল্ল এবং হাসিখুশি। তাকে হরতাল-অবরোধ নিয়ে মোটেই চিন্তিত মনে হয়নি।
বৈঠক সূত্র জানায়, এসব সমস্যা দ্রুতই কেটে যাবে বলে মনে করেন প্রধানমন্ত্রী। গতকাল মন্ত্রিসভা বৈঠকে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার অতীত নিয়ে একাধিক সদস্য বিচ্ছিন্ন আলোচনা করেন। তবে এসব আলোচনায় প্রধানমন্ত্রী অংশ নেননি।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, বৈঠকে বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ার অফিসিয়াল পাসপোর্টধারীদের দুই দেশে যাতায়াতের ক্ষেত্রে ভিসা লাগবে না। ভিসা ছাড়াই তারা ৩০ দিন থাকতে পারবেন। প্রয়োজনে ভিসার মেয়াদ বাড়ানো যাবে। এ সংক্রান্ত একটি চুক্তি অনুসমর্থনের প্রস্তাব অনুমোদন করেছে মন্ত্রিসভা।