বিবাহ বিচ্ছেদের পর যে ১৫টি কাজ আপনাকে ভালো রাখবে
প্রকাশিত হয়েছে : ১১:১৯:০৪,অপরাহ্ন ১৬ নভেম্বর ২০১৪
লাইফ স্টাইল ডেস্ক::
কেউই চান না যে তার বিবাহ বিচ্ছেদ হোক। কিন্তু জীবনে এই ভয়ংকরতম অধ্যায়টি আসে এবং সত্যি বলতে কি, আজীবনের জন্য একটা ছাপ রেখে যায় জীবনে। জন্ম ও মৃত্যুর পর মানব জীবনের সবচাইতে বড় ঘটনা হচ্ছে বিয়ে। স্বভাবতই বিবাহ বিচ্ছেদ বা ডিভোর্সটাও সেই অর্থে খুব গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয়। আমাদের আজকের ফিচার যারা বিবাহবিচ্ছেদের মাঝ দিয়ে গিয়েছেন বা যাবেন তাঁদের জন্য। জেনে নিন ডিভোর্সের পর যে ব্যাপারগুলো আপনাকে স্বস্তি দেবে ও কষ্ট কম করবে, এমন কিছু কাজের তালিকা।
১) হ্যাঁ, আপনি আঘাত পেয়েছেন। খুব আঘাত পেয়েছেন। ডিভোর্স যার তরফ থেকেই দেয়া হোক না কেন, ব্যথা আসলে দুজনেই পান। সবার আগে এটাই মেনে নিন যে এই ব্যথা আপনাকে সহ্য করতেই হবে। হ্যাঁ, আপনি ভেঙে গুঁড়ো গুঁড়ো হয়ে যাবেন আর এতে দোষের কিছু নেই। কষ্টকে মেনে নিন। একবার মেনে নিতে পারলে আস্তে আস্তে কষ্ট কম হওয়া শুরু হবে।
২) কেন হলো, কীভাবে হলো, কার দোষ ছিল ইত্যাদি বারবার নিজের মনের মাঝে ভাবা বাদ দিন। কেননা যত এটা নিয়ে ভাবতে থাকবেন, আপনার কষ্ট তত বাড়বে।
৩) জীবন প্রতিনিয়ত বদলায় আর ডিভোর্সের পর জীবনে আসে সবচাইতে বড় মাপের পরিবর্তন। ভালোবাসা থাকুক বা না থাকুক, একজন মানুষের সাথে কিছুদিন বসবাস করার পর একটা নির্ভরশীলতা জন্মে যাওয়াটা খুবই স্বাভাবিক। এই নির্ভরশীলতাকে ভালোবাসা ভেবে ভুল করবেন না। পরিবর্তনকে মেনে নেয়ার চেষ্টা করুন। অসহায় ভাব কমে যাবে।
৪) আপনি নারী হয়ে থাকলে বিয়ের পর নিশ্চয়ই বদলে ফেলেছিলেন নিজের নাম? তাহলে এখন আবার নিজের পুরনো নামে ফিরে আসুন। ভোটার আইডি কার্ড থেকে শুরু করে ফ্ল্যাটের নেম প্লেট পর্যন্ত, সর্বত্র নিজের পুরনো নামটা ব্যবহার করুন। দেখবেন একটি অজানা আত্মবিশ্বাস ফিরে পাবেন।
৫) কাঁদুন মন খুলে । কষ্ট হলে কান্না আসবেই, সেটা চেপে রাখবেন না।
৬) নিজেকে ঘরের কোণে আটকে রাখবেন না লোকের প্রশ্নের ভয়ে। এতে আরও হতাশায় ভুগতে শুরু করবেন। সামাজিকতা বাড়ান, আপন জনদের সাথে মেলামেশা করুন। একা একা ঘরে বসে থাকার চিন্তা বাদ দিন।
৭) কারো প্রশ্নকে ভয় পাবেন না। যে যা প্রশ্ন করে সততার সাথে জবাব দিন। একটা জিনিস মনে রাখবেন, ডিভোর্সের ব্যাপারটা চিরকাল লুকিয়ে রাখতে পারবেন না আপনি। তাই অযথা চাপা দেয়ার চেষ্টা করবেন না।
৮) প্রাক্তন স্বামী বা স্ত্রী আপনাকে নিয়ে কী ভাবছে না ভাবছে, এটা ভাবা ত্যাগ করুন। হ্যাঁ, হয়তো তালাকটি আপনার তরফ থেকেই হয়েছে আর প্রাক্তন স্বামী বা স্ত্রী আপনাকে খুবই খারাপ একজন মানুষ ভাবছে। কিন্তু তাতে কী? এসব ভেবে নিজেকে দুর্বল করবেন না।
৯) প্রাক্তন স্বামী/স্ত্রী এবং প্রাক্তন শ্বশুরবাড়ির মানুষদের সাথে দেখা সাক্ষাত ও অন্যান্য যোগাযোগ করা বন্ধ করুন। এমনকি ফেসবুকেও না। এতে কষ্ট বাড়বে।
১০) কিছুদিনের জন্য বেড়াতে যান দূরে কোথাও। সন্তান থাকলে তাঁদেরকে সাথে নিয়ে যান। এটা সবার জন্যই ভালো।
১১) কী হতে পারত আর কী হলো, আপনার সাথেই এমন হলো কেন এসব বিষয় ভাবা বাদ দিন। যা হবার তা হয়ে গেছে। এসব ভাবনা এখন শুধু কষ্টই বাড়াবে এর বেশি কিছু নয়।
১২) প্রাক্তন স্বামী বা স্ত্রী হয়তো অচিরেই আবার বিয়ে করবেন বা প্রেম করবেন। সুতরাং এই বিষয়টির জন্য মনে মনে প্রস্তুতি নিতে শুরু করুন।
১৩) একদিন আপনিও আবার বিয়ে করে সংসারী হতে পারেন, এই ভাবনাটা একেবারেই উড়িয়ে দেবেন না। তবে ডিভোর্সের সাথে সাথেই প্রেম বা ডেটিং শুরু করতে যাবেন না। সময় নিন।
১৪) কিছুদিনের জন্য নিজের সম্পর্ক মনযোগ ক্যারিয়ারের দিকে দিন। যদি ক্যারিয়ার না থাকে, তবে নিজের জন্য একটি পেশা খুঁজে নিতে চেষ্টা করুন।
১৫) এবং অতি অবশ্যই নিজের সৌন্দর্য ও স্বাস্থ্যের যত্ন নিন। যখন শরীর ভালো লাগবে ও আপনাকে দেখতে সুন্দর লাগবে, তখন মনটাও অনেকটা হতাশা মুক্ত মনে হবে।