‘বিদেশী বিনিয়োগে এখনও অনেক বাধা রয়েছে’
প্রকাশিত হয়েছে : ৫:৪৪:২৮,অপরাহ্ন ০৯ জুন ২০১৫
নিউজ ডেস্ক :: অপর্যাপ্ত অবকাঠামো, আর্থিক প্রতিবন্ধকতা, আমলাতান্ত্রিক দীর্ঘসূত্রতা এবং দুর্নীতিসহ আরো কিছু কারণ বিদেশী বিনিয়োগকে এখনও অনেক বাধাগ্রস্থ করছে। মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অর্থনৈতিক এবং ব্যবসা বিষয়ক ব্যুরো প্রকাশিত ‘বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট ক্লাইমেট স্টেটমেন্ট ২০১৫’ শীর্ষক দীর্ঘ প্রতিবেদনে বাংলাদেশ অংশে একথা বলা হয়েছে।
বাংলাদেশ বিষয়ে বিবৃতিতে আরও বলা হয়, বিদেশী বিনিয়োগের ক্ষেত্রে কিছু বাধা কমিয়ে আনতে বাংলাদেশ ধীর গতিতে উন্নতি করেছে। কিন্তু এখনও অনেক বাধা রয়েছে। দ্বন্দ্ব সমাধানের কার্যকর বিকল্প পদ্ধতির অভাব এবং বিচারিক প্রক্রিয়ার ধীরগতি ব্যবসায়িক চুক্তি ও দ্বন্দ্বের সমাধান প্রয়োগকে ব্যাহত করছে। এছাড়া ২০১৫ সালের প্রথম চতুর্ভাগে বিতর্কিত নির্বাচনের এক বছর পূর্তিতে ব্যাপক রাজনৈতিক সহিংসতা ও অনিশ্চয়তা সৃষ্টি হয়েছিল। তবে ব্যবসা ও বিনিয়োগের ওপর স্বল্পমেয়াদে নেতিবাচক প্রভাবের উদ্বেগ বৃদ্ধি পেলেও ২০১৫ সালের প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস ৬ শতাংশের উপরেই রয়েছে।
বলা হয়েছে, গত আড়াই দশকের বেশি সময় বাংলাদেশের বার্ষিক প্রবৃদ্ধি ৬ শতাংশের ওপরে। এখানে রয়েছে বিপুল পরিমাণ যুব ও কর্মঠ জনশক্তি, দ্রুত বর্ধনশীল বেসরকারি খাত। বিশ্বের অষ্টম বৃহৎ জনগোষ্ঠীর এ দেশে বিনিয়োগের সুযোগ দেয়া হয়েছে। বিশেষ করে বিদ্যুৎ, জালানি, ওষুধ শিল্প, তথ্যপ্রযুক্তি, টেলিযোগাযোগ, অবকাঠামো খাত, তৈরী পোশাক, টেক্সটাইল, চামড়া প্রক্রিয়াকরণ খাত উল্লেখযোগ্য।
বাংলাদেশ সরকার সক্রিয়ভাবে বিদেশী বিনিয়োগ পাওয়ার চেষ্টা করছে। এতে অগ্রাধিকার দেয়া হয়েছে তৈরী পোশাক, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও অবকাঠামো খাত। শিল্পনীতির অধীনে বিনিয়োগকারীদের সুবিধা দেয়ার প্রস্তাব দিয়েছে। বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মতে, ২০১৩-১৪ অর্থবছরে বাংলাদেশ সরাসরি বিদেশী বিনিয়োগ পেয়েছে ১৫০ কোটি ডলার। আগের বছরের তুলনায় তা ৯৯ কোটি ডলার বেশি। ২০১৩ সালের ২৫শে নভেম্বর ওয়াশিংটনে স্বাক্ষরিত হয় ইউএস-বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট কো-অপারেশন ফোরাম এগ্রিমেন্ট (টিকফা)।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিদেশী বিনিয়োগকারীদের প্রতি ব্যাপক বৈষম্য দেখা না গেলেও সরকার স্থানীয় শিল্প কারখানাকে উৎসাহ দিয়েছে। কিছু বৈষম্যমূলক নীতি ও নিয়মনীতি বিদ্যমান রয়েছে। সরকার আমদানি করা ওষুধের বিষয়ে কঠোর নিয়ন্ত্রণ বজায় রেখেছে। স্থানীয় মালিকানাধীন নতুন শিপিং কোম্পানিগুলোর ক্ষেত্রে বাধ্যবাধকতা রয়েছে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী যেসব বিদেশী মালিকানাধীন কোম্পানি রয়েছে তারা এর আওতামুক্ত। এতে বলা হয়েছে, গত ২০ বছরে সরকার রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন কিছু প্রতিষ্ঠানকে বেসরকারিকরণ করেছে। বর্তমান সরকার রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বেশ কিছু প্রতিষ্ঠানকে প্রতিযোগিতামূলক করতে পদক্ষেপ নিয়েছে বলেও প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।