বিজিবির ফাঁড়িতে কলেজ ছাত্রকে ধরে নিয়ে নির্যাতনের অভিযোগ
প্রকাশিত হয়েছে : ৯:১৮:৪৩,অপরাহ্ন ০৩ নভেম্বর ২০১৪
মৌলভীবাজার প্রতিনিধি: কুলাউড়া উপজেলার চাতলাপুর সীমান্ত ফাঁড়িতে রোববার (২ নভেম্বর) সন্ধ্যায় তুচ্ছ ঘটনায় এক কলেজ ছাত্রকে ধরে নিয়ে নির্যাতন করার অভিযোগ উঠেছে। নির্যাতিত কলেজ ছাত্র কমলগঞ্জ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ।
নির্যাতিত মৌলভীবাজার সরকারী কলেজের বিএ (অনার্স) প্রথম বর্ষের ছাত্র দেলোয়ার হোসের বাবা ব্যবসায়ী লাল মিয়া অভিযোগ করে জানান, কলারায়ের চর গ্রামে নিজ বাড়ি সংলগ্ন মৎস্য খামার এলাকায় সন্ধ্যা রাত সোয়া ছয়টায় যায়। সম্প্রতি খামারের মাছ চুরি শুরু হওয়ায় দেলোয়ার খামারের চারদিকে টর্চ জ্বালিয়ে দেখতে গেলে মৎস্য খামার এলাকায় আড়ালে বসে থাকা কয়েকজন বিজিবি সদস্যের মুখের উপর টর্চ লাইটের আলো পড়ে। এ নিয়ে বিজিবি নায়েক হুমায়ূন, সদস্য (সিপাহী) রাব্বি ও মনিরে সাথে সন্ধ্যার পর এভাবে বের হয়ে টর্চ জ্বালানো নিয়ে ছাত্রের (দেলোয়ারের) সাথে তর্কবিতর্ক হয়। এক পর্যায়ে বিজিবি সদস্যরা কলেজ ছাত্রকে টেনে হিছড়ে চাতলাপুর সীমান্ত ফাঁড়িতে নিয়ে আটকে বেদম প্রহার করে। ছেলের কোন খোঁজ না পেয়ে বাবা লাল মিয়া ছেলের মুঠোফোনে ফোন দিয়ে তার অবস্থান জানতে পেরে চাতলাপুর সীমান্ত ফাঁড়িতে গিয়ে অনুরোধ করে গুরুতরভাবে আহতাবস্থায় তাকে ছাড়িয়ে এনে রাতেই কমলগঞ্জ হাসপাতালে ভর্তি করেন। কমলগঞ্জ হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক দেবজ্যোতি সিংহ আহত কলেজ ছাত্র চিকিৎসাধীন থাকার কথা নিশ্চিত করেছেন।
আহত কলেজ ছাত্র দেলোয়ার হোসেন জানান, বিজিবি সদস্যরা অকথ্য ভাষায় গালি গালাজ করে সীমান্ত ফাঁড়িতে আটকিয়ে লাঠি ও বন্দুকের বাট দিয়ে প্রহার করে। এ ঘটনার পর থেকে শরীফপুরের কালারায়ের চর গ্রামে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
চাতলাপুর সীমান্ত ফাঁড়ির কোম্পানী কমান্ডার সুবেদার হজরত আলী তুচ্ছ ঘটনার কথা স্বীকার করে জানান, কলেজ ছাত্রের ঘোরাফেরা ও টর্চ জ্বালানো সন্দেহজনক ছিল। এ নিয়ে তর্ক বিতর্ক হয়েছে। তাছাড়া ওই ছাত্রের কারণে বিজিবির একটি বড় অভিযান পরিচালনা ব্যাহত হয়েছে। তিনি সীমান্ত ফাঁড়িতে আটকে মারধর করার কথা অস্বীকার করেন।
শরীফপুর ইউনিয়নের সাবেক সদস্য খলিলুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘটনায় জনমনে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। তিনি আশাবাদী শ্রীমঙ্গলস্থ বিজিবি সেক্টর কমান্ডার এ ঘটনায় প্রয়োজনে তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহন করবেন।
শ্রীমঙ্গলস্থ বিজিবি সেক্টর কমান্ডার কর্ণেল তারিকুজ্জামান খান বলেন, তিনি অভিযোগ পেয়েছেন। তবে তদন্তক্রমে যদি বিজিবি সদস্যরা দায়ী হয়, তা হলে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।