বিএনপির অবরোধে দূরপাল্লার যাত্রীদের দুর্ভোগ
প্রকাশিত হয়েছে : ১১:০৮:৫১,অপরাহ্ন ০৮ জানুয়ারি ২০১৫
বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের লাগাতার অবরোধে দুর্ভোগে পড়েছে দূরপাল্লার যাত্রীরা। অবরোধের তৃতীয় দিন বৃহষ্পতিবার সকাল থেকে অধিকাংশ দূরপাল্লার বাস চট্টগ্রাম ছেড়ে যায়নি। তবে, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে পুলিশী প্রহরায় সীমিতকারে কিছু পণ্যবাহী ট্রাক ও যাত্রীবাহী চলাচল করছে। এছাড়াও চলাচল করছে বিআরটিসি’র দুরপাল্লার বাসগুলো।
চট্টগ্রাম মেট্টোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ কমিশনার (পশ্চিম) এস এম তানভির আরাফাত বলেন, রাতে কিছু বাস চট্টগ্রাম ছেড়ে গেছে। সকালে যাত্রীবাহী দুরপাল্লার বাস চলাচল কিছুটা কম। তবে পণ্যবাহী ট্রাক-কাভার্ড ভ্যান পুলিশ প্রহরায় চলছে।
বিজিবি সূত্র জানায়, রাতে বিজিবি প্রহরায় ৪৬৫টি পণ্যবাহী ট্রাক-কাভার্ড ভ্যানসহ বিভিন্ন যানবাহন চট্টগ্রাম ছেড়ে গেছে।
সকালে নগরীর বিভিন্ন বাস কাউন্টারগুলোতে দেখা গেছে, অধিকাংশ কাউন্টারই বন্ধ রেখেছে পরিবহন মালিকরা। যেসব কাউন্টার খোলা রয়েছে সেগুলোতেও টিকেট বিক্রি করা হচ্ছে না।
আন্তঃজেলা বাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক কফিল উদ্দিন আহমেদ বলেন, যাত্রী না থাকায় দিনে কোনো দূরপাল্লার বাস চলাচল করছে না। তবে, রাত্রে পুলিশী প্রহরায় কিছু যাত্রীবাহী বাস চলাচল করছে।
তিনি বলেন, অবরোধ কিছুটা শিথিলের পাশাপাশি পর্যাপ্ত যাত্রী পাওয়া গেলে দিনেও পুলিশ প্রহরায় বাস ছেড়ে যাবে।
দূরপাল্লার বাস চলাচল বন্ধ থাকায় অন্যান্য দিনের মতো যাত্রীদের ভিড় দেখা গেছে চট্টগ্রাম রেল স্টেশনে। রেল পূর্বাঞ্চলের বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা ফিরোজ ইফতেখার জানিয়েছেন, সকাল থেকেই সবগুলো শিডিউল ট্রেন চট্টগ্রাম ছেড়ে গেছে।
এদিকে, অবরোধের কারণে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে বিশ্ব ইজতেমা যাত্রীদেরও। সড়কপথে বাস চলাচল বন্ধ থাকার পাশাপাশি ট্রেনেও চাপ থাকায় আগামী শুক্রবার থেকে টঙ্গির তুরাগ তীরে শুরু হওয়া ইজতেমায় অনেকেই যোগ দিতে পারবেন কিনা তা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে।
গত সোমবার বিএনপি চেয়ারপারসন ও জোটনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া অবরোধের ঘোষণা দেন। পরদিন মঙ্গলবার থেকে লাগাতার অবরোধ শুরু হয়।