বাস চালকের গাফিলতিতে ট্রেন দুর্ঘটনা!
প্রকাশিত হয়েছে : ১২:১৪:৩৬,অপরাহ্ন ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৫
নিউজ ডেস্ক :: নগরীর আকবরশাহ থানার ইস্পাহানি রেল ক্রসিং এলাকায় মেঘনা এক্সপ্রেসের সঙ্গে বাসের সংঘর্ষের ঘটনায় বাস চালককের গাফিলতিকেই দায়ী করছেন সংশ্লিষ্টরা। তারা বলছেন, লাইনম্যান সংকেত দেওয়ার পরও লাইন ঘেষে দাঁড়িয়ে থাকার কারণেই দুর্ঘটনা ঘটেছে। দুর্ঘটনার বিষয়টি বুঝতে পেরে গাড়ির চালক ও সহকারী পালিয়ে গেলেও ঘটনাস্থলেই একজনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন আরও চারজন।
রেলওয়ে পূর্বাঞ্চল সূত্রে জানা গেছে, ইস্পাহানি রেল ক্রসিং গেইটটি স্পেশাল ক্লাসের। এখানে ট্রেন আসার আগেই লিফ্টিং ব্যারিয়ারের মাধ্যমে সড়কের দুই পাশে বেস্টনি একই সঙ্গে নামানো হয়। কিন্তু বাস চালক বেস্টনি পাশ কাটিয়ে লাইনের পাশে চলে যাওয়ায় দ্রুতগামী মেঘনা এক্সপ্রেসের সঙ্গে ধাক্কা লেগে দুর্ঘটনা ঘটে। রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের প্রকৌশল বিভাগের একজন কর্মকর্তা জানান, চট্টগ্রাম থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাওয়া কর্ণফুলী এক্সপ্রেস ট্রেনটি ইস্পাহানি রেলওয়ে ক্রসিং অতিক্রম করে। এরপর অপরদিক দিক থেকে চাঁদপুর থেকে ছেড়ে আসা মেঘনা এক্সপ্রেস ট্রেনটি দ্রুত গতিতে পৌঁছে। বাস চালক অপেক্ষা না লাইনের পাশে চলে যায়। ফলে ট্রেনের ধাক্কা লেগে বাসটি দুমড়ে মুচড়ে যায়।
এসময় গেইটের লিফ্টিং ব্যারিয়ার সচল ছিল বলে জানিয়েছেন রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের বিভাগীয় প্রকৌশলী-১ আবিদুর রহমান। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন জানিয়ে তিনি বলেন, দুর্ঘটনার কারণ তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। বৃহস্পতিবার সকাল সোয়া ১১টার দিকে নগরীর আকবরশাহ থানার ইস্পাহানী রেল গেইট এলাকায় চট্টগ্রামগামী মেঘনা এক্সপ্রেসের সঙ্গে একটি বাসের সংঘর্ষে একজন নিহত হয়। আহত হয়েছেন আরও চারজন। জিআরপি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিমাংশু দাশ জানান, সংঘর্ষের ঘটনায় ঘটনাস্থলে একজন নিহত এবং চারজন আহত হয়। তবে নিহতের পরিচয় জানা যায়নি। আহতরা হলেন আবুল হাশেম (৬০), মাহবুবুল আলম (৫০), সুভাষ ও শামীম।
এদিকে ঘটনার কারণ ও দায়ীদের সনাক্ত করতে পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির প্রধান করা হয়েছে বিভাগীয় পরিবহন কর্মকবর্তা (ডিটিও) ফিরোজ ইফতেখারকে। ঘটনাস্থল পরিদর্শনের পর তিনি বলেন, রেল ক্রসিং এর বেস্টনিকে পাশ কাটিয়ে বাসটি লাইনের পাশে চলে যায়। এসময় দ্রুত গতিতে আসা মেঘনা এক্সপ্রেস ট্রেনের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। এতে বাসটি দুমড়ে মুচড়ে যায়। ঘটনাস্থলেই একজনের মৃত্যু হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে ফিরোজ ইফতেখার বলেন, দুর্ঘটনার বিষয়টি বুঝতে পেরে গাড়ির চালক ও সহকারী লাফ দিয়ে নেমে গেলেও গাড়ির যাত্রীরা নামতে পারেনি। তবে হতাহতদের পরিচয় পাওয়া যায়নি জানিয়ে তিনি বলেন, বাসটি কেন লাইনের পাশে দাঁড়ালো বা লাইনের কাছে গিয়ে ইঞ্জিন বিকল হয়ে গেছে কিনা সে বিষয়গুলো তদন্ত করে দেখা হবে।