‘বাবা বিচলিত নন, হাসিমুখে বিদায় দিয়ে গেলাম’
প্রকাশিত হয়েছে : ১:০২:০৩,অপরাহ্ন ১১ এপ্রিল ২০১৫
নিউজ ডেস্ক::
মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াতে ইসলামীর সিনিয়র সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মদ কামারুজ্জামানের সাথে দেখা করেছেন তার পরিবারের সদস্যরা। প্রায় এক ঘণ্টা সাক্ষাৎ শেষে শনিবার বিকাল ৫টা ২৫ মিনিটের দিকে কারাগার থেকে বেরিয়ে যান তারা। এ সময় কামারুজ্জামানের ছেলে হাসান ইকবাল ওয়ামী সাংবাদিকদের বলেন, বাবা বিচলিত নন। তিনি সুস্থ্য আছেন। আমরা হাসিমুখে বিদায় দিয়ে গেলাম।
ওয়ামী বলেন, প্রাণভিক্ষা দেয়ার মালিক আল্লাহ। আল্লাহর কাছেই প্রাণভিক্ষা চাইব। তিনি আরো বলেন, আমার বাবার সঙ্গে শুক্রবার কোনো ম্যাজিস্ট্রেট দেখা করেননি। ম্যাজিস্ট্রেটদের দেখা করার কথা সম্পূর্ণ মিথ্যা। বাবা আমাদের এটি জানিয়েছেন। এ সময় কামারুজ্জামানের পরিবারের সদস্যদের মধ্যে কেউ কেউ উল্টো ভি চিহ্ন দেখান। আবার কারো চোখে পানিও দেখা যায়।
শনিবার বেলা ৪টা ১০ মিনিটে কামারুজ্জামানের স্ত্রী নুরুন্নাহার, ভাই কামরুল ইসলাম, শ্যালক রুম্মান, ছেলে হাসান ইমাম ও হাসান ইকবাল, মেয়ে আতিয়া নূরসহ ২৪ জন সদস্য কারাগারে পৌঁছান। কামারুজ্জামানের ছোট দুই ছেলে হাসান ইকরাম এবং হাসান জামান বিদেশে থাকায় তারা দেখা করতে আসেননি।
এর আগে বিকাল তিনটার দিকে মিরপুরের বাসা থেকে কারাগারের উদ্দেশ্যে রওনা হয় পরিবারের সদস্যরা। শনিবার দুপুরে এ সংক্রান্ত একটি চিঠি পরিবারের কাছে পাঠানো হয় বলে জানান কামারুজ্জামানের আইনজীবী অ্যাডভোকেট শিশির মনির।
তিনি জানান, চিঠিতে বিকাল ৪টা থেকে ৫টার মধ্যে তাদের দেখা করতে বলা হয়েছে। এর আগে সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণের পরও কামারুজ্জামানের ফাঁসি শুক্রবার রাতে কার্যকর হয়নি। তবে আজ রাতেই ফাসিঁ কার্যকর করা হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।