বাজেট গরীবের নয়, ধনীদের স্বার্থে করা হয়েছে
প্রকাশিত হয়েছে : ১১:৩৯:১৬,অপরাহ্ন ২৩ জুন ২০১৫
নিউজ ডেস্ক::
এই বাজেট গরীব জনগণের জন্য নয়, ধনী শ্রেনির স্বার্থে করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন পার্বত্য চট্রগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের সদস্য ও সাংসদ ঊষাতন তালুকদার। তিনি বলেন, ৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধির কথা বলা হয়েছে, কিন্তু এখানে তাও অর্জন সম্ভব নয়।
মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে উন্নয়ন সমন্বয় আয়োজিত প্রস্তাবিত জাতীয় বাজেট ২০১৫-১৬: পার্বত্য চট্রগ্রাম পরিপ্রেক্ষিত শীর্ষক বাজেটত্তর সংলাপে তিনি এ কথা বলেন।
রাঙ্গামাটি এলাকায় যদি নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা যায় তাহলে বাজেটে যে ঘাটতি থাকতো তা জানিয়ে তিনি বলেন, রাঙ্গামাটিতে বিনিয়োগ হলে সেখান থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা আসতো।
তিনি বলেন, অত্র এলাকায় পুষ্টিহীনতা থেকে শুরু করে বিভিন্ন বিষয়ে পশ্চাদ-পদতা রয়েছে। যা বিবেচনা করে এই এলাকার জন্য বাজেটে বরাদ্দ আরও বাড়ানো উচিত।
এ সময় তিনি বলেন, ১ জানুয়ারী যদি সংসদ ওয়েবসাইটে বাজেট সংশ্লিষ্ট তথ্য দেওয়া হয়। তাহলে যারা আলোচনা করবে, তারা বিশ্লেষন করে নিজেদের মতামত দিতে পারবে। এবং জনমত নিয়ে তা যেন সংসদে উত্থাপন হতে পারে।
বাজেট সংলাপে পার্বত্য চট্রগ্রাম সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বর্গের প্রশ্নের জবাবে পার্বত্য চট্রগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রনালয় সচিব নব বিক্রম কিশোর ত্রিপুরা বলেন, বাজেটে যা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে তা নিয়ে হতাশ হওয়ার কিছু নেই। কারন বাজেটে বরাদ্দের বাইরেও কিছু বরাদ্ধ থাকে যা শান্তি চুক্তির সবুজ পাতার মাধ্যমে দেওয়া হয়।
সবুজ পাতার উল্লেখ যোগ্য বরাদ্দের বিষয়ে তিনি বলেন, পার্বত্য এলাকার শিল্পীদের থাকার জন্য ঢাকার মন্ত্রী পাড়ায় ২ একর জামি বারাদ্দ দেওয়া হবে। বাঁশ ও বেত শিল্পের উন্নয়নে বরাদ্দ দেওয়া হবে। এছাড়াও ২৬০০ শত গাভী পালনের জন্য ২৫-৩০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হবে।
পার্বত্য এলাকায় আছে মাত্র ১৬ লক্ষ মানুষ অথচ অনেক জমি জানিয়ে তিনি বলেন, আঞ্চলিক পরিষদ জেলা পরিষদ এবং উন্নয় পরিষদ এক সাথ হয়ে যদি কাজ করা যায় তাহলে সাফল্য পাওয়া সম্ভব।
পার্বত্য চট্রগ্রামের আদিবাসী জাতি গোষ্ঠীর চাহিদা ভিত্তিক বাজেট তৈরি হবার সুযোগ কম জানিয়ে সংলাপে ধারণা পত্র উপস্থাপন করে ড. মাহফুজ কবির বলেন, উন্নয়ন বোর্ড আঞ্চলিক পরিষদ এবং জেলা পরিষদ আদিবাসী জাতিগোষ্ঠীর সাথে বাজেটের আগে বৈঠক বা আলাপ করে না।
প্রতিবছর বাজেট বক্তৃতায় সুনির্দিষ্ট ভাবে পার্বত্য চট্রগ্রাম বিষয়ে বক্তব্য এবং বিদায়ী অর্থবছরের খরচের সার সংক্ষেপ তুলে ধরতে হবে জানিয়ে তিনি বলেন, শান্তি চুক্তির পর সরকার ও দাতা সংস্থাগুলোর উল্লেখযোগ্য উদ্যোগ সত্বেও পাহাড়ী জনগোষ্ঠীর জীবনের মান হতাশা পর্যায়ে রয়েছে।