বাজারে এসেছে টেন্ডুলকারের আত্মজীবনী
প্রকাশিত হয়েছে : ৩:৪০:৩৮,অপরাহ্ন ০৬ নভেম্বর ২০১৪
স্পোর্টস ডেস্ক: এরই মধ্যে বিতর্কের জন্ম দেয়া ভারতের সাবেক ব্যাটসম্যান শচীন টেন্ডুলকারের আত্মজীবনী ‘প্লেয়িং ইট মাই ওয়ে’ বুধবার আনুষ্ঠানিকভাবে বাজারে ছাড়া হয়েছে।
সুনিল গাভাস্কার, রবি শাস্ত্রী, রাহুল দ্রাবিড় এবং সৌরভ গাঙ্গুলীসহ আরো অনেক সাবেক ক্রিকেটার বইটির মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে ছিলেন। অনুষ্ঠানে ছিলেন ধারাভাষ্যকার ও সাংবাদিক হার্শা ভোগলেও।
বইটির সহকারী লেখক বোরিয়া মজুমদার জানান, সাড়ে তিন বছরের প্রচেষ্টায় আত্মজীবনীটি লেখা হয়েছে।
টেন্ডুলকারের জীবন একটা খোলা বইয়ের মতো। তাই এটা লিখতে গিয়ে কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হয়েছে বলে জানান মজুমদার। কারণ কিংবদন্তি এই ব্যাটসম্যানের বিষয়ে ভক্তরা কি জানে না, সেটা খুঁজে বের করতে হয়েছে।
টেন্ডুলকারের জীবনের অংশগুলো ফুটিয়ে তোলাটাও আরেকটা কঠিন কাজ ছিল বলে জানান মজুমদার।
মজুমদার আরো জানান, বইটি পড়লে টেন্ডুলকার আর তার স্ত্রী অঞ্জলীর বিষয়েও ভক্তরা জানতে পারবে।
“শচীন তার স্ত্রী অঞ্জলীকে ‘তার জীবনের সেরা সঙ্গী’ বলেন। এই বইই প্রমাণ করবে তিনি কেন এমনটা অনুভব করেন।”
ভারতের সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার ভারত রত্ন জেতা টেন্ডুলকার ক্যারিয়ারে ১৫ হাজার ৯২১ টেস্ট রান এবং ১৮ হাজার ৪২৬ ওয়ানডে রান করেন। একমাত্র খেলোয়াড় হিসেবে তিনি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ৩০ হাজারের উপর রান করেন।
শচীনের আত্মজীবনীর কিছু অংশ গণমাধ্যমে আসার পর ইতোমধ্যে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। ২০০৭ বিশ্বকাপের আগে ওই সময়ের ভারতের কোচ গ্রেগ চ্যাপেল নাকি রাহুল দ্রাবিড়কে সরিয়ে টেন্ডুলকারকে অধিনায়ক করতে চেয়েছিলেন। অস্ট্রেলিয়ার ওই কোচ ‘রিং মাস্টার’-এর মতো দলের উপর তার চিন্তা ভাবনা চাপিয়ে দিতেন বলেও আত্মজীবনীতে লিখেছেন ভারতের সাবেক অধিনায়ক।
টেন্ডুলকারের আত্মজীবনীতে লেখা ওইসব অভিযোগ অবশ্য অস্বীকার করেছেন চ্যাপেল।