বাংলাদেশে বিদুৎ দিতে কাজ শুরু করেছে ভারত
প্রকাশিত হয়েছে : ৭:৩০:৪৯,অপরাহ্ন ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৫
নিউজ ডেস্ক::
ভারতের ত্রিপুরার ৭শ’ ২৬ মেগাওয়াট ক্ষমতার পালাটানা বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে বাংলাদেশকে ১শ’ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ দিতে সঞ্চালন লাইন নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে। এ লক্ষ্যে ত্রিপুরার কল্লাসগড়ে নির্মাণ করা হচ্ছে ৪শ’ কেভির ডাবল সার্কিট লাইন। এখান থেকে বিদ্যুৎ নিতে বাংলাদেশকেও নির্মাণ করতে হবে সঞ্চালন লাইন।
বিনা শুল্কে বাংলাদেশের সড়ক ব্যবহার করে ভারী যন্ত্রাংশ পরিবহনের ফলে নির্ধারিত সময়ে কম খরচে ৭শ’ ২৬ মেগাওয়াট ক্ষমতার পালাটানা বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণে সক্ষম হয়েছে ভারত। এ সহযোগিতার বিনিময়ে বাংলাদেশের কাছে ১শ’ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ বিক্রি করতে রাজী হয়েছে তারা। কিন্তু সঞ্চালন লাইন না থাকায় এখনই এ বিদ্যুৎ পাচ্ছে না বাংলাদেশ। তবে চলতি মাসেই ত্রিপুরার সূযর্মনি নগর থেকে কল্লাসগড় পর্যন্ত ২৪ কিলোমিটারের শক্তিশালী সঞ্চালন লাইন নির্মাণের কাজ শুরু করছে ভারত।
ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার বলেন, ‘আমাদের পালাটানা বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে ১০০ মেগাওয়াট বাংলাদেশে যাবে, এগুলো আমরা ঠিক করে নেব ওএনজিসি কতটুকু দেবে আর আমরা ত্রিপুরা কতটুকু দেব, মোটকথা বাংলাদেশ ১০০ মেগাওয়াট পাবে।’
আর ত্রিপুরার বিদ্যুৎ মন্ত্রী মানিক দে বলেন, ‘সূর্যমণি নগর থেকে কসবা হয়ে ভারতের কল্লাসগর অংশের ২৪ কিলোমিটার আমরা করব।’
ত্রিপুরার বিদ্যুৎ মন্ত্রী জানান, ২০১৫ সালের মধ্যেই এ সঞ্চালন লাইন নির্মাণ কাজ শেষ হবে। বাংলাদেশও নিজেদের অংশে সঞ্চালন লাইন নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে বলে জানান তিনি।
মানিক দে বলেন, ‘ভারতের অংশটি করবে পিজিসিআইএল, এটির টেন্ডার হয়ে গেছে, এই মাসের মধ্যেই ঠিকাদারকে অ্যাপয়েন্টমেন্ট দিয়ে দেবেন, ফেব্রুয়ারিতে এই কাজটি হবে, একইভাবে বাংলাদেশের অংশটি কারা করবে সেটিও সম্ভবত তারা নিয়োগ দিয়ে দিয়েছে।’
তবে এখনো বিদ্যুতের দাম ঠিক হয়নি। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী জানান, দু’পক্ষ আলোচনা করে দাম নির্ধারণ করবে।
২০১৪ সালের জানুয়ারিতে ১০ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ের পালাটানা বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রথম ইউনিট বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদন শুরু করে। দ্বিতীয় ইউনিটটি মার্চে উৎপাদনে যাবে।