বাংলাদেশের সিরিজ জয়
প্রকাশিত হয়েছে : ৯:২৩:২৭,অপরাহ্ন ০৭ নভেম্বর ২০১৪
খুলনা টেস্টে জিম্বাবুয়েকে ১৬২ রানের বিশাল ব্যবধানে হারিয়ে এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ জিতে নিয়েছে টাইগার বাহিনী। বাংলাদেশের দেয়া ৩১৪ রানের টার্গেটে খেলতে নেমে দ্বিতীয় ইনিংসে সফরকারীরা অলআউট হয় ১৫১ রানে। এম শিঙ্গির উইকেট নিয়ে প্রথম ইনিংসে পাঁচ উইকেট নেয়া সাকিব দ্বিতীয় ইনিংসেও নিয়েছেন ৫ উইকেট।
পঞ্চম দিন সকালে বাংলাদেশ ৯ উইকেটে ২৪৮ রান করার পর তাদের দ্বিতীয় ইনিংস ঘোষনা করে।
জিম্বাবুয়ে শিবিরে প্রথম আঘাত হানেন তাইজুল ইসলাম। জিম্বাবুয়ে ওপেনার ব্রায়ান চারি ৪ রান করে তাইজুলের শিকারে পরিনত হন। এর পর সাকিবের বলে শর্ট লেগে ক্যাচ দেন সিকান্দার রাজা। জিম্বাবুয়ে অধিনায়ক ব্রেন্ডন টেলরকেও ফেরান প্রথম ইনিংসে পাঁচ উইকেট নেয়া সাকিব আল হাসান। এর পর চতুর্থ উইকেট জুটিতে ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠে মাসাকাদজা-চাকাবভা জুটি। জুবায়ের হোসেন লিখন চাকাবভাকে (২৭) আউট করে এ জুটি ভাঙ্গেন। এ জুটি থেকে আসে ৭০ রান।
প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ ৬৫ রানের লিড পায়। বাংলাদেশের করা ৪৩৩ রানের জবাবে জিম্বাুবয়ে তাদের প্রথম ইনিংসে করেছিল ৩৬৮ রান।
আগের দিনের ৫ উইকেটে ২০১ রান নিয়ে পঞ্চম দিনের খেলা শুরু করে বাংলাদেশ। ৬৩ রানে অপরাজিত থাকা মাহমুদউল্লাহ এ দিন ৮ রান যোগ করে ব্যাক্তিগত ৭১ রানে আউট হন। এর পর তাইজুল ও শাহাদাতে দ্রুতই সাজঘরে ফেরেন। তবে আরেক প্রান্ত আগলে রাখেন শুভাগত হোম। টেস্ট ক্যারিয়ারের প্রথম হাফসেঞ্চুরি পূর্ন করে লং অনে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন। সেই সাথে দ্বিতীয় ইনিংস ঘোষনা করে মুশফিকুর রহিমের দল।
প্রথম ইনিংসের সেঞ্চুরিয়ান তামিম ইকবাল ২৫ বলে ২০ রান করে পানিয়াঙ্গারার শিকার হন। দ্বিতীয় উইকেটে শামসুর রহমান ও মুমিনুল হক দেখে শুনে খেলতে থাকেন। কিন্তু চা বিরতির কিছু সময় আগে ওয়ালারের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেণ শামসুর রহমান। ৭১ বল মোকাবেলা করে ২৩ রান করেন তিনি। ৫৪ রান করে ওয়ালারের বলে উইকেট কিপার চাকাবভার কাছে ক্যাচ তুলে দেন মুমিনুল হক। মুমিনুলের বিদায়ের পর সাকিব (৬) ও মুশফিক (০) দ্রুত ফিরে গেলে চাপে পড়ে বাংলাদেশ। তবে একপ্রান্ত আগলে রেখে লড়াই করেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। রিয়াদ ৬৩ ও শুভাগত হোম ২৩ রানে অপরাজিত থেকে চতুর্থ দিন শেষ করেন।
জিম্বাবুয়ে বোলার ওয়ালার একাই নেন ৪ উইকেট। এম শিঙ্গা ৩টি ও পানিয়াঙ্গারা নেন একটি উইকেট।
এর আগে সাকিবের ১৩৭ ও তামিমের ১০৯ রানে ভর করে প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ ৪৩৩ রান সংগ্রহ করেছিল। জবাবে জিম্বাবুয়ে হ্যামিলটন মাসাকাদজার ১৫৮ ও রেগিস চাকাবার ১০১ রানে ভর করে ৩৬৮ রান তুলতে সক্ষম হয়।
সাকিব আল হাসান ৫টি, তাইজুল ইসলাম ৩টি ও রুবেল হোসেনে নেন ২টি উইকেট।