বাংলাদেশের কাছে ধাক্কা খেতে পারে ভারত
প্রকাশিত হয়েছে : ৪:০৮:৫০,অপরাহ্ন ১৪ মার্চ ২০১৫
স্পোর্টস ডেস্ক::
আজকের জিম্বাবুয়ে-ভারতের ম্যাচটি অনেক দিক থেকেই গুরুত্বপূর্ণ ছিল। একে তো সম্ভবত জিম্বাবুয়ের হয়ে শেষ ম্যাচ খেলেছেন ব্রেন্ডন টেইলর! অারেক দিক দিয়ে দুই দলেরই গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচ ছিল। টেইলর নিজের শেষ ম্যাচে শতক হাঁকিয়ে স্মরণীয় করে খেললেও ভারত কিন্তু সেই ম্যাচে ছাড় দিয়ে খেলেনি। জয় ভারতই তুলে নিয়েছে।
অাজকের ম্যাচে অামাদেরও পাখির চোখ ছিল। কারণ, এই ভারতের সঙ্গে কোয়ার্টার ফাইনালে মুখোমুখি হবো। এতোদিন তাদের ব্যাটিং স্তম্ভ শক্তিশালী বিবেচনা করা হলেও এবারের বিশ্বকাপে বোলিং বিভাগের পারফরম্যান্সে কপালে ভাঁজ ফেলতেই হচ্ছে। তারা ফেবারিট হয়ে সবগুলো দলকেই হারিয়েছে। এটা সহজ ছিল না। ওদের বোলারদের মধ্যে মোহাম্মদ সামি নিয়মিত ব্রেক থ্রু এনে দিচ্ছে, স্লগ ওভারে ভালো বল করছে। এছাড়া নতুন বলেও সুইং করছে। অামার কাছে মনে হয়েছে মোহিত শর্মা ফিরে অাসাতে ওদের বোলিং অারও বেশি শক্তিশালী হয়ে উঠেছে। শর্মা মাঝের দিকে যেভাবে মিতব্যয়ী বল করছে তেমনি পাল্লা দিয়ে উইকেটও তুলে নিচ্ছে। অাবার উমেশ যাদব রান দিলেও সময় মতো উইকেট ঠিকই তুলে নিচ্ছে। অন্যদিনের মতো অশ্বিন, জাদেজা অাজকে ভালো কিছু করতে পারেনি। এর কারণ ছিল টেইলর এবং উইলিয়ামসের অাগ্রাসী ব্যাটিং তাদের ভালো কিছু করতে দেয়নি।
এখানে টেইলরকে নিয়ে অারেকটু বলে রাখা দরকার, অামরা যখন জিম্বাবুয়ের সঙ্গে খেলি ওকে তখন প্রতিপক্ষের ব্যাটসম্যানদের মধ্যে বাড়তি নজরে রাখতাম। কারণ ওই দলে একমাত্র মানসম্মত ব্যাটসম্যান। অাজকের ম্যাচে টেইলর-উইলিয়ামস রানের চাকা যেভাবে বাড়িয়ে দিয়েছিল। শেষ দিকে জিম্বাবুয়ে সেটা ধরে রাখতে পারেনি। না হলে স্কোর বোর্ডে অারও বেশি রান জমা হতো। তারপরেও ২৮৭ রান ফাইটিং স্কোরই ছিল।
তবে ভারতের জন্যেই এই রান সহজই ছিল। এছাড়া অারেকটি বিষয় বলে রাখা দরকার এই বড় স্কোর তাড়া করতে কিন্তু ধোনিদেরই কাজে দিয়েছে। ওদের সব ব্যাটসম্যানরা ইদানিং খুব বেশি রান করার সুযোগ পাচ্ছে না। রান পাওয়ার জন্যে এই স্কোর যথেষ্টই ছিল। তবে কয়েকটি উইকেটের পতন ম্যাচের ভাগ্য পরিবর্তন করে দিতে পারতো। কিন্তু ‘ক্যাপ্টেন কুল’ ধোনি ঠাণ্ডা মাথায় ব্যাট করে সব কিছু সামলে নিয়েছে। ওর একটা ভালো দিক হলো যে কোনও সময় ছয় মেরে সবকিছু ভারতের পক্ষে এনে দেয়।
শেষে এটাই বলবো, বিশ্বকাপে জিম্বাবুয়ে হতাশ হয়েই ফিরে যাচ্ছে। টেইলরের স্থান পূরণ করতে ওদের বেশ সময় লাগবে। এ ম্যাচে ভারত জয় পেলেও একটা বিষয় হলো সব দলেরই ‘ল অব এভারেজ’ থাকে। অর্থাৎ জিততে জিততে এক সময় হারে। অামার মনে হচ্ছে, ভারত কোয়ার্টার ফাইনালে বাংলাদেশের কাছে ধাক্কা খেতে পারে!
শেষে এটাই বলবো, বিশ্বকাপে জিম্বাবুয়ে হতাশ হয়েই ফিরে যাচ্ছে। টেইলরের স্থান পূরণ করতে ওদের বেশ সময় লাগবে। এ ম্যাচে ভারত জয় পেলেও একটা বিষয় হলো সব দলেরই ‘ল অব এভারেজ’ থাকে। অর্থাৎ জিততে জিততে এক সময় হারে। অামার মনে হচ্ছে, ভারত কোয়ার্টার ফাইনালে বাংলাদেশের কাছে ধাক্কা খেতে পারে!