বাংলাদেশকে ইইউ’র দ্বিতীয় বৃহত্তম অনুদান প্রদানের ঘোষণা
প্রকাশিত হয়েছে : ১২:৪৭:১৬,অপরাহ্ন ২৯ জানুয়ারি ২০১৫
নিউজ ডেস্ক::
বাংলাদেশে চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যেও ইউরোপীয় ইউনিয়ন বাংলাদেশের অর্থনীতিতে অনুদান দিতে যাচ্ছে। যা ইইউ’র মাল্টি অ্যানুয়াল ইন্ডিকেটিভ প্রোগ্রামের আওতায় কোনো দেশকে দ্বিতীয় বৃহত্তম অনুদান। বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত পিয়েরে মায়ূদন স্পিকার ড শিরিন শারমিন চৌধুরীর সঙ্গে দেখা করে এ তথ্য জানান।
বৃহস্পতিবার সকালে জাতীয় সংসদ ভবনে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর বাসভবনস্থ কার্যালয়ে সাক্ষাতকালে ইইউ রাষ্ট্রদূত দ্বি-পাক্ষিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে মতবিনিময় করেন।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত জানান, ইইউ মাল্টি অ্যানুয়াল ইন্ডিকেটিভ প্রোগ্রামের আওতায় বাংলাদেশকে সহায়তার জন্য একটি নতুন প্রোগ্রাম শুরু করেছে। যার লক্ষ্য দক্ষতা বৃদ্ধিতে শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ, পুষ্টিসহ বিভিন্ন সেক্টরের উন্নয়ন। এক্ষেত্রে ইউরোপীয় ইউনিয়ন বাংলাদেশকে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ অর্থ অনুদান হিসেবে প্রদান করতে যাচ্ছে, যা এই প্রোগ্রামের আওতায় তাদের দ্বিতীয় বৃহত্তম অনুদান।
এরই প্রেক্ষিতে স্পিকার ড. শিরিন শারমিন চৌধুরী বাংলাদেশে সামাজিক, অর্থনৈতিক, বাণিজ্যসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে ইউরোপীয় ইউনিয়নের ভূমিকার প্রশংসা করেন। ভবিষ্যতেও এ সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে বলে আশা প্রকাশ করেন।
বাংলাদেশকে ইইউ’র অনুদানের বিষয়ে বলেন, এটি বাস্তবায়নের ফলে দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ বিশেষ করে নারী উন্নয়ন, পুষ্টি সমস্যা দূরীকরণ, মাতৃমৃত্যু ও শিশুমৃত্যু হার হ্রাস, খাদ্য নিরাপত্তা বৃদ্ধি প্রভৃতি ক্ষেত্রে ব্যাপক উন্নয়ন ঘটবে।
রাষ্ট্রদূত পিয়েরে মায়ূদন বলেন, বাংলাদেশ ও ইইউ এর মধ্যে পারস্পরিক অর্থনৈতিক সহযোগিতার বৃদ্ধির লক্ষ্যে যৌথ অর্থনৈতিক কমিশন গঠিত হবে। এই কমিশন বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণসহ সামগ্রিক অর্থনৈতিক উন্নয়নে বিশেষ ভূমিকা রাখবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
স্পিকার বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন বাংলাদেশের অন্যতম উন্নয়ন অংশীদার। তিনি এই কমিশন দ্রুত কাজ শুরু করবে এবং দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করতে বিশেষ ভূমিকা পালন করবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
শিরিন শারমিন বলেন, গণতান্ত্রিক শাসনকে সমুন্নত রাখতে সংসদীয় রীতিপদ্ধতি পদ্ধতি অনুযায়ী সংসদ পরিচালিত হচ্ছে। সরকারী অর্থব্যবস্থাপনার জবাবদিহিতা নিশ্চিতকল্পে তিনটি সংসদীয় আর্থিক নজরদারি কমিটি কাজ করে চলেছে, যা স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতকরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। এ সময় স্পীকার গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার অব্যাহত উন্নয়ন এবং পারস্পরিক সম্পৃক্ততা ও অভিজ্ঞতা বিনিময়ের লক্ষ্যে বাংলাদেশ ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের পার্লামেন্টের প্রতিনিধি বিনিময়ের উপরও গুরুত্বারোপ করেন।
ইইউ রাষ্ট্রদূত নারী উন্নয়ন, স্বাস্থ্য, শিক্ষা সহ বিভিন্ন আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে বাংলাদেশের অগ্রগতিতে সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং ইইউ এর অব্যাহত সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেন। তিনি বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের সাথে যৌথ কার্যক্রম আরও জোরদার করার আগ্রহ প্রকাশ করেন। সাক্ষাৎকালে রাষ্ট্রদূত সিপিএ নির্বাহী কমিটির চেয়ারপার্সন নির্বাচিত হওয়ায় স্পিকারকে অভিনন্দন জানান।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশের চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতা নিয়ে এর আগে উদ্বেগ প্রকাশ করে বিবৃতি দিয়েছিল ইউরোপীয় ইউনিয়ন।