বন্ধুর বাসায় বেড়াতে এসে গ্রামের ‘উঠতি চার মাস্তানের’ কাছে ধর্ষণের শিকার এক তরুনী
প্রকাশিত হয়েছে : ৮:০৮:৪০,অপরাহ্ন ০১ মার্চ ২০১৫
নিউজ ডেস্ক :: দীর্ঘদিন ধরে তরুণীর সাথে শুধু ফোনেই কথা হত পাশের জেলার এক যুবকের। তবে সম্পর্ক ছিলো বন্ধুত্ব পর্যন্তই। অবশেষে বন্ধুর আবদারে এবং আমন্ত্রনে শুক্রবার বন্ধুর সঙ্গে দেখা করতে খুলনা থেকে পাশের জেলা বাগেরহাট বেড়াতে আসেন ঐ তরুনী। আর বেড়াতে এসে জেলার রামপালে চার লম্পট কতৃক ধর্ষিত হয়েছেন ঐ তরুণী।
এই ধর্ষণে জড়িত থাকার অভিযোগে সেলিম মোল্লা (২৪) নামের এক লম্পট যুবককে ইতমধ্যেই গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
রামপাল থানার এসআই মোহাম্মদ শাহ আলম জানান, শুক্রবার গভীর রাতে গৌরম্ভা গ্রামের একটি বাগান থেকে ওই এলাকাবাসীর সহযোগিতায় নির্যাতনের শিকার মারাত্মকভাবে অসুস্থ্য ঐ তরুণীকে উদ্ধার করা হয় ।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই আলম বলেন, “এক বছর আগে মোবাইল টেলিফোনে পরিচয়ের সূত্র ধরে পাশের এলাকা খুলনার বটিয়াঘাটার ওই তরুণী শুক্রবার গৌরম্ভা গ্রামের নয়ন নামে তার বন্ধুর বাড়িতে এসেছিলেন। এরপর বাসায় পৌছে দেবার জন্য নয়ন ও তার আরেক বন্ধু প্রদীপ মেয়েটিকে নিয়ে বেরিয়েছিল। পথিমধ্যে উপজেলার আদাঘাট এলাকার একটি নির্জন স্থানে গ্রেফতার হওয়া সেলিমসহ চার জন সন্ত্রাসী তাদের আটকে দেশীয় অস্ত্রের মুখে ভয় ভীতি দেখিয়ে মেয়েটিকে ছিনিয়ে নেয়। তখন ভয়-ভীতির মুখে নয়ন ও প্রদীপ মেয়েটিকে রেখে চলে আসে।”
তবে মেয়েটির বন্ধু নয়ন ও প্রদীপ ঘটনাস্থল থেকে ফিরে এসেই গ্রামবাসীর সহযোগিতা চান । অনেক রাত পর্যন্ত খোজাখুজির পর আনুমানিক রাত ১১ টার দিকে অন্ধকার নির্জন বাগান থেকে তরুনীকে বিবস্ত্র অবস্থায় নিথর পড়ে থাকতে দেখেন। এরপর গ্রামবাসীর কাছ থেকে খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে ওই তরুণীকে উদ্ধার করে এবং পাশের গ্রামে অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত সেলিমকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে যায়।
পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ এবং পরিবারের কাছে ঘটনার শিকার তরুণীর ভাষ্যমতে , বন্ধু নয়নকে মারপিট করে ভয় দেখিয়ে ঘটনার স্থান থেকে সরিয়ে দেবার পর যুবকেরা প্রাথমিক অবস্থায় তরুণীকে বাসায় পৌছে দেবার আশ্বাস দেয়। এরপর সন্ধ্যা নেমে আসলে কৌশলে ঐ চার যুবক গৌরম্ভা গ্রামের একটি নির্জন বাগানে তরুনীকে টেনে হিচড়ে নিয়ে যায়। এরপর অস্ত্রের মুখে ভয় দেখিয়ে মধ্যরাত পর্যন্ত তাকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। তরুনী চিৎকার করতে চাইলে যুবকেরা নিজের গায়ের টিশার্ট খুলে তরুণীর মুখ বেধে ফেলে, এবং প্রাণে মেরে ফেলার হুমকিও দেয়।
১৭ বছর বয়সী ওই তরুণী রামপাল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা করেছেন। এতে সেলিমসহ চারজনকে আসামি করা হয়।
পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার সেলিমও এই অভিযোগ পুলিশের কাছে স্বীকার করেছেন। অন্য আসামিরা হলেন-একই গ্রামের লোকমান, বাবুল ও সেন্টু। তাদের বিস্তারিত পরিচয় জানা যায়নি। তবে এলাকাবাসি জানিয়েছেন ‘এই যুবকেরা এলাকার উঠতি মাস্তান’