বঙ্গবন্ধু সেতুর ভেতরে ফাঁটলের বিস্তৃতি বাড়ছে
প্রকাশিত হয়েছে : ৯:৪১:৪২,অপরাহ্ন ১৭ ডিসেম্বর ২০১৪
নিউজ ডেস্ক::
১৯৯৮ সালের ২৩ জুন বঙ্গবন্ধু সেতু উদ্বোধনের পর এটি ১শ’ বছর টেকসই হবে বলে কোরিয়ান হুন্ডাই কোম্পানি থেকে বলা হলেও মাত্র ৮ বছর পর ২০০৬ সালে সেতুর ওপরে ও নিচে এমনকি ভেতরের বক্সের ভেতর ফাঁটল দেখা যায়। অার সেতুর ভেতরের অংশে ফাঁটলের সংখ্যা ও বিস্তৃতি দিন দিন বাড়ছে।
ভারী ট্রাক ও রেল চলাচলে ঝাঁকুনি ও কম্পনের কারণেই এসব ফাঁটলের দৈর্ঘ্য, প্রস্থ ও বিস্তৃতি ক্রমশঃ বাড়ছে বলে দাবি বিবিএ’র। গত বছর ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কমিউনিকেশন কনস্ট্রাকশন কোম্পানি অব চায়না (সিসিসিসি)-কে দিয়ে বিবিএ পৌনে ৩শ’ কোটি টাকা ব্যয়ে সেতুর ওপরিভাগে ফাঁটল মেরামত করে। আমদানীকৃত উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন ই-পক্সি আঠা ও সাদা সিমেন্টের অ্যাসফল্ড বা ইমালশন দিয়ে সেতুর ওপরিভাগে ফাঁটল মেরামত ফলপ্রসু হওয়ায় দীর্ঘ সময় পর্যবেক্ষনের পর ভেতরের অংশেও ফাঁটল মেরামতের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে বলে জানায় বিবিএ। নিজেদের অর্থের পাশাপাশি সরকারের কাছে আরো প্রায় ১শ’ ১৫ কোটি টাকার বরাদ্দ চেয়েছে বিবিএ।
এরই মধ্যে দরপত্র আহবান করা হয়েছে। চূড়ান্ত যাচাই-বাছাই শেষে মার্চ-এপ্রিল থেকে কাজ শুরু করে ডিসেম্বরেই মেরামত শেষ করার পরিকল্পনা রয়েছে। সেতু রক্ষাণাবেক্ষনকারী ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেটারোলজিক্যাল কনস্ট্রাকশন কোম্পানি অব চায়না’র প্রধান প্রকৌশলী মোজাম্মেল হক জানান, সেতুর নিচের পৃষ্ঠে সবগুলো বক্সের মধ্যে চুলাকৃতি নানা ধরনের ফাঁটল রয়েছে। বিবিএ’র নির্বাহী প্রকৌশলী আবুল কালাম আজাদ জানান, সেতুর নিচে দশমিক ৬ মিলি মিটার প্রস্থে এবং সেতুর সাড়ে ৪ কি.মি. দৈর্ঘ্যে ১২/১৩ টি ফাটল রয়েছে। খালি চোখে দেখা দুস্কর। বিবিএ’র প্রধান প্রকৌশলী কবির আহম্মেদ বলেন, ফাঁটল মেরামতে এরই মধ্যে দরপত্র আহবান করা হয়েছে। চূড়ান্ত যাচাই-বাছাই শেষে মার্চ-এপ্রিল থেকে শুরু করে ডিসেম্বরে শেষ করার পরিকল্পনা রয়েছে। এসব ফাঁটল নিয়ে আতঙ্কিত হবার কিছু নেই। যে কোন কংক্রিটের স্থাপনায় এ ধরনের চুলাকৃতি ফাঁটল দেখা যেতে পারে।