ফোনালাপ বিতর্কে আবারো উত্তপ্ত রাজনৈতিক অঙ্গন
প্রকাশিত হয়েছে : ১০:২৩:৩৪,অপরাহ্ন ১০ জানুয়ারি ২০১৫
অনলাইন ডেস্ক:: ৫ জানুয়ারিকে ঘিরে হঠাৎ করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠা দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে যেন ঘি ঢেলেছে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া এবং বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ ফোনালাপ ইস্যু। সরকার দলের বক্তব্য, এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি, বিষয়টি সম্পূর্ণই বানোয়াট;অপরদিকে বিএনপি’র দাবি, ফোনালাপ হয়েছে।
বিএনপি চেয়ারপারসন ও বিজেপি সভাপতির ফোনালাপের বিষয়টি গণমাধ্যমে প্রকাশ হলে গতকাল সন্ধ্যায় আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলন করে দাবি করা হয়, বিএনপি চেয়ারপারসনের সঙ্গে বিজেপি সভাপতির কথা হয়নি। এসময় দলের যুগ্ম সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, আমি নিজে ইন্ডিয়ান অ্যাম্বাসিতে (হাইকমিশন) কথা বলে জেনেছি, বিজেপি সভাপতি অমিত শাহের সঙ্গে খালেদা জিয়ার কথা হয়নি। বিএনপি চেয়ারপারসনের অফিস থেকে অমিত শাহকে ফোন করা হয়েছিল। কিন্তু তাঁর ফোন নষ্ট থাকায় কথা হয়নি।
প্রধানমন্ত্রীর তথ্য-প্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ও এবিষয়ে সমালোচনা করে গত রাত ১১টা ৩৭ মিনিটে নিজ ফেসবুক পেইজে স্ট্যাটাস দেন। তিনি তার স্ট্যাটাসে লেখেন, বাংলাদেশে “অন্য” একটি রাজনৈতিক দল(বিএনপি) কী ধরণের কুটিল হতে পারে। তারা মার্কিন কংগ্রেস সদস্যদের নামে একটি তথাকথিত বিবৃতির জাল খসড়া আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়েছে। খালেদার “বিশেষ সহকারী” এবং দলটির “পররাষ্ট্র বিষয়ক দূত” জাহিদ সাদী যে বেশ কয়েকবার প্রতারণা এবং ব্যাংক জালিয়াতি জন্য মার্কিন কারাগারে ছিলো, সে এই কাজটি করেছে। এটি একটি গ্রহণযোগ্য রাজনৈতিক দল নয়, এরা হচ্ছে এক দল জুয়াচোর!
এসময় তিনি দৈনিক প্রথম আলো এবং ডেইলি স্টারের সমালোচনা করে লেখেন, এমনকি আরও হাস্যকর বিষয়, দুটি প্রধান পত্রিকা (প্রথম আলো এবং ডেইলি স্টার) যারা নিজেদের নীতিনিষ্ঠ বলে দাবী করে তারা এই সংবাদ প্রচার করে গিয়েছে এবং এখন পর্যন্ত কোন ধরণের সংশোধনী ছাপায়নি। আমি সব সময়ই বলে এসেছি তাদের সাংবাদিকতার নৈতিকতা সর্বনিম্ন রয়েছে।