ফুটবলার হয়ে বিশ্ব মাতানোর স্বপ্ন বেস্তে গেলো মিলনের!
প্রকাশিত হয়েছে : ৩:৩৫:৩৮,অপরাহ্ন ১৬ মার্চ ২০১৯
নিউজ ডেস্ক:: স্বপ্ন ছিলো নিজ দেশের জাতীয় দলের হয়ে বিশ্ব মাতানোর। কিন্তু সে স্বপ্ন আর বাস্তবে রূপ নেয়নি কিশোর সাইয়্যেদ মিলনের। মুহূর্তেই এলোমেলো হয়ে গেল সব। ক্রাইস্টচার্চের মসজিদে নামাজ পড়তে গিয়ে অনেকের মতোই বন্দুকধারীর হামলার শিকার হয় সাইয়্যেদও। জোর ধারণা, সে আর বেঁচে নেই।
শুক্রবার হ্যাগলি ওভালের ডিনস অ্যাভনিউয়ের আল-নূর মসজিদে নামাজ পড়তে গিয়ে বন্দুকধারীর হামলায় প্রাণ হারায় ৪১ জন। বাড়ির কাছেই ওই মসজিদে নামাজ পড়তে গিয়ে আর ফেরেনি ১৪ বছর বয়সী সাইয়্যেদ। উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার মধ্যে রয়েছে তার পরিবার। কর্তৃপক্ষের আনুষ্ঠানিক ঘোষণার জন্য অপেক্ষা করছে তারা।
তবে ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী সাইয়্যেদের বাবার বর্ণনা অনুযায়ী বলা যায়,তার ছেলে হয়তো আর বেঁচে নেই। শুক্রবার সাইয়্যেদের সৎবোন বার্ডি হেনরি জানিয়েছেন, তার বাবা জন মিলনে বলেছেন, “সাইয়্যেদ মসজিদের রক্তাক্ত মেজেতে পড়েছিল। এ সময় তার শরীরের নিচের দিক থেকে রক্ত পড়ছিল।”
সাইয়্যেদের মা নোরাইনিও এই মসজিদে নামাজ পড়তে গিয়েছিলেন। কিন্তু বন্দুকধারীরে হামলার সময় তিনি পালিয়ে রক্ষা পান বলে জানিয়েছেন হেনরি। পরিবারে সাইয়্যেদের শোয়াইব ও চাহাইয়া নামের ১৫ বছর বয়সী জমজ ভাই-বোন রয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
পরিবারের অবস্থা তুলে ধরে সাইয়্যেদের ৪২ বছর বয়সী সৎবোন হেনরি বলেন, “বাড়িতে তারা সবাই অপেক্ষা করছে। কেবলই অপেক্ষা করছে। তারা জানে না কী করবে। তারা খুবই উদ্বিগ্ন।”সাইয়্যেদ আপাদমস্তক একজন ভালো ছেলে ছিল বলে জানালেন হেনরি। খেলাধুলা প্রিয় এক কিশোর ছিল সে; ফুটবল ও ফুটসাল সকার খেলতো। দেখতে আর দশটা কিউই বালকের মতোই মনে হতো।নিউজিল্যান্ডের মতো দেশে ঘটা এমন হামলা মেনে নিতে পারছেন হেনরি।
সাইয়্যেদের বোন চাহাইয়া জানান, জাতীয় দলের ফুটবলার হওয়ার স্বপ্ন ছিল তার ভাইয়ের।সে গোলরক্ষক হিসেবে খেলত। দুই সপ্তাহের মধ্যে ওয়েলিংটনে অনুষ্ঠেয় একটি ফুটসাল টুর্নামেন্টে খেলার জন্য সাইয়্যেদ খুব মুখিয়ে ছিল বলে জানালেন তার বোন।চাহাইয়া বলেন, “ও অমায়িক ও ভদ্র একটা ভাই ছিল। তাকে অনেক মিস করব।”