ফাঁদে পড়েই মোদিকে অভিনন্দন জানিয়েছে বিএনপি
প্রকাশিত হয়েছে : ২:০২:৪১,অপরাহ্ন ০৮ জুন ২০১৫
নিউজ ডেস্ক :: ফাঁদে পড়েছে বিএনপি। ওই ফাঁদে পড়েই মোদিকে অভিনন্দন জানিয়েছে তারা। তারা নিজেদের রক্ষা করার জন্য এখন অনেকের পা ছোঁবে, কিন্তু কোনো লাভ হবে না বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
সোমবার দুপুরে রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমীর মহড়া কক্ষে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট আয়োজিত ‘বিএনপি ভারতমুখী কেন?’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এ সব কথা বলেন তিনি।
হাছান মাহমুদ বলেন, আমি ৫ তারিখে নয়া দিল্লিতে ছিলাম। সেখানে একজন আমাকে জিজ্ঞেস করল, ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর বাংলাদেশ সফর নিয়ে বিএনপি-জামায়াত অভিনন্দন জানিয়েছে, আপনি কী মনে করেন? এটা রিয়্যাল না ট্যাকটিক্যাল? আমি বললাম, আপনার প্রশ্নের মধ্যেই উত্তর নিহিত আছে।
তিনি বলেন, নরেন্দ্র মোদির সফর নিয়ে বিএনপির ভাব এমন যে, আমাদের সঙ্গে একটু দেখা দিন। তারা বলছে, আওয়ামী লীগের উচিত আমাদের সঙ্গে আলোচনা করা। অর্থাৎ আমাদের সঙ্গে একটু কথা কন। আমরা এত দিন যে আন্দোলন করছি, এটা ভুল করছি।
আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দেখা করার পর বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে বাংলাদেশে গণতন্ত্র অনুপস্থিতের কথা বলেছি। এর উত্তরে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী কী বলেছেন তিনি তার উত্তর দেননি। তিনি বললেন, ভারতের পররাষ্ট্র সচিব সংবাদ সম্মেলন করবেন তার কাছ থেকে জেনে নিয়েন। ভারতের পররাষ্ট্র সচিব সাংবাদিকদের সঙ্গে বলেছেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে বলেছেন আমরা জঙ্গিবাদ-সন্ত্রাস পছন্দ করি না। অর্থাৎ আপনারা যে জঙ্গিবাদের সঙ্গে জোট করে নিজেরাও জঙ্গি হয়ে গেছেন। বিএনপি যতই দেখা করুক, এই পথ না ছাড়লে আপনার কোনো গতি নেই।
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বিজেপি যখন ক্ষমতায় আসলো তখন বিএনপির মধ্যে উৎসবের আমেজ। বিএনপি তখন মনে করেছিল ৫ জানুয়ারি নির্বাচনের মাধ্যমে যে সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে সে সরকারকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেবে। যখন নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে কাজ করার ঘোষণা দিলেন এবং বললেন, বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করেছে, বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনা বাংলাদেশ রক্ষা করেছে। তখন বিএনপি চেহারা ফ্যাকাসে হয়ে গেল।
তিনি বলেন, খালেদা জিয়া জ্বালাও-পোড়াও করলেন। আপোষহীন নেত্রী মনে করেছিলেন মানুষ হত্যা করে তিনি সরকারকে টেনে নামাতে পারবেন। কিন্তু তিনি নিজেই নেমে শূন্য হাতে পরাজয়ের গ্লানি নিয়ে ঘরে ফিরে গেছেন। বিএনপির রাজনীতি এখন পথহারা পথিকের মতো। কোন দিকে যাবে বুঝতে পারছে না। কোন দিক থেকে শুরু করবে সেটাও বুঝতে পারছে না। বিএনপি নেতারা এখন প্রকাশ্যে বলা শুরু করেছে, এই বিএনপি এবং খালেদাকে দিয়ে হবে না। কারণ খালেদা জিয়া বিএনপিকে নেতৃত্ব দিতে ব্যর্থ হয়েছেন।
বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সিনিয়র সহসভাপতি অভিনেতা এ টি এম শামসুজ্জামানের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে আরো বক্তব্য রাখেন- অরুণ সরকার রানা, এম এ করিম, শাহজাহান সাজু, বলরাম পোদ্দার, ফ্রান্স আওয়ামী লীগের সভাপতি বেনজির আহমেদ প্রমুখ।