ফরিদপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২৬, আহত ১৯
প্রকাশিত হয়েছে : ১১:৩৪:০২,অপরাহ্ন ০৯ এপ্রিল ২০১৫
নিউজ ডেস্ক::
ফরিদপুর জেলার ভাঙ্গা উপজেলার পূর্বসদরর্দী নামক স্থানে মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় ৫মহিলা, ১ শিশুসহ ২৬জন নিহত হয়েছে। আজ রাত ১.১৫ মিনিট ঢাকা থেকে কুয়াকাটাগামী সোনার তরী পরিবহনের একটি বাস ভাঙ্গার কৈডুবী নামক স্থানে চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সাথে ধাক্কা দিলে ঘটনাস্থলে ১৯ জন ও হাসপাতালে নেওয়ার পথে আরো ৭ জন সহ মোট ২৬ জন নিহত হয়। আহতদের মধ্যে ৬ জনের অবস্থা আশংকাজনক বলে জানিয়েছেন সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসকেরা। নিহতদের মরদেহ ভাঙ্গা হাইওয়ে থানায় রাখা হয়েছে।
এ পর্যন্ত নিহতর সংখ্যা ২৬ জন। ফরিদপুর ভাঙ্গা থানার হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ মো. হোসাইন জানান, রাত দেড়টার দিকে ঢাকা বরিশাল মহাসড়কের সদরদী নামক স্থানে এ দুর্ঘটনাটি ঘটে। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে ছুটে যান। তারা উদ্ধার তৎপরতা চালান। ফরিদপুরের সহকারী পুলিশ সুপার বেলাল হুসাইন জানান, দুর্ঘটনার পর পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে হাইওয়ে থানায় নিয়ে যায়। মহাসড়কে ডিউটিরত ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী আনসার সদস্য সাইদুর রহমান ও স্বপন হাওলাদার জানান, দ্রুতবেগে গাড়ীটি গিয়ে গাছের সাথে ধাক্কা লেগে দু ভাগ হয়ে যায়। দুর্ঘটনা কবলিত বাসটির যাত্রী পটুয়াখালীর আইয়ুব জানান, বাসের চালক ঘুমিয়ে পড়ার কারণেই দুর্ঘটনাটি ঘটে। ভাঙ্গা হাইওয়ে থানা পুলিশ দুর্ঘটনা কবলিত বাসটি উদ্ধার করে থানায় নেয়া হয়েছে। এ পর্যন্ত নিহত ১০ জনের পরিচয় পাওয়া গেছে, এরা হলেন পটুয়াখালীর কলাপাড়ার একই পরিবারের আসমা বেগম, আমেনা আক্তার ও শাহীন। পটুয়াখালীর সোহাগ, রাসেল, শাহরিয়ার, রেজাউল ইসলাম, সূর্য্য বেগম, হেলাল, গোপালগঞ্জের শফিকুল ইসলাম।
ইতোমধ্যে পরিচয় পাওয়া ১০টি লাশ তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। দুর্ঘটনার পর ফরিদপুর জেলা প্রশাসনের তরফ থেকে ৫সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আব্দুর রশিদকে প্রধান করে এ তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির অপর সদস্যরা হলেন, ফরিদপুরের ভাঙ্গা সার্কেল সামসুল হক পিপিএম, ফায়ার সার্ভিস সিভিল ডিফেন্স ফরিদপুরের সহকারী পরিচালক খন্দকার সামুসুদ্দোহা, বিআরটিএর ফরিদপুরের সহকারী পরিচালক মোঃ নুরুজ্জামান এবং হাইওয়ে পুলিশ মাদারীপুর অঞ্চলের সহকারী পুলিশ সুপার বেলাল হুসাইন। কমিটিকে আগামী ৭দিনের মধ্যে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে। জেলা প্রশাসনের তরফ থেকে আহতদের চিকিৎসার জন্য সকল ব্যয়ভার গ্রহণ করা এবং নিহতদের পরিবারের কাছে ১০ হাজার টাকার সাহায্য প্রদান করা হবে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক সরদার সরাফত আলী। এদিকে, ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি থাকা রোগীদের মধ্যে আশংকাজনক থাকায় ৫ জনকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ফরিদপুর-৪ আসনের সংসদ সদস্য মজিবুর রহমান নিক্সন চৌধুরী ঘটনাস্থলে ছুটে যান। পরে তিনি স্থানীয় প্রশাসনকে আহতদের সু-চিকিৎসার প্রদানের জন্য নির্দেশ দেন।
সূত্র : ইনকিলাব।