প্রয়োজনীয় তথ্য জেনেই কিনুন স্বল্প মূল্যের স্মার্টফোন
প্রকাশিত হয়েছে : ৫:৪০:৩২,অপরাহ্ন ১২ জুন ২০১৫
তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্ক::
কমদামের স্মার্টফোন কিনতে গেলে প্রথমে অাপনাকে দেখতে হবে, আপনি যে স্মার্টফোনটি কিনছেন তা হাই-এন্ড বা ফ্ল্যাগশিপ মডেলের কোনো স্মার্টফোন নয়।
আপনার কেনা স্মার্টফোনটির সঙ্গে ওই ফোনের তুলনা করা ঠিক হবে না। কম দামের স্মার্টফোন কিনতে গেলে আপনাকে স্ক্রিনের রেজুলেশন, দ্রুতগতির প্রসেসর, র্যাম ও ক্যামেরার মান নিয়ে আপস করতে হবে।
ব্যাটারির আয়ু কিংবা ফোনের নির্মাণ মানের সঙ্গেও উন্নত স্মার্টফোনের মিল পাবেন না। এই বিষয়গুলো মেনে নিয়েই কম দামের স্মার্টফোন কিনতে হবে।
প্রয়োজনীয় ফিচার
কম দামের স্মার্টফোন নির্মাতারা প্রয়োজনীয় বেশ কিছু ফিচার স্মার্টফোনে দেয় না। ইন্টারনাল স্টোরেজ চার গিগাবাইটের পরিবর্তে দুই গিগাবাইট দিয়ে দেয়। রেজুলেশন কমিয়ে দেয়।
৪.৭ ইঞ্চি মাপের স্ক্রিনের রেজুলেশন ৮০০ বাই ৪০০ পিক্সেলের কম হতে পারে। অনেক সময় ওয়াই-ফাই, ব্লুটুথের মতো সুবিধাও থাকে না। ক্যামেরায় অটো ফোকাস সুবিধাও থাকে না। কম দামের স্মার্টফোন কেনার সময় আপনার দরকারি ফিচারগুলো সব আছে কি না তা যাচাই করে নেবেন।
হার্ডওয়্যার
কম দামের স্মার্টফোন শুধু নাম শুনে কেনার পরিবর্তে হার্ডওয়্যার যাচাই করে কিনুন। কম দামের ফোন মানে একেবারে নিম্নমানের হার্ডওয়্যার থাকবে তা ঠিক নয়। শুরুতেই প্রসেসর দেখে নিন। এখন সাশ্রয়ী স্মার্টফোনেও অক্টা কোর প্রসেসর পাওয়া যায়। র্যাম দেখে নিন। যত বেশি র্যাম হবে তত ভালো।
স্মার্টফোনে বাড়তি জায়গার জন্য কার্ড লাগানো যাবে কি না তা যাচাই করে দেখুন। ইন্টারনাল স্টোরেজ বেশি হলে ভালো। এ ছাড়াও ডিসপ্লের রেজুলেশন ও আকার, ব্যাটারিতে চার্জ কতক্ষণ থাকে তা দেখে নিন।
হালনাগাদ অপারেটিং সিস্টেম
বাজারে সাশ্রয়ী ফোনের মধ্যে অ্যান্ড্রয়েডচালিত বেশ কয়েকটি মডেলের ফোন, উইন্ডোজ ফোন ও পুরোনো মডেলের ব্ল্যাকবেরি ফোন পাবেন। স্মার্টফোন কেনার আগে আপনার ফোনটিতে হালনাগাদ অপারেটিং সিস্টেম আছে কি না তা যাচাই করে নিন। আপনার ফোনটি অপারেটিং সিস্টেমের হালনাগাদ সংস্করণ এলে তা সমর্থন করবে কি না তা নিশ্চিত হয়ে নিন।
মনে রাখবেন, একেক অপারেটিং সিস্টেমের জন্য হার্ডওয়্যারের প্রয়োজনীয়তা একেক রকম। উইন্ডোজ ফোনের সাম্প্রতিক সংস্করণগুলোতে অ্যান্ড্রয়েডের তুলনায় (উইন্ডোজ ফোন ৮ এর ওপরে) প্রসেসর ও র্যাম কম হলেও অসুবিধা নেই। ফোনে থার্ড-পাটির কতগুলো অ্যাপ আগে থেকে ইনস্টল করা আছে তা পরীক্ষা করুন এবং তা সরানো যাবে কি না দেখে নিন। এই অ্যাপগুলো ফোনের পারফরম্যান্সে ব্যাঘাত ঘটাতে পারে।
বিক্রয়োত্তর সেবা
অধিকাংশ স্মার্টফোনে এক বছর পর্যন্ত বিক্রয় পরবর্তী সেবার নিশ্চয়তা থাকে। কিন্তু কাছাকাছি সেবাকেন্দ্র না থাকলে এই ওয়ারেন্টি কোনো কাজে আসে না। আপনার পছন্দের স্মার্টফোনটির বিক্রয় পরবর্তী সেবার বিষয়টি ওই ব্র্যান্ডের ওয়েবসাইটে দেওয়া আছে কি না দেখে নিন। বর্তমানে অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানে স্মার্টফোনের খুচরা যন্ত্রাংশের অভাব দেখা যায়।
(টাইমস অব ইন্ডিয়া)