প্রস্তুত ৩ ব্যাটালিয়ন সেনাবাহিনী
প্রকাশিত হয়েছে : ৩:৫০:২৭,অপরাহ্ন ২৭ এপ্রিল ২০১৫
নিউজ ডেস্ক::
নির্বাচনের দিনে ও নির্বাচনের পরের দিনে যে কেনো পরিস্থতি নিয়ন্ত্রণ করার জন্য পাঁচ সেনানিবাসে তিন ব্যাটালিয়ন সশস্ত্র সেনা প্রস্তুত রয়েছে। রিটার্নিং আফিসার ডাকা মাত্রই তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে পৌঁছবে। সূত্রমতে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য রিটার্নিং অফিসার যেখানে তাদের সহায়তা প্রয়োজন বলে জানাবেন এর ঠিক ১৫ মিনিট থেকে ত্রিশ মিনিটের মধ্যে সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে যাবে। সেই হিসেবে তাদের প্রস্তুত রাখা ছাড়াও তাদের অভিযানে যাওয়ার জন্য যেসব সরঞ্জামাদি ও অস্ত্র প্রয়োজন সেগুলোও প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
গত মঙ্গলবার নির্বাচন কমিশন থেকে ২৬-২৯ এপ্রিল পর্যন্ত তিন সিটিতে তিন ব্যাটালিয়ন সেনা মোতায়েন করার কথা জানিয়ে সশস্ত্র বাহিনী বিভাগে চিঠি দেয় কমিশন। এরপর আবার ওই চিঠিতে সংশোধনী আনে। সেখানে সেনাবাহিনীকে স্ট্রাইকিং ফোর্সের পরিবর্তে রিজার্ভ ফোর্স হিসেবে রাখার অনুরোধ করা হয়। সেই হিসেবে তারা সেনানিবাসেই অবস্থান করবেন। রিটার্নিং অফিসার তলব করলে তারা সহায়তা করবেন।
কমিশনের পরিবর্তিত সিদ্ধান্ত মোতাবেক ও কমিশনের আবেদনের প্রেক্ষিতে সশস্ত্র বাহিনী থেকে সেনাবাহিনীর তিন ব্যাটালিয়ন সদস্যকে নির্বাচনের আগে দুই দিন, নির্বাচনের দিন ও নির্বাচনের পরের দিনে সহায়তা করার জন্য প্রস্তুত রাখার আদেশ দেন। সেই হিসেবে সেনাবাহিনীর সংশ্লিষ্ট বিভাগ তাদেরকে প্রস্তুত রেখেছে।
নির্বাচন কমিশন সূত্র বলছে, সেনাবাহিনীর তিন ব্যাটালিয়ন সদস্য চেয়েছে নির্বাচন কমিশন। কমিশনের আবেদনের প্রেক্ষিতে সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ থেকে সেনাবাহিনীর অপারেশন পরিচালনা বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্টদের কাছে সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের আদেশের কপি প্রেরণ করে। সেই হিসেবে তারা শনিবারই সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করে।
সূত্র জানায়, তিন ব্যাটালিয়ন সেনা সদস্যর মধ্যে প্রায় আড়াই হাজার সদস্য রয়েছে। তাদেরকে নির্বাচনের জন্য আলাদা করে রাখা হয়নি। যখন প্রয়োজন হবে ওই সময়ে যারা দায়িত্বে থাকবেন তাদেরকেই পাঠানো হবে। সেনা সদস্যরা যখন মাঠে নামবেন তখন তারা সশস্ত্র অবস্থায় নামানো হবে কি না জানতে চাইলে সূত্র জানায়, এ ক্ষেত্রে সেনাবাহিনী সশস্ত্র অবস্থায়ই নামে। এবারও তেমনটি নামবে।
রিটানিং অফিসার সহায়তা চাইলে কতক্ষণ লাগতে পারে জানতে চাইলে সূত্র জানায়, আদেশ অনুযায়ী বলা হয়েছে রিটানির্ং অফিসার চাওয়ার ১৫ মিনিট থেকে আধঘণ্টার মধ্যে তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছে যাবে। পরিস্থিতি দ্রুত সময়ের মধ্যে নিয়ন্ত্রণে আনবে।