প্রশ্নপত্র ফাঁস গুজব ছড়ালে কঠোর ব্যবস্থা : শিক্ষামন্ত্রী
প্রকাশিত হয়েছে : ১:২৭:৩৯,অপরাহ্ন ১৪ জানুয়ারি ২০১৫
নিউজ ডেস্ক::
শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন, আসন্ন এসএসসি পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁস বা ফাঁসের গুজব ছড়ানো, ফেসবুকে প্রশ্নপত্রের নামে হুজুগ সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। পাবলিক পরীক্ষা আইন ১৯৮০ (সংশোধিত ১৯৯৮)-এর আলোকে শাস্তির বিধান নিশ্চিত করা হবে। ফেসবুকে সাজেশন প্রদান অপরাধ হিসেবে উল্লেখ করে ত্বড়িৎ শাস্তির ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। বুধবার আসন্ন এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা সুষ্ঠু, নকলমুক্ত এবং ইতিবাচক পরিবেশে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে গঠিত জাতীয় মনিটরিং কমিটির দ্বিতীয় সভায় তিনি এ হুঁসিয়ারি উচ্চারণ করেন।
কমিটি এসএসসি পরীক্ষা বিষয়ক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ, প্রশ্নপত্র ফাঁস বা ফাঁসের গুজব ছড়ানো রোধ, ফেসবুকে প্রশ্ন সরবরাহকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার সর্বাত্মক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আসন্ন এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে ইতোমধ্যে নানা রকমের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষাকে সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করাকে গুরুত্বপূর্ণ বিবেচনায় অগ্রাধিকার দেয়ার বিষয়ে দেশের সকল বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, উপজেলা নির্বার্হী কর্মকর্তা ও ভারপ্রাপ্ত কর্মকতাগণের নিকট শিক্ষাসচিবের ডিও পত্র প্রেরণ করা হয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে পরীক্ষা সংক্রান্ত কন্ট্রোল রুমের জন্য লিংক স্থাপন করা হয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটের হোমপেজে ঊীধস ঈড়হঃৎড়ষ জড়ড়স নামক মেনুতে কন্ট্রোল রুমের ই-মেইল আইডি, জাতীয় মনিটরিং কমিটির সদস্যগণের ফোন নম্বর ও ইমেইল আইডি থাকবে।
শিক্ষামন্ত্রী জানান, আসন্ন এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে একটি সক্রিয় ও ত্বরিৎ কার্যক্ষম একটি কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে (কক্ষ নং ১৯২২, ভবন নং ০৬, বাংলাদেশ সচিবালয়)। কন্ট্রোল রুমে ল্যান্ড ফোন (৯৫৪৯৩৯৬), দু’টি ইউনিক মোবাইল ফোন (০১৭৭৭-৭০৭৭০৫ ও ০১৭৭৭-৭০৭৭০৫), ইন্টারনেট কানেকশন নেয়া হয়েছে। এখানে একাধিক আইটি বিশেষজ্ঞ থাকবে। ফেসবুকে বা অন্য কোনোভাবে তথ্য পাওয়ার সাথে সাথে বিটিআরসি, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থাকে জানিয়ে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেয়া হবে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একজন উপসচিব পর্যায়ের কর্মকর্তাকে কন্ট্রোল রুমের ইনচার্জের দায়িত্ব দেয়া হবে। তার নাম ও মোবাইল নম্বর ওয়েবসাইটে থাকবে। একইভাবে দেশের ১০টি বোর্ডেই ভিন্ন ভিন্ন কন্ট্রোল রুম খোলা হবে।
ইতোমধ্যে পরীক্ষা চলাকালীন নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ করার জন্য বিদ্যুৎ বিভাগে, পরীক্ষা কেন্দ্র থেকে উত্তরপত্র এবং ওএমআরসহ গোপনীয় কাগজপত্র শিক্ষা বোর্ডসমূহে প্রেরণের লক্ষ্যে ডাকঘর খোলা রাখার জন্য ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ে এবং পরীক্ষা কেন্দ্র থেকে উত্তরপত্র এবং ওএমআরসহ গোপনীয় কাগজপত্র শিক্ষা বোর্ডসমূহে প্রেরণের লক্ষে রেলওয়ে পার্সেল বিভাগ খোলা রাখার জন্য রেলপথ মন্ত্রণালয়ে পত্র দেয়া হয়েছে বলে জানান শিক্ষামন্ত্রী।
জাতীয় মনিটরিং কমিটির আহ্বায়ক শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন ও অর্থ) স্বপন কুমার সরকারের সভাপতিত্বে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত এ সভায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এ এস মাহমুদ, শিক্ষা বোর্ডসমূহের চেয়ারম্যানগণ, যুগ্মসচিব (মাধ্যমিক) রুহী রহমান, জাকির হোসেন ভূঁইয়া, তথ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম, ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারের অতিরিক্ত পরিচালক (অপারেশন) লে: কর্ণেল রাইসুল ইসলাম, সিআইডির অতিরিক্ত ডিআইজি মোখলেসুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ডিবি) ডিএমপি শেখ মুহম্মদ মারুফ হাসান, র্যা ব সদর দপ্তরের উপপরিচালক (অপারেশনস্) মেজর ইবনে মঞ্জুরুল খালিদ, উপপুলিশ কমিশনার ডিবি (ডিএমপি উত্তর) শেখ নাজমুল আলম, এএসপি সিটি-এসবি নাজমুল হক, পুলিশ হেড কোয়ার্টারের সিনিয়র এএসপি আমজাদ হোসাইন, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপপ্রধান তথ্য অফিসার সুবোধ চন্দ্র ঢালী, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপসচিব (অধিশাখা-১০), মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের উপসচিব সাইদুর রহমান, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব শিবানী ভট্টাচার্য, মুদ্রণ ও প্রকাশনা অধিদপ্তরের (বিজি প্রেস)-এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক আব্দুল মালেক, বিটিআরসির সহকারী পরিচালক তৌফিক শাহরিয়ার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।