প্রধানমন্ত্রীর মৌখিক নির্দেশ দায়মুক্তির গ্যারান্টি দিতে পারে না
প্রকাশিত হয়েছে : ৯:০৮:২২,অপরাহ্ন ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৫
নিউজ ডেস্ক::
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সালাহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, সংবিধানকে এক ব্যক্তির অভিব্যক্তি হিসেবে রূপান্তর করা হয়েছে। তিনি প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে হুশিয়ার করে বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর মৌখিক নির্দেশ নির্যাতনের দায়মুক্তির গ্যারান্টি দিতে পারে না।
আজ বুধবার দুপুরে এক বিবৃতিতে এ কথা বলেন তিনি।
মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিনষ্টকারী অবৈধ সরকার সংবিধানের দোহাই দিয়ে গদি রক্ষা করতে চায়। জনগণের অভিপ্রায়ের পরম অভিব্যক্তিরূপে সংবিধান প্রজাতন্ত্রের সর্বোচ্চ আইন। অথচ সেই সংবিধানকে এক ব্যক্তির অভিব্যক্তি হিসেবে রূপান্তর করা হয়েছে পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে।
চলমান গণ-আন্দোলনকে কলুষিত করার ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে পুলিশি রিমান্ডে নির্যাতনের মাধ্যমে কিছু ব্যক্তির মুখ দিয়ে বলানো হচ্ছে নাশকতার সঙ্গে বিএনপি ও ২০ দলীয় জোটের নেতারা জড়িত।
জনগণ এ ধরনের সরকারি চক্রান্ত ও অপপ্রচারে বিশ্বাস করে না বলে বিবৃতিতে দাবি করে বলা হয়, জনগণ প্রত্যক্ষ করছেন যে, রাতের অন্ধকারে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের ক্রসফায়ারে হত্যা করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আষাঢ়ে গল্প সাজাচ্ছে। তিনি রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থকরণের এ-জাতীয় ঘৃণ্য চক্রান্তের বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।
নিষ্ঠুর ও পৈশাচিক কর্মকাণ্ডের দায় সরকারি বাহিনী এড়াতে পারবে না বলে হুঁশিয়ারি করে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব বলেন, প্রধানমন্ত্রীর মৌখিক নির্দেশ সিভিল প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে দায়মুক্তির গ্যারান্টি দিতে পারে না। বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব আবারও অভিযোগ করেন, সরকারি দলের দুর্বত্তরা পেট্রলবোমা ও অন্যান্য অবৈধ অস্ত্রসস্ত্রসহ বিভিন্ন জায়গায় ধরা পড়লেও তাদের গ্রেফতার কিংবা আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না।
আমরা গভীর উদ্বেগের সাথে লক্ষ করছি, খালেদা জিয়ার অবরুদ্ধ আবাসস্থলের সন্নিকটে সরকারপন্থী কিছু সংগঠন হরতাল-অবরোধবিরোধী নাটক মঞ্চস্থ করছে এবং দেশনেত্রীর নিরাপত্তা বিঘ্নিত করার অপচেষ্টা করা হচ্ছে।” খালেদা জিয়ার নিরাপত্তা বিঘ্নিত করার যেকোনো প্রচেষ্টা শাসকশ্রেণীর নিরাপত্তাবেষ্টনীকে দুর্বল করে তুলতে পারে বলে তিনি হুঁশিয়ারি করেন।
চলমান অবরোধ-হরতাল কর্মসূচি শান্তিপূর্ণভাবে পালন করতে বিএনপি ও ২০ দলীয় জোটের নেতা-কর্মীসহ দেশবাসীকে আহ্বান জানানো হয় বিবৃতিতে।