প্রধানমন্ত্রীকে জনগণের ইচ্ছা-অনিচ্ছার প্রতি সম্মান দেখাতে বললেন —আব্দুল কাদের সিদ্দিকী
প্রকাশিত হয়েছে : ১২:৪৭:২০,অপরাহ্ন ০১ ফেব্রুয়ারি ২০১৫
নিউজ ডেস্ক :: প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর আব্দুল কাদের সিদ্দিকী বলেছেন, ‘আপনি সব রাস্তা বন্ধ করবেন না, কেয়ামত পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকবেন না। দেশের মালিক জনগণ। তাই তাদের ইচ্ছা-অনিচ্ছার প্রতি সম্মান দেখান। বঙ্গবন্ধু কন্যা-এখনও সময় আছে বলুন আপনি প্রয়োজনে চাডালের সঙ্গেও আলোচনায় বসবেন।’
তিনি বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনাকে নাকে খত দিতে বলিনি, সঙ্কট সমাধানে আলোচনায় বসুন।’
রোববার দুপুরে রাজধানীর মতিঝিলে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের দলীয় কার্যালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচির পঞ্চম দিনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় তিনি আওয়ামী লীগ নেতা তোফায়েল আহমেদ, মতিয়া চৌধুরী ও জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনুর সমালোচনা করেন।
খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর মৃত্যুকে আল্লাহর গজব অভিহিত করে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা ম-লীর সদস্য ও বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদের বক্তব্য প্রসঙ্গে কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘আপনি ৬৯’র গণঅভ্যুত্থানের নেতা। এমন কথা কেউ বলে? পাগলও বলে না। এ সব বলে পার পাবেন না।’
কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতি ম-লীর সদস্য মতিয়া চৌধুরীর উদ্দেশে বঙ্গবীর বলেন, ‘এক সময় তিনি বঙ্গবন্ধুর চামরা দিয়ে ঢুকঢুকি বাজাতেন। তার সঙ্গে আমি কথাও বলি না। কারণ হাসি মুখে তিনি কথা বলতে শেখেননি। তিনি আজকে আমার বোনের (প্রধানমন্ত্রীর) পাশের ছায়া।’
তথ্যমন্ত্রী ও জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনুর সমালোচনা করে বলেন, ‘সারাজীবন তিনি আওয়ামী লীগের ধ্বংস চেয়েছেন। এখন তিনি আওয়ামী লীগ সরকারের মুখপাত্র। বঙ্গবন্ধু মহান ছিলেন বলেই তিনি এখনও বেঁচে আছেন।’
প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘তিনি মায়ের মত মানুষ। কিন্তু তার পাশে শয়তানগুলো মনে হয় ভুলবাল বুঝাচ্ছে। আপনি বুকে হাত দিয়ে বলুন তো ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে মানুষ ভোট দিতে পেরেছে কী না? ১৫৪ আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আপনারা জিতেছেন। আপনি বৈধ হন আর অবৈধ হন, দেশে শান্তি ফিরে আনেন। আলোচনায় বসুন।’
এ দিকে খালেদা জিয়া ও বিএনপি নেতাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ’২৬ দিন ধরে অবরোধ চলছে। রাজনীতি একদিনের ব্যাপার না। বেগম খালেদা জিয়া আপনাকে বলব আপনি অবরোধ তুলে নেন। বাচ্চাদের এসএসসি পরীক্ষা। তাদের পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ দেন।’
যতদিন সম্ভব হয় দুইনেত্রীকে আলোচনায় বসাতে মতিঝিলে অবস্থান করবেন জানিয়ে কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘জামায়াতে ইসলামী ছাড়া সবার জন্য আমার দরজা খোলা। জামায়াতে ইসলামীও যদি দলীয়ভাবে জনগণের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে, ৭১-এর ভূমিকার জন্য যদি বলে ভুল করেছি তাহলে তাদের জন্যও বিবেচনা করে দেখব আমার দরজা খোলা যায় কিনা। আল্লাহর দুনিয়ায়কে রাজা আর কে কখন প্রজা বলা যায় না। তিন মাস আগেও আমার ভাই (লতিফ সিদ্দিকী) মন্ত্রী ছিলেন। এখন তিনি কারাগারে। আজকে যারা মন্ত্রী আছেন তাদেরও যে মন্ত্রীত্ব থাকবে সে কথা বলা যায় না।’
এ সময় কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান খোকা বীর প্রতীক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইকবাল সিদ্দিকী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।