পুলিশে চাকুরী দেয়ার নামে মৌলভীবাজারে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিতে তৎপর একটি চক্র
প্রকাশিত হয়েছে : ৩:১৮:৪২,অপরাহ্ন ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৫
মৌলভীবাজার সংবাদদাতা::
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলায় পুলিশ বাহিনীতে চাকুরী দেয়ার আশ্বাস দিয়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিতে তৎপর একটি চক্র। ইতি মধ্যে ওই চক্র মধ্যবিত্ত ঘরে সন্তানদেরকে টাগের্ট করে মাঠে নেমেছে এবং লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে বলে জানিয়ে সবাইকে সর্তক থাকার আহবান জানিয়েছেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান। আগামী ২৩ ফেব্রুয়ারী মৌলভীবাজার পুলিশ লাইনে নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্টিত হবে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, সরকার সম্প্রতি বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীতে লোক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। তার অংশ হিসাবে আগামী ২৩ ফেব্রুয়ারী মৌলবীবাজার জেলা পুলিশ লাইনে নিয়োগ পরীক্ষা নেয়া হবে। কিন্তু সেই নিয়োগকে কেন্দ্র করে জেলার কমলগঞ্জ, শ্রীমঙ্গল, কুলাউড়া, বড়লেখা, রাজনগর ও জুড়ি উপজেলায় একটি গোষ্টি বা চক্র লাখ লাখ হাতিয়ে নিতে তৎপর হয়ে উঠেছে। কমলগঞ্জ উপজেলায় সেই চক্রটি বেশি তৎপর বলে জানা গেছে। কমলগঞ্জের সহজ সরল মধ্যবিত্ত পরিবার এর এসএসসি পাশ যুবকদের টাগের্ট করে তারা মাঠে নেমে পড়েছে। এলাকার কিছু ব্যক্তি আদমপুর, শমসেরনগর, রহিমুপর, কমলগঞ্জ, মাধপুর এলাকায় নিজেদেরকে মন্ত্রী,এমপি, অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা ও রাজনীতিক নেতাদের সাথে ঘনিষ্ট সর্ম্পক রয়েছে বলে প্রচার করে পুলিশ বাহিনীতে চাকুরী দেয়া হবে বলে টাকা হাতিয়ে নেয়ার চেষ্টা লিপ্ত। টেলিফোনে কোন কোন মধ্যবিত্ত পরিবার এর সাথে যোগাযোগ করে চাকুরীর অফার দিচ্ছে এবং ইতি মধ্যে ওই চক্রটি অগ্রিম টাকা নিয়ে নিচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। কিছু পরিবার চাকুরীর লোভে তাদের অফার গ্রহন করছেন এবং নগদ টাকা দিচ্ছেন। সরাসরি কোন টাকা লেনদেনকারী অভিযোগ না দিলেও ওই চক্র লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়ার তৎপরতার খবর মৌলবীবাজার পুলিশ সুপারের কার্যালয় বিষয়টি অবগত হলে পুলিশ সুপার কমলগঞ্জ উপজেলার উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও থানাকে এ ব্যাপারে নজর রাখার নিদের্শ দিয়েছেন। পুলিশ সুপারের কাছ থেকে সংবাদ পাওয়ার বিষয়টি তুলে ধরে ১৬ ফেবুয়ারী কমলগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত একুশের প্রস্তুতি সভায় উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অধ্যাপক রফিকুর রহমান স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, সুধীজন ও প্রশাসনকে জনসাধারণকে প্রতারক চক্রটির প্রতি থেকে দুরে থাকতে বলার জন্য সবাইকে অনুরোধ করেন। ওই সভায় উপস্থিত ছিলেন ওসি তদন্ত বদরুল হাসান ।
একটি সূত্র জানায়, কমলগঞ্জ থানা পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করে প্রতারণা সাথে জড়িত কয়েকজনকে মৌখিক ভাবে সর্তক করে দিয়েছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অধ্যাপক রফিকুর রহমান বলেন, পুলিশ সুপার বিষয়টি আমাকে অবগত করেছেন এবং প্রত্যেক ইউপি চেয়ারম্যানদেরকে এলাকার জনগনকে প্রতারকের বিষযটি বলার জন্য জানিয়ে দিয়েছি। কমলগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) বদরুল হাসান, একুশে প্রস্তুতি সভায় প্রতারক চক্রের কথা জানালেও এ প্রতিনিধিকে প্রতারক চক্রের তৎপরতার কথা অস্বীকার করে বলেন, আমরা এ ধরনের কোন খবর পাইনি।