পুলিশের সাহায্য নিয়ে র্যালী করেছে সিলেট ছাত্রদলের নতুন কমিটি
প্রকাশিত হয়েছে : ১:০৯:৩৩,অপরাহ্ন ০৮ নভেম্বর ২০১৪
সংবাদদাতা: বিদ্রোহীদের ভয়ে দীর্ঘ ১ মাস ২২ দিন অবরুদ্ধ থাকার পর পুলিশের সাহায্য নিয়ে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে বনার্ঢ্য র্যালী করেছে নতুন কমিটির নেতারা। শনিবার বিকাল ৪ টায় ঐতিহাসিক রেজিষ্টারী মাঠ থেকে এই র্যালী বের হয়ে আম্বরখানা পয়েন্টে গিয়ে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মধ্যে দিয়ে সমাপ্ত হয়। এদিকে ছাত্রদলের বিদ্রোহীরা বন্দরবাজার কোর্ট পয়েন্টে সেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচির পালনের অনুমতি পেয়ে পুলিশের বাধায় কর্মসূচি পালন করতে পারেন নি বলে অভিযোগ উঠেছে। পুলিশ বিদ্রোহী নেতাদেরকে গ্রেফ্তার করার জন্য বিকাল ১ টায় থেকে বন্দবাজার ডায়বেটিস হাসপাতালের সামনে অবস্থান নেয়। এদিকে নতুন কমিটির র্যালী বন্দরবাজার এসে পৌছলে পুলিশ ৫-৭ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়ে। এসময় র্যালীতে অংশ গ্রহন করা নেতাকর্মীরা চারদিকে ছোটাছুটি করতে শুরু করলে এক পুলিশ কর্মকর্তা তখন তাদেরকে হাত নেড়ে ডেকে র্যালীতে নিয়ে আসেন বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান। অপরদিকে বিদ্রোহী নেতাকর্মীরা র্যালীতে আক্রমন করার জন্য ডায়বেটিস হাসপাতালেরর গলির ভিতরে অবস্থান করছেন এমন সংবাদ পুলিশের কাছে থাকায় তারা গুলি ছোড়ে নতুন কমিটিকে পথ পরিস্কার করে দিয়েছেন বলে একটি সুত্রে জানা যায়। এছাড়া ছাত্রদলের নতুন কমিটির এক পক্ষ ভুমিকা নিয়ে চলছে নগরীতে আলোচনা ও সমালোচনা।
এদিকে বিদ্রোহীদের ভয়ে আম্বরখানা পয়েন্টে গিয়ে এ সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করে নতুন কমিটির নেতারা ছটকে পড়েন। সমাবেশে মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি নুরুল আলম সিদ্দীকি খালেদ সভাপত্বিত এবং জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক রাহাত চৌধুরী মুন্নার পরিচালনায় এ সময় উপস্থিত ছিলেন. জেলা ছাত্রদলের সভাপতি সাঈদ আহমদ সাঈদ,মহানগর ছাত্রদলের সহ সভাপতি ফখরুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক আবু সালেহ লোকমান,,জেলা ছাত্রদলের যুগ্ন সম্পাদক মকসুদ আহমদ প্রমুখ। অপরদিকে জেলা ছাত্রদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুল হক চৌধুরী বলেন, শুক্রবার আমাদের শান্তীপূর্ণ কর্মসূচিতে পুলিশ বাধা দিয়ে ৯ ছাত্রদল কর্মীকে গ্রেফ্তার করে নিয়ে যায়। আজ আবার আমাদের শান্তীপূর্ণ কর্মসূচিতে বাধা দিয়ে নতুন কমিটি কে র্যালী করতে সুযোগ দেয় পুলিশ । নতুন কমিটির নেতারা বিদ্রোহীদেরকে দমন করার জন্য আওয়ামীলীগ ও পুলিশ কে সাথে নিয়ে যড়যন্ত্র করছেন তার আজ বহিপ্রকাশ ঘটেছে।