পুরুষের চেয়ে কেন বেশি বাঁচে নারীরা!
প্রকাশিত হয়েছে : ৭:৩১:৫১,অপরাহ্ন ০৯ ডিসেম্বর ২০১৪
লাইফ স্টাইল ডেস্ক: নারী না পুরুষ কে বেশি বাঁচে এ নিয়ে অনেক বির্তক আছে। সব কৌতহলের সমাধান দিতে ব্রিটেনে ইউনিভার্সিটি অব এক্সিটার এর এক দল গবেষক এই নিয়ে গবেষণা চালায়। আর গবেষণায় দেখা যায় নারীরা পুরুষের চেয়ে বেশি সময় বাঁচে।
এই পরীক্ষাটি অবশ্য মানুষ নয় বরং মাছির ওপর চালনো হয়। পরীক্ষায় দেখা যায়, কম বয়সে স্ত্রী প্রজাতির মাছির সঙ্গে জোরপূর্বক মিলিত হয়ার কারণে পুরুষ মাছিদের জীবনকাল কমে যায়। এর মাধ্যমে বিজ্ঞানীরা বেশি বয়স পর্যন্ত বেঁচে থাকার একটি কারণ খুঁজে পেয়েছেন।
প্রধান গবেষক ডেভিড হোসকেন বলেন, যৌনকর্মে পুরুষকে বেছে নেয়ার ক্ষেত্রে স্ত্রী প্রজাতির মাছিদের অদ্ভূত আচরণ দেখা যায়। এসব ফলাফল থেকে বের হয়ে আসে, বহু প্রাণীর মধ্যে যৌনজীবনের সঙ্গে তার বেঁচে থাকার সময়ের যোগসূত্র আছে। আর এই প্রাণীদের মধ্যে মানুষও আছে।
গবেষণায় আরো বলা হয়, যৌনতার ক্ষেত্রে স্ত্রীকে দখলের প্রতিযোগিতা পুরুষ প্রজাতির মাছিদের সহজাত আচরণ। আবার প্রকৃতিতে বেঁচে থাকার লড়াইও চলতে থাকে। এ ২ টি বিষয়কে নিয়ে বেঁচে থাকতে দারুণ পেরেশানি পোহাতে হয় পুরুষদের। আর দুটো বিষয়ই পুরুষদের ওপর বেশি প্রভাব ফেলে যা পুরুষ মাছিদের জীবনকাল এক-তৃতীয়াংশ কমিয়ে দেয়।
ডেভিড হোসকেন আরো বলেন, স্ত্রী মাছির সঙ্গে যৌনকর্ম করতে একটি পুরুষ মাছিকে বহু কাজ করতে হয়। সুরেলা আওয়াজ তুলতে হয়, আকর্ষণীয় গন্ধ ছড়াতে হয়। আর এত পরিশ্রমের সফলতা নারী প্রজাতির ইচ্ছা-অনিচ্ছার ওপর নির্ভর করে।
কিন্তু যে পুরুষ মাছি খুব সহজে এবং স্বাভাবিকভাবে যৌনকর্মে সফল হয় তাদের জীবনকাল প্রায় নারী প্রজাতির মাছিদের মতোই হয়। এ ক্ষেত্রে দুজনেরই জীবনকাল ৩৫ দিনের মতো গড়ায়। আর যে পুরুষ মাছিকে বহু কাঠখড় পোড়াতে হয় তার জীবনকালের গড় দাঁড়ায় ২৪ দিনের মতো।
এ ধরনের প্রভাব মানুষের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য বলে জানান গবেষকরা।