পিস্তল খুইয়ে এসআই সাময়িক বরখাস্ত
প্রকাশিত হয়েছে : ১২:১৯:৫২,অপরাহ্ন ০৫ নভেম্বর ২০১৪
পাবনা সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জাহিদুল ইসলামের ব্যবহৃত সরকারি পিস্তলটি খোয়া গেছে। বান্ধবীর সঙ্গে রাত কাটাতে গিয়ে জাহিদুল পিস্তলটি হারিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ ঘটনায় থানার আরেক এসআই নাজমুল হক অজ্ঞাতনামা কয়েকজনকে আসামি করে একটি চুরির মামলা করেছেন। থানার ওসি কাজী হানিফুল ইসলাম বলেন, হারিয়ে যাওয়া অস্ত্রটি উদ্ধারের জন্য সন্দেহভাজন হিসেবে দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ছাড়া দায়িত্বহীনতার দায়ে এসআই জাহিদুল ইসলামকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, এসআই জাহিদুল ২৭ অক্টোবর রাতে পিস্তলটি নিয়ে পাবনা শহরের শালগাড়িয়া বক্ষব্যাধি হাসপাতাল পাড়ার একটি বাসায় রাত কাটান। সকালে ঘুম থেকে উঠে তিনি আর অস্ত্রটি খুঁজে পাননি। মামলার বাদী জানান, এ ঘটনার পর ২৯ অক্টোবর অজ্ঞাতনামা কয়েকজনকে আসামি করে চুরির মামলাটি করা হয়। এর আগেই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ওই বাড়ির মালিকের ছেলে কাজী সালাউদ্দিন সুজন ও এসআই জাহিদুল ইসলামের এক বান্ধবীকে আটক করা হয়। পরে থানাহাজতে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে দুজনকে মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়।
কাজী সালাউদ্দিনের মা সাজেদা খাতুন জানান, তিনি পরিবার পরিকল্পনা বিভাগে চাকরি করেন। পাঁচ বছর আগে ওই তরুণীর (এসআইয়ের বান্ধবী) সঙ্গে তাঁর (সাজেদা) পরিচয় হয়। ঘটনার দিন সকালে ওই তরুণী জানান, তরুণীর ব্যাংক কর্মকর্তা স্বামী বদলি হয়ে পাবনায় এসেছেন। বাসা খুঁজে না পাওয়ায় এক রাত তাঁর বাসায় থাকবেন। সন্ধ্যা সাতটার দিকে তরুণী তাঁর বাসায় আসেন। রাত নয়টার দিকে কথিত স্বামী (পুলিশ কর্মকর্তা) আসেন। রাতের খাওয়া শেষে দুজনকে একটি কক্ষে থাকতে দেওয়া হয়।
সাজেদা বলেন, ‘সকালে হঠাৎ করেই তাঁদের কক্ষে চেঁচামেচি শুনতে পাই। এগিয়ে গিয়ে জিজ্ঞেস করতেই তরুণীর কথিত স্বামী নিজেকে পুলিশ কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে পিস্তল হারিয়েছেন বলে জানান। সেই সঙ্গে তরুণীটি তাঁর স্ত্রী নয়, বান্ধবী বলে স্বীকার করেন। পরে পুলিশ কর্মকর্তা বাসা থেকে চলে যান। কিছুক্ষণ পর সাদাপোশাকে কয়েকজন লোক এসে নিজেদের পুলিশ পরিচয় দিয়ে আমার ছেলেকে নিয়ে যান। বিষয়টি জানাজানি হলে আমার ছেলেকে গুম করা হবে বলেও হুমকি দেওয়া হয়।’
জাহিদুল মুঠোফোনে পিস্তল হারিয়ে যাওয়ার কথা স্বীকার করেন। বান্ধবীর বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি মুঠোফোনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।