পিলখানা ট্রাজেডির ১০ বছর: সাজা শেষ হলেও রায় প্রকাশ হয়নি এখনো!
প্রকাশিত হয়েছে : ১০:৫৫:১৭,অপরাহ্ন ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৯
নিউজ ডেস্ক:: পিলখানা ট্রাজেডির ১০ বছর পূর্ণ হলো আজ। বর্বরোচিত এ হত্যাকাণ্ডের দায়ে ১৩৯ জনের মৃত্যুদণ্ড ও ১৮৫ জনের যাবজ্জীবন হয়েছে উচ্চ আদালতে। কিন্তু রায় ঘোষণার একবছর পেরিয়ে গেলেও প্রকাশ হয়নি উচ্চ আদালতের রায়। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা বলছেন, দ্রুত উচ্চ আদালতের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ হবে।
এদিকে, বিস্ফোরক আইনের মামলার ধীরগতির কারণে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন আসামিপক্ষের আইনজীবীরা। অ্যাটর্নি জেনারেল বলছেন, আসামির সংখ্যা বেশি হওয়ায় এ ধীরগতি।
তিনি বলেন, বিচারপতিরা খুব চুলচেরা বিশ্লেষণ করে বিচার করার চেষ্টা করছেন, সেজন্যই হয়তো রায় প্রকাশ হতে দেরি হচ্ছে। হত্যা মামলার ব্যাপারে আপিল বিভাগে যদি ফয়সালা হয়ে যায় তাহলে তো বিস্ফোরক মামলার বিষয়ে কারো কারো ক্ষেত্রে অকার্যকর হয়ে যাবে।
২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি। বিডিআর বিদ্রোহের নামে হত্যা করা হয় ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জনকে।বর্বরোচিত এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দুটি মামলা হয়। এরমধ্যে হত্যা মামলার রায় হয়েছে উচ্চ আদালতে। হত্যার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ১৩৯ আসামির মৃত্যুদণ্ড, ১৮৫ জনের যাবজ্জীবন এবং ২০০ আসামি বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড হয় উচ্চ আদালতে।
আসামিপক্ষের আইনজীবীরা বলছেন, উচ্চ আদালতের রায় প্রকাশ হলে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা মুক্তি পাবেন। বিস্ফোরক মামলার ধীরগতি নিয়েও অসন্তোষ প্রকাশ করেন তারা।
আসামিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আমিনুল ইসলাম বলেন, রায়ের কপি আমরা হাতে পেলে যাদের ফাঁসির আদেশ হয়েছে কিংবা যাবজ্জীবন সাজা হয়েছে তাদের পক্ষে আপিল কিংবা লিভ টু আপিল; যার ক্ষেত্রে যেটা প্রযোজ্য সেটি আমরা ফাইল করবো।
আসামিপক্ষের আরেক আইনজীবী শামীম সরদার বলেন, যে সমস্ত আসামির স্বল্প মেয়াদে সাজা হয়েছে, দুই বছর পাঁচ বছর দশ বছর; অনেক আসামির এই দশ বছর সাজা ইতিমধ্যে জেল কোডের বিভিন্ন রেয়াতসহ প্রায় খাটা শেষ হয়ে গেছে। কিন্তু এই আসামিরা বিস্ফোরক মামলা থাকার কারণে বের হতে পারছে না।
মৃত্যুদণ্ড ও যাবজ্জীবন দণ্ডের বিরুদ্ধে আপিল করার কথাও জানান আসামিপক্ষ। পিলখানা হত্যা মামলায় মোট আসামি ছিলেন সাড়ে আটজন। আসামির বিচারে এটিকে বিশ্বের সর্ববৃহৎ ফৌজদারি মামলা হিসেবেও ধরা হয়।