পিতামাতার যত্ন-বঞ্চিত হবার ঝুঁকিতে ১৩০ মিলিয়ন শিশু
প্রকাশিত হয়েছে : ৯:০৬:০৪,অপরাহ্ন ২৮ মার্চ ২০১৯
নিউজ ডেস্ক:: সারা বিশ্বে প্রায় ১৩০ মিলিয়ন শিশু পিতামাতার যত্ন থেকে বঞ্চিত হবার ঝুঁকিতে রয়েছে। পিতা-মাতার স্নেহই বঞ্চিত শিশুর বিকল্প পরিচর্যার অভাবে বাংলাদেশের শিশুরা শারীরিক ও মানসিক বিকাশে অধিক নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। এসব শিশুকে আদর্শ নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে পারিবারিক পরিবেশে লালন-পালনের বিকল্প পরিচর্যা করতে হবে।
বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে অনুষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট এবং এসওএস শিশু পল্লীর যৌথ উদ্যোগে ‘অল্টারনেটিভ কেয়ার অব চিলড্রেন ইন বাংলাদেশ: চ্যালেঞ্জেস এন্ড ইন্টারভেনমন’ শীর্ষক এক সেমিনারে এসব কথা বলেন বক্তারা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক তাহমিনা আখতারের সভাপতিত্বে সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব কামরুন নাহার। ঢাবির উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি এবং এসওএস শিশু পল্লীর আন্তর্জাতিক রিপ্রেজেনটেটিভ রাজনিশ রঞ্জন জেইন সম্মানিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন। এসওএস শিশু পল্লীর জাতীয় পরিচালক গোলাম আহমেদ ইশাক অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন।
মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব কামরুন নাহার বলেন, প্রতিটি শিশু একটি পরিবারে বেড়ে উঠবে এটাই কাম্য, শিশুরা থাকবে মায়ের কোলে। কিন্তু ইউনিসেফের মতে আমরা দেখছি সারা পৃথিবীতে প্রায় ১৩০ মিলিয়ন শিশু পিতামাতার যত্ন থেকে বঞ্চিত হবার ঝুঁকিতে রয়েছে। প্রায় ২৪ মিলিয়ন শিশু কোন ধরনের বিকল্প পরিচর্যার আওতায় অথবা কোনো বয়জ্যেষ্ঠের যত্ন ছাড়াই বেড়ে উঠছে। পিতা-মাতার স্নেহ বঞ্চিত হওয়ার ঝুঁকিতে আছে এরকম শিশুদের প্রকৃত সংখ্যা আরো বেশি। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে এতিম স্নেহ বঞ্চিত শিশুরা আরো বেশি অনিরাপদ। শারীরিক ও মানসিক বিকাশে তাদের অনেক প্রতিবন্ধকতা।
ঢাবির উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ শিশুদের জাতির ভবিষ্যৎ হিসেবে বর্ণনা করে বলেন, মমত্ববোধ ও সঠিক পরিচর্যার মাধ্যমে তাদের আদর্শ নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। বঞ্চিত শিশুদের পারিবারিক পরিবেশে লালন-পালন করায় তিনি আন্তর্জাতিক সংস্থা এসওএস শিশু পল্লী কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানান।