পালিয়ে বিয়ে করাকে কেন্দ্র করে ছাতকে দুই গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষ: নিহত ২, ১১ জনের নামে মামলা
প্রকাশিত হয়েছে : ১:২৪:৩০,অপরাহ্ন ১৮ নভেম্বর ২০১৭
ছাতক প্রতিনিধি : সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার জাউয়া ইউনিয়নে পালিয়ে বিয়ে করাকে কেন্দ্র করে দুইগ্রামবাসীর মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। গত ১৭ নভেম্বর স্থানীয় বিনন্দপুর এবং বড়কাপন গ্রামের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে অর্ধ শতাধিক লোক আহত হলেও এখন পর্যন্ত নিহত ২ জন৷
জানা যায়, জাউয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুরাদ আহমেদ এর ভাইয়ের মেয়ে তাহমিনা বেগম এবং পাশ্ববর্তী গ্রাম বিনন্দপুরের বিএনপি নেতা আব্দুল বারির পুত্র সাদ্দাম রুবেলের মধ্যে দীর্ঘদিন থেকে প্রণয়ের সম্পর্ক ছিল। উভয় পরিবার একে অপরের রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ হওয়ায় তারা গত ১০ নভেম্বর পালিয়ে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু তাহমিনার চাচা মুরাদের লোকজন তাদের ধরে ফেলে। রুবলকে মারধর করলে তাকে ওসমানী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এই ঘটনায় দুইগ্রামবাসীর মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ সংগঠিত হয়। উভয়পক্ষের আহতরা বর্তমানে ছাতক উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
উক্ত ঘটনায় জাউয়া ইউপি চেয়ারম্যান মুরাদ আহমেদের ভাই ও তাহমিনার বাবা বাদি হয়ে ১১জনের নামে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন৷ মামলার আসামীরা হলেন, বিনন্দপুর গ্রামের আব্দুল বারির পুত্র রুবেল সাদ্দাম(২৯), আব্দুল বারি(৬৫) পিতা, আলী হোসেন, রাজন আলী(৩৯) পিতা রহমত আলী, রইস উদদিন(৪১) পিতা, তাহের আলী, বদরুল(২৫) পিতা আশোখ আলী, আবুল(৩২) পিতা জোয়াদ আলী, জিয়াউর(২৫) পিতা আশিক মিয়া, ইমন(২২) পিতা ইদ্রিস আলী, আলী আসকর(২৩) পিতা, রমজান আলী, ছাড়াও অজ্ঞাত আরো ২ জন।
ছাতক থানার অফিসার ইনচার্জ আবু তাহের বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে ঘটনা নিয়ন্ত্রনে নিতে সক্ষম হয়। মামলার ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, উভয়পক্ষ হতাহত হয়েছেন যদিও একপক্ষ ইতিমধ্যে মামলা করেছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও তিনি জানান।