পাঠানটুলায় এক চিকিৎসক পরিবারে দূর্ধর্ষ ডাকাতি
প্রকাশিত হয়েছে : ৮:৩৫:৪৭,অপরাহ্ন ১৬ জুন ২০১৫
নিউজ ডেস্ক :: নগরীর পাঠানটুলায় সোমবার ভোর রাতে এক দুর্ধর্ষ ডাকাতি সংঘটিত হয়েছে। ডাকাতরা বাড়ির গৃহকর্তা সহ সকলের হাত-পা বেধেঁ লুটে নিয়েছে নগদ টাকা স্বর্ণালঙ্কার সহ প্রায় ১০ লাখ টাকার মালামাল।
পাঠানটুলা পনিটুলা এলাকার ওই তিনতলা ভবনের দোতলা ও তিনতলার ভাটিবাংলা উন্নয়ন পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি সুরঞ্জিত বর্মণ ও ল্যাব এইডের চিকিৎসক সন্দীপ কানুনগোর বাসায়১০/১৫ জনের ডাকাতদল ডাকাতি করে।
জানা যায়, রাত আড়াইটার দিকে মুখোশধারী, জাঙ্গিয়া পড়া ও খালি গায়ের ডাকাতদল প্রায় ঐ ভবনের দোতলার পাকা রেলিং ভেঙ্গে এবং কৌশলে দরজা খুলে প্রথমে ডা. সন্দীপ কানুনগোর বোনের কক্ষে ঢুকে। পরে বোনকে দিয়ে ডা. কানুনগো ও তার স্ত্রীর ঘুম ভাঙায়। পরে ডাকাতরা ডা. সন্দীপ কানুনগোকে বেঁধে গলায় ধারালো ছোরা ধরে। এরপর তার স্ত্রী মেরিস্টোপসের চিকিৎসক দীপু কানুনগোকে তার স্বামীকে হত্যার ভয় দেখিয়ে নগদ একলাখ টাকা ও ২০ ভরি ওজনের স্বর্ণালংকার নিয়ে যায়।
পরে একই ডাকাতদল ডা. সন্দীপ কানুনগোকে তিনতলায় নিয়ে যায়। তাকে দিয়ে জাগিয়ে তুলে ভাটিবাংলা উন্নয়ন পরিষদের সভাপতি সুরঞ্জিত বর্মণের পরিবারের লোকজনকে। তারা পরিচিত কণ্ঠ শুনে দরজা খুলতেই ডাকাতরা ঘরে ঢুকে সুরঞ্জিত বর্মণ ও তার ভাই অসীম বর্মণকে বেঁধে তাদের গলায় ছোরা ধরে হত্যার ভয় দেখিয়ে বাসার অন্যদের নিকট থেকে নগদ ৫০ হাজার টাকা ও ৬ ভরি ওজনের স্বর্ণালংকার নিয়ে যায়।
ডাকাতরা মালামাল লুট করে পালিয়ে যাওয়ার সময় বাড়ির কলাপসিবল গেটে তালা দিয়ে যাওয়ায় বাড়ির সকলেই আটকা পড়েন। খবর পেয়ে পুলিশ ও পাশ্ববর্তী এলাকার বাসিন্দারা এসে তাদের উদ্ধার করে।
জালালাবাদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আক্তার হোসেন ডাকাতির ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ডাকাতদের আটক ও লুন্টিত মালামাল উদ্ধার করতে বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চলছে।