পাটুরিয়ায় কান্নার রোল : নারী-শিশুসহ ৪১ মৃতদেহ উদ্ধার
প্রকাশিত হয়েছে : ৩:৫৬:০১,অপরাহ্ন ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৫
নিউজ ডেস্ক::
মানিকগঞ্জে মাঝ পদ্মায় সারবোঝাই কার্গোর ধাক্কায় এমভি মোস্তফা-৩ নামে লঞ্চ ডুবে গেছে। এ ঘটনায় রাত পৌনে ৮টা পর্যন্ত নারী ও শিশুসহ ৪১ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধার করা মৃতদেহ রাখা হয়েছে পাটুরিয়া ঘাটে। তাৎক্ষণিকভাবে তাদের পরিচয় পাওয়া যায়নি। এখনো অর্ধশতাধিক নিখোঁজ রয়েছে বলে জানিয়েছেন পাটুরিয়া নৌপুলিশ ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দুলাল সরকার। রোববার সাড়ে ১১টার দিকে পাটুরিয়া থেকে দৌলতদিয়া যাওয়ার পথে মাঝ নদীতে লঞ্চডুবির ওই ঘটনা ঘটে।
এদিকে দুর্ঘটনার পর পাটুরিয়া নৌ-ফাঁড়ির পুলিশ কার্গো এমভি নার্গিসের মাস্টারসহ দুই কর্মীকে আটক করা হয়েছে। তারা হলেন- কার্গোর মাস্টার ইকবাল হোসেন ও লস্কর শহিদুল ইসলাম। আরিচা পোর্ট অফিসার সাজ্জাদ হোসেন জানান, বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পাটুরিয়া থেকে এমভি মোস্তফা নামের লঞ্চটি প্রায় আড়াই শতাধিক যাত্রী নিয়ে দৌলতদিয়া ঘাটে যাচ্ছিল। পদ্মা নদীর মাঝখানে সারবোঝাই একটি কার্গোর সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে পরে এটি ডুবে যায়। এসময় অধিকাংশ যাত্রী পাড়ে উঠতে সক্ষম হলেও অনেকেই নিখোঁজ হয়।
খবর পেয়ে মানিকগঞ্জ ও ঘিওর উপজেলার ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা লঞ্চটির উদ্ধার কাজে লেগে পড়ে। এখনো অর্ধশতাধিক যাত্রী নিখোঁজ রয়েছে বলে জানান আরিচা পোর্টের ওই কর্মকর্তা।
এদিকে দুর্ঘটনার পর জেলা প্রশাসক রাশিদা ফেরদৌস, জেলা পুলিশ সুপার বিধান ত্রিপুরা, বিআইডব্লিউটিসি ও বিআইডব্লিউটিএ এর কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে ছুটে যান।বিআইডব্লিউটিএর একটি উদ্ধারকারী টাগ জাহাজ দিয়ে লঞ্চটিকে টেনে উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। এরই মধ্যে উদ্ধারকারী জাহাজ রুস্তম মাওয়া ঘাট থেকে ঘটনাস্থলে রওনা দিয়েছে।