পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হতে চান মালালা
প্রকাশিত হয়েছে : ১০:৪৯:৫৫,অপরাহ্ন ১০ ডিসেম্বর ২০১৪
নিউজ ডেস্ক:: পাকিস্তানের নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী নারী শিক্ষা আন্দোলন কর্মী মালালা ইউসুফজাই পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার আকাঙ্ক্ষা ব্যক্ত করেছেন।
বুধবার নরওয়ের রাজধানী ওসলোতে নোবেল শান্তি পুরস্কার গ্রহণ করতে যাচ্ছেন তালেবানের হামলায় মৃত্যুর দরজা থেকে ফিরে আসা মালালা।
পুরস্কার গ্রহণের আগে বিবিসিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে নিজের ভবিষ্যত পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন তিনি।
যুক্তরাজ্যে পড়ালেখা সম্পূর্ণ করার পর পাকিস্তানে ফিরে রাজনৈতিক ক্যারিয়ার গড়তে চান তিনি। এভাবে তিনি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হয়ে রাজনীতির শীর্ষস্থানে পৌঁছে যেতেও পারেন বলে জানিয়েছেন।
ভারতের শিশু অধিকার আন্দোলনকর্মী কৈলাস সত্যার্থির সঙ্গে যৌথভাবে চলতি বছরের নোবেল শান্তি পুরস্কার দেয়া হয় মালালাকে।
মেয়েদের শিক্ষার অধিকার নিয়ে প্রচারণা চালানোর কারণে ২০১২ সালের অক্টোবরে মালালাকে গুলি করেছিল তালেবান বন্দুকধারীরা। মাথায় মারাত্মক আঘাতপ্রাপ্ত মালালাকে পাকিস্তানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর যুক্তরাজ্যে নিয়ে নিবিড় চিকিৎসার মাধ্যমে বাঁচিয়ে তোলা হয়।
নোবেল শান্তি পুরুস্কার বিজয়ীদের মধ্যে তিনি সর্বকনিষ্ঠ।
ওসলোতে বিবিসির ‘হার্ডটক’ অনুষ্ঠানের সঞ্চালক স্টেফেন সাকুরকে দেয়া সাক্ষাৎকারে মালালা বলেছেন, ‘আমি আমার দেশের সেবা করতে চাই। আমাদের দেশ একদিন উন্নত রাষ্ট্র হবে এই আমার স্বপ্ন। সেখানে সব শিশু শিক্ষা পাবে এই আমার আশা।”
পাকিস্তানের নিহত সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেনজির ভুট্টো তার অনুপ্রেরণা বলে জানিয়েছেন মালালা। ২০০৭ সালে খুন হওয়ার আগে দুই মেয়াদে পাকিস্তানের নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী ছিলেন বেনজির।
‘আমি যদি আমার দেশকে রাজনীতির মাধ্যমে এবং প্রধানমন্ত্রী হওয়ার মাধ্যমে সেবা করতে পারি, তাহলে আমি অবশ্যই এই পথটি বেছে নেব,’ বলেন তিনি।
কৈলাস সত্যার্থির সঙ্গে যৌথভাবে নোবেল পুরস্কার পাওয়া তার জন্য বড় ধরনের সম্মানের বিষয় বলে জানিয়েছেন ১৭ বছর বয়সী কিশোরী মালালা।
তিনি বলেন, ‘সব শিশু স্কুলে যাচ্ছে, শুরু থেকেই এই আশা পোষণ করে আসছি আমি, এরজন্য প্রচারণাও শুরু করেছিলাম,’ বলেন তিনি।
‘এখন এই শান্তি পুরস্কারটি আমার জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে, এতে সত্যিকারভাবে আমি আরো আশাবাদী হয়ে উঠেছি, আরো সাহসী হয়েছি, আগের চেয়ে নিজেকে আরো বলবান মনে হচ্ছে, কারণ এখন আমার সঙ্গে অনেক মানুষ আছে দেখতে পাচ্ছি।’
এত আশাবাদের মধ্যেও একটি কারণে মালালার মন খারাপ, তা হল তাদের পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে পাকিস্তান ও ভারতের প্রধানমন্ত্রীর অনুপস্থিতি।