পশ্চিমবঙ্গে সন্ন্যাসিনী ধর্ষণে বাংলাদেশি গ্রেফতার
প্রকাশিত হয়েছে : ৮:৪৫:৩৩,অপরাহ্ন ১৯ জুন ২০১৫
নিউজ ডেস্ক::
ভারতের পশ্চিমবঙ্গে কয়েক মাস আগে এক সন্ন্যাসিনীকে ধর্ষণের ঘটনায় এক বাংলাদেশি নাগরিককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ওই ব্যক্তির বাড়ি যশোরে। পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার রাণাঘাটে একটি মিশনারি স্কুলের ওই সন্ন্যাসিনীকে এই যুবকই ধর্ষণ করেছিল বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। পশ্চিমবঙ্গে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) বরাত দিয়ে বিবিসি বাংলার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
পশ্চিমবঙ্গের সিআইডি জানায়, বুধবার রাতে গোপন সূত্রে তারা খবর পায় যে রাণাঘাট সন্ন্যাসিনী ধর্ষণের ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত নজরুল ওরফে নজু সীমান্ত শহর বনগাঁ থেকে ট্রেনে রওনা হয়েছেন। শেয়ালদা স্টেশনে ট্রেন থেকে নামতেই তাকে গ্রেফতার করা হয়। বৃহস্পতিবার আদালতে নেওয়া হলে বিচারক তাকে ১৫ দিনের পুলিশী হেফাজতে নেওয়ার অনুমতি দেন।
সিআইডি-র স্পেশাল সুপারিন্টেনডেন্ট চিরন্তন নাগ এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, নজরুল রাণাঘাটের ঘটনায় জড়িত হওয়া ছাড়াও তার কাছে ভারতে প্রবেশের কোনও বৈধ কাগজপত্র ছিল না। তাই বিদেশি আইনেও তার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আদালত ১৫ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে। এবার আমরা তাকে আরও জেরা করব এবং আমাদের কাছে যা তথ্য প্রমাণ রয়েছে, তার ভিত্তিতে তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে।’
গত ১৪ মার্চ নদীয়া জেলার রাণাঘাটে কনভেন্ট অফ জিসাস অ্যান্ড মারিতে হামলা চালায় দুষ্কৃতিকারীদের একটি দল। তারা স্কুলের অফিস থেকে প্রায় ১২ লাখ টাকা লুঠ করার পরে সন্ন্যাসিনীদের আবাসগৃহে হামলা চালায়। সেখানেই ৭১ বছর বয়সী এক সন্ন্যাসিনীকে ধর্ষণ করা হয়। সিআইডি-র সন্দেহ, ওই সন্ন্যাসিনীকে ধর্ষণ করেছিল একজনই, এবং সেটা নজরুলই। এই ঘটনায় এ পর্যন্ত গ্রেফতার হওয়া অন্যরা পুলিশকে জানিয়েছে নজরুলই ধর্ষণ করেছে।
চিরন্তন নাগ বলেন, ‘নজরুল ধর্ষণ করেছিল কী না তার প্রমাণ পেতে আমাদের আরও জেরা করতে হবে আর তথ্য প্রমাণের সঙ্গে জবানবন্দী মিলিয়ে দেখতে হবে। তারপরেই আমরা নিশ্চিতভাবে বলতে পারব যে সে ডাকাতি ছাড়াও ধর্ষণে জড়িত ছিল কী না।’ অপরাধের পরে দলের বেশীরভাগ সদস্যর মতোই নজরুলও বাংলাদেশ ফিরে গিয়েছিলেন বলে জানান মি. নাগ।
সূত্র : বিবিসি