পর্দা নামলো সার্ক শীর্ষ সম্মেলনের
প্রকাশিত হয়েছে : ৬:৪৮:১৫,অপরাহ্ন ২৭ নভেম্বর ২০১৪
কাঠমান্ডু: সার্কভুক্ত দেশগুলোর মাঝে বিদ্যুৎ চুক্তি স্বাক্ষর হওয়ার মধ্য দিয়ে পর্দা নামলো অষ্টাদশ সার্ক শীর্ষ সম্মেলনের। ৩৬ দফা কাঠমান্ডু ঘোষণার মধ্য দিয়ে সম্মেলনের সমাপ্তি ঘোষণা করেন নব নির্বাচিত সার্কের চেয়ারম্যান ও নেপালের প্রধানমন্ত্রী সুশীল কৈরালা।
অনিশ্চয়তার মধ্য দিয়ে চলতে চলতে অবশেষে সম্মেলনের শেষ দিন বৃহস্পতিবার বিকেলে সমাপনী অধিবেশনে সার্ক নেতারা এই চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। এর ফলে সার্কভুক্ত দেশগুলোতে অবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ বাজার গড়ে তোলার প্রেক্ষাপট তৈরি হলো।
এর আগে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও সচিবদের বৈঠকে চুক্তিটির বিষয়ে সব সদস্য দেশ একমত হতে পারেনি। ফলে সার্ক শীর্ষ সম্মেলনের প্রথম দিন চুক্তি স্বাক্ষরের বিষয়টি অনুষ্ঠান সূচিতে থাকলেও সেটা ছাড়াই অনুষ্ঠান মুলতবি করা হয়।
এদিকে সার্ক শীর্ষ সম্মেলনের শেষ দিন বৃহস্পতিবার সকালে নেপালের অন্যতম বিনোদন কেন্দ্র দোয়ারিকাস পরিদর্শনে যান নেতারা। তবে অসুস্থতার কারণে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেখানে অংশ নেননি। অবকাশ কর্মসূচির এই অনুষ্ঠানের আলোচনাতেই সার্কের নেতারা চুক্তিটি সই করতে সর্বসম্মতভাবে সিদ্ধান্ত নেন। এসময় বাংলাদেশের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এএইচ মাহমুদ আলী এবং পররাষ্ট্রসচিব শহীদুল হক।
এদিকে ১৮তম সার্ক শীর্ষ সম্মেলনে নিজ বক্তব্যে সার্ক দেশগুলোর রোগী ও তাঁদের সঙ্গীদের অবিলম্বে ভারতীয় ভিসা দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সার্ক দেশগুলোর রোগী ও তাঁদের সঙ্গীদের অবিলম্বে ভারতীয় ভিসা দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
অপরদিকে গতকাল বুধবার বিকেলে কাঠমন্ডুর হোটেল সলটিতে বৈঠকে মিলিত হন বাংলাদেশ ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী। এসময় নরেন্দ্র মোদি শেখ হাসিনাকে জানান, তিস্তা চুক্তি ও স্থলসীমানা চুক্তি বাস্তবায়নের জোর প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে। বৈঠক শেষে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রসচিব শহিদুল হক সাংবাদিকদের বিষয়টি অবহিত করে বলেন, ল্যান্ড বাউন্ডারি ও তিস্তা চুক্তির বিষয়ে কি অগ্রগতি হয়েছে তা ভারতের প্রধানমন্ত্রীর কাছে জানতে চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জবাবে মোদি বলেছেন- এটা তাড়াতাড়ি সমাধানের জন্য তিনি জোর প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন। এ বিষয়ে একটা কনসেনসাস গড়ে উঠছে বলে জানান মোদি। শিগগিরই সুরাহা হবে বলে আশাবাদী তিনি। দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে এ অঞ্চলের সন্ত্রাস দমনে দুই নেতা একসঙ্গে কাজ করার বিষয়েও ঐকমত্য পোষণ করেছেন।