পটিয়া হযরত হাসান শাহ (র.) মাজার উচ্ছেদের পাঁয়তারার অভিযোগ
প্রকাশিত হয়েছে : ৮:৩৪:২৬,অপরাহ্ন ২৬ জানুয়ারি ২০১৫
নিউজ ডেস্ক :: চট্টগ্রামের পটিয়ায় উপজেলার জঙ্গলখাইন ইউনিয়নের পাইরোল গ্রামের হযরত হাসান শাহ (র)-এর মাজার উচ্ছেদের পাঁয়তারা চালাচ্ছে মর্মে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় স্বপ্নে প্রাপ্ত সাকেরা খানম বাদী হয়ে একই এলাকার মোঃ শহীদুল্লাহ সাদা গংয়ের বিরুদ্ধে পটিয়া থানায় অভিযোগ নং-৩৫১১/১৪ইং দায়ের করে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, সাকেরা খানম গংয়ের সাথে তার আপন ভাসুরের ছেলে শহীদুল্লাহ সাদা গংয়ের পৈত্রিক জায়গা-জমি বাড়ি ভিটি ভাগবাটোয়ারা নিয়ে দীর্ঘদিন যাবত বিরোধ চলে আসছিল। এর জের ধরে গত ১/১০/১৪ইং সকাল ১০টায় শহীদুল্লাহ সাদা গং সাকেরা খানমকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ ও তার সপরিবারকে হত্যার হুমকি দিয়ে বলে, হযরত হাসান শাহ (রঃ) মাজার শরীফ উচ্ছেদ করতে হবে। এ সংক্রান্ত বিষয়ে সাকেরা খানম স্থানীয় মান্যগণ্য ব্যক্তিবর্গের কাছে প্রতিকার প্রার্থনা করলেও প্রতিপক্ষ শহীদুল্লাহ সাদা গং স্থানীয় একটি রাজনৈতিক দলের নেতা হওয়ায় দীর্ঘদিন সমস্যাটি সমাধান করার সম্ভব হয়নি বলে সূত্রে জানা যায়।
এছাড়াও সাকেরা খানমের মৃত স্বামী নুরুল ইসলামের প্রাপ্ত ভোগ দখলীয় জায়গায় হযরত হাসান শাহ (রঃ) মাজার শরীফ রয়েছে। উক্ত মাজার শরীফে প্রতি বৃহস্পতি ও সোমবার খতমে গাউছিয়া ও মিলাদ মাহফিল হয়ে থাকে। গত ১৭ জানুয়ারি হযরত হাসান শাহ (রঃ)-এর ২৪তম বার্ষিক ওরশ শরীফে হাজার হাজার আশেকানে ভক্ত ছাড়াও স্থানীয় জনপ্রতিনিধি পুলিশ প্রশাসনসহ সমাজের সর্বস্তরের মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
বর্তমানে উক্ত মাজারটি উচ্ছেদ করার জন্য শহীদুল্লাহ সাদা গং বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি দপ্তরে অভিযোগ দিয়ে দেন দরবার চালাচ্ছে বলে সাকেরা খানম জানান। তা ছাড়া শহীদুল্লাহ গংয়ের স্থানীয় এমপির কাছে একটি অভিযোগের প্রেক্ষিতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার এ সংক্রান্ত বিষয়ে পটিয়া উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা মোঃ নুরুন নবীসহ একটি প্রতিনিধি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে উভয় পক্ষকে ডেকে কাগজপত্র পর্যালোচনা করলেও রহস্যজনক কারণে সাকেরা খানমের কথাগুলো আমলে না নিয়ে রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে শহীদুল্লাহ গং তার পক্ষে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের বরাবরে মিথ্যা বানোয়াট রিপোর্ট সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের কাছ থেকে আদায় করেছেন বলে তিনি জানান।
তিনি এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য স্থানীয় এমপি ও সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন পুলিশ প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।