নেগ্রিমসে থেকেই মাউন্ট এলিজাবেথে চিকিৎসা নেবেন সালাহ উদ্দিন
প্রকাশিত হয়েছে : ৬:৫৯:৫৬,অপরাহ্ন ০৭ জুন ২০১৫
নিউজ ডেস্ক :: বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব সালাহ উদ্দিন আহমেদকে শর্তসাপেক্ষে জামিন দিলেও চিন্তিত নন সালাহ উদ্দিন পরিবার। নেগ্রিমস হাসপাতালে থেকেই তিনি আইনি লড়াই করবেন এবং অনলাইনে সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালের ডাক্তারদের সঙ্গে যোগাযোগ করবেন বলে জানিয়েছেন পারিবারিক সুত্র।
৫জুন (শুক্রবার) অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সালাহ উদ্দিনের শর্ত সাপেক্ষে জামিন মঞ্জুর করে ভারতের মেঘালয় রাজ্যের শিলংয়ের আদালত।
সালাহ উদ্দিনের পারিবারিক সুত্র জানায় শিলংয়ের নিম্ন আদালতের বিচারক বি মৌরি শর্তসাপেক্ষে এই জামিন মঞ্জুর করেন। দুইটি শর্তে বলা হয়, সালাহউদ্দিন মেঘালয়ের ইস্ট খাসি হিলস জেলা ত্যাগ করতে পারবেন না এবং প্রতি সপ্তাহে স্থানীয় এসপি’র কাছে হাজিরা দিতে হবে।
গত ২৭ মে সালাহ উদ্দিন আহমেদকে ১৪ দিনের হেফাজতে নেন শিলংয়ের জেলা ও দায়রা জজ আদালত। আদালতের বিচারক কে এম এল নোংব্রি শুনানি শেষে তাকে রুটিন চেকআপ শেষে ১৪ দিনের বিচারিক হেফাজতে নেওয়ার আদেশ দেন।
এরপর সালাহ উদ্দিনকে নেগ্রিমস হাসপাতালে নেওয়া হয়। বুকে ব্যথা থাকায় তাকে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে বিশেষ তত্ত্বাবধানে রাখা হয়। শারীরিক অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় তাঁকে হাসপাতালে পর্যবেক্ষণে রাখার পক্ষে মত দিয়েছেন চিকিৎসকরা। এর আগে ২৬ মে নেগ্রিমস হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সালাহ উদ্দিন আহমেদকে ছাড়পত্র দেয়। পরে তাকে পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হয়।
এর আগে সালাহউদ্দিন নিখোঁজের দুই মাস পর গত ১২ই মে ভারতের মেঘালয় রাজ্যের রাজধানী শিলংয়ের গলফ লিংক এলাকায় উদ্ধার হন সালাহউদ্দিন। ওই এলাকার লোকজন মারফত সালাহউদ্দিন পুলিশকে খবর দেন। এরপর পুলিশ গিয়ে তাকে আটক করে পাস্তুর পুলিশ ফাঁড়িতে নিয়ে যায়। এরপর শিলং সদর পুলিশ থানা থেকে নেয়া হয় মানসিক হাসপাতাল মিমহানসে। একদিন পর মিমহানস থেকে আবার তাকে পাঠানো হয় সিভিল হাসপাতালে।
ওই হাসপাতালের আন্ডার প্রিজনার সেলে (ইউটিপি) তাকে রেখে চিকিৎসা দেয়া হয়। সিভিল হাসপাতালে বিশেষায়িত চিকিৎসা ব্যবস্থা না থাকায় তাকে বিশেষায়িত হাসপাতাল নেগ্রিমসে এক সপ্তাহ ধরে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে রাখা হয়। গত ২০শে মে সিভিল হাসপাতাল থেকে সালাহউদ্দিনকে স্থানান্তরিত করা হয় মেঘালয়ের নর্থ ইস্টার্ন ইন্দিরা গান্ধী রিজিওনাল ইনস্টিটিউট অব হেলথ অ্যান্ড মেডিকেল সায়েন্সেস (নেগ্রিমস) হাসপাতালে।
নেগ্রিমস থেকে পুলিশ হেফাজতে নেয়ার পর ২৭শে মে আদালতে তোলা হয়। আদালতের নির্দেশে ১৪ দিন বিচারিক হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেয়া হয়। পাশাপাশি কারাগারে পাঠানোর আগে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে নিতে পুলিশকে নির্দেশ দেয়। এরপর ২৯শে মে তার জামিন শুনানি হয়। জামিন না হওয়ায় নেগ্রিমস হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় থাকছেন। শুক্রবার জামিনের পর অনেকটা মুক্ত সালাহউদ্দিন।