নিশিতার মিথ্যা পরিচয় দিয়েছিলেন মনীষা!
প্রকাশিত হয়েছে : ১:৩৩:৩৩,অপরাহ্ন ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৫
নিউজ ডেস্ক::
নিহত ছাত্রদল নেতা নুরুজ্জামান জনির স্ত্রী মনীষা মিথ্যা পরিচয় দিয়েছিলেন নিশিতার। কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সেলিনা সুলতানা নিশিতার রাজনৈতিক পরিচয় না দিয়ে, নিজের খালাতো বোন হিসেবে পরিচয় দিয়েছিলেন তিনি। অথচ শুক্রবার নুরুজ্জামান স্মৃতি সংসদের সদস্য (প্রচার) মাসুদ রানার পাঠানো এক বার্তায় বলা হয়েছে, ‘ছাত্রদল নেত্রী সেলিনা সুলতানা নিশিতাকে স্বামীহারা অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী মনীষার পাশে দাঁড়ানোর অপরাধে গ্রেফতার করেছে শাসকদল।
গত ১২ ফেব্রুয়ারি বিকেলে এই একই ব্যক্তি সংবাদমাধ্যমে পাঠানো ভিন্ন মেইল থেকে এক বার্তায় জানান, আজ (বৃহস্পতিবার) সন্ধ্যায় সন্তানহারা মায়ের সাথে স্বামীহারা অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী সাক্ষাৎ করতে যাচ্ছেন খালেদা জিয়ার সাথে নিহত নুরুজ্জামান জনির স্ত্রী মনিষাসহ পরিবারের সদস্যরা।’
শনিবারের বার্তায় বলা হয়েছে- ‘১২ ফেব্রুয়ারি বিকালে খিলগাঁও থানা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক শহীদ নুরুজ্জামান জনির সদ্য বিধবা স্ত্রী মুনিয়া পারভীন মনীষার নেতৃত্বে পরিবারের সদস্যরা গুলশান চেয়ারপার্সনের কার্যালয়ে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সাথে দেখা করার জন্য সন্ধ্যা ৭টায় গুলশানে পৌঁছালে সেখান থেকে গুলশান থানা-পুলিশ নিহত জনির পরিবারের সদস্য নিহত নুরুজ্জামান জনির পিতা ইয়াকুব আলী, মাতা মরিয়ম বেগম নিলু, ছোট বোন ফাতেমা তুজ জোহরা তুলিকে তুলে নিয়ে গিয়ে এক ঘন্টা পর ছেড়ে দিলেও ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সংসদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সেলিনা সুলতানা নিশীতাকে গ্রেফতার করে ১৩ ফেব্রুয়ারি ঢাকা ম্যাজিষ্ট্রেট কোর্টে প্রেরণ করেন।’
অথচ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় খালেদা জিয়ার গুলশান কার্যালয়ে আগতদের পারিবারিক পরিচয় দিয়ে সাংবাদিকদের কাছে নিশিতার বিষয়ে মনীষা বলেছিলেন- ‘… আর আমার খালাতো বোন।’ নিশিতাকে আটকের পরও মনীষা বলেছিলেন, ‘ও আমার খালাতো বোন।’নিশিতার বিরুদ্ধে গত ৩১ জানুয়ারি গুলশানের শাহজাদপুর সুবাস্তু টাওয়ারের উত্তরপার্শ্বে মসজিদ গলির সামনে প্রগতি সরণীর মেইন রোডে দুস্কৃতিকারীদের যানবাহন ভাঙচুর ও যাত্রীদের মারধর করাসহ একটি মামলা দায়ের হয় মো. এস.এম. মামুনসহ অজ্ঞাতপরিচয়দের নামে।
ওই মামলায় হুকুমের আসামি হিসেবে সেলিনা সুলতানা নিশিতাকে গ্রেফতার দেখিয়ে কোর্টে পাঠানো হয়। আদালত শুনানি শেষে তাকে কারাগারে পাঠিয়ে দেন। মামলাটি পরিচালনা করেন বিএনপির গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট সানাউল্লাহ মিয়ার নেতৃত্বে অ্যাডভোকেট নিহার হোসেন ফারুক, অ্যাডভোকেট ইলতুসমিস সওদাগর এ্যানি, অ্যাডভোকেট দেলোয়ার জাহান রুমি, অ্যাডভোকেট মাকসুদউল্লাহ। এ সময় আদালতে নিশিতার ছোট ভাইসহ ছাত্রদলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে, এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে এবং অবিলম্বে সেলিনা সুলতানা নিশিতার নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করে শহীদ নুরুজ্জামান জনি স্মৃতি সংসদের আহ্বায়ক মুনিয়া পারভীন মনীষা বলেন, আমাদের চরম দুঃসময়ে সেলিনা সুলতানা নিশিতা পাশে দাঁড়িয়েছিল। একটি অসহায় পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর অপরাধে তাকে মিথ্যা, ভিত্তিহীন মামলায় গ্রেফতার করেছে। আমাদেরকেও বিএনপি চেয়ারপার্সনের কার্যালয়ের সামনে থেকে তুলে নিয়ে হয়রানি করেছে। এভাবে একটি অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর অপরাধে নিশিতাকে জেলে যেতে হবে এ কথা বুঝলে কখনো তাকে পাশে রাখতাম না। তবে এই বক্তব্যে নিশিতাকে আর খালাতো বোন হিসেবে পরিচয় দেননি মনীষা।