নাশকতাকারীরা একাত্তরের পরাজিত শক্তি
প্রকাশিত হয়েছে : ১১:৫৮:২৪,অপরাহ্ন ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৫
নিউজ ডেস্ক::
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, আন্দোল-সংগ্রামের নামে নাশকতা করে যারা সাধারণ মানুষকে পেট্রোল বোমায় পুড়িয়ে মারে তারা মূলত: পঁচাত্তরের পরে পুনর্জন্ম লাভ করা একাত্তরের পরাজিত শক্তি। ৭৫’এ বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্য দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত এ শক্তি পুর্নজন্ম লাভ করে উল্লেখ করে আন্দোলন সংগ্রামের নামে জন-সমর্থন বিবর্জিত দাবি আদায়ের নামে মানুষ হত্যা করছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। ‘শহীদ জননীর আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এবং জামাত-শিবির চক্র নিষিদ্ধকরণ: সরকার ও নাগরিক সমাজের করণীয়’ শীর্ষক এ আলোচনা সভার আয়োজন করে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, একাত্তরের ঘাতক দালালরা মুক্তিযুদ্ধের সময়ও বাঙালিকে দমিয়ে রাখতে, বর্তমানে বিএনপি-জামাতের আড়ালে থাকা সেই একাত্তরের ঘাতক দালালরা যতই নাশকতা করুক না কেন, তাদের অযৌক্তিক দাবিকে প্রতিষ্ঠিত করতে পারবে না।
শহীদ জননী জাহানারা ইমামকে স্মরণ করে মন্ত্রী বলেন, জাহানারা ইমাম যুদ্ধাপরাধীদের বিরুদ্ধে যে গণআন্দোলন শুরু করেছিলেন, বাংলাদেশে যুদ্ধাপরাধীদের চলমান বিচার কার্যক্রম তারই ফসল। আমাদের ভুলে যাওয়া মুক্তিযুদ্ধকে শহীদ জননী জাহানারা ইমাম পুর্নরুজ্জীবিত করেছেন। আমাদের চেতনাকে পুনরায় তিনি শাণিত করেছেন।
একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির অন্যতম জেলা আহবায়ক সাবেক ছাত্রনেতা অ্যাডভোকেট সীমান্ত তালুকদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সূচনা বক্তব্য দেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাংগঠনিক সম্পাদক লেখক-সাংবাদিক শওকত বাঙালি।
সভায় অন্যান্যের মধ্যে সংসদ সদস্য ওয়াসিকা এ খান, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান, সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ফাহিম উদ্দিন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে বাঙালির শ্রেষ্ঠ সন্তান ২৩ জন মুক্তিযোদ্ধাকে শহীদ জননী জাহানারা ইমাম সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়।