নবীগঞ্জে লন্ডন প্রবাসীর বাড়িতে দফায় দফায় ডাকাতি : ৩৯লক্ষাধীক টাকার মালামাল লুটপাট
প্রকাশিত হয়েছে : ১:৩৭:১৫,অপরাহ্ন ০২ মে ২০১৫
নিউজ ডেস্ক ::
নবীগঞ্জ উপজেলার আউশকান্দি ইউনিয়নের চৈতন্যপুর গ্রামে লন্ডন প্রবাসী হাজী আব্দুল আলিমের বিলাশ বহুল বাড়িতে দফায় দফায় চুরি ও ডাকাতি সংঘটিত হয়েছে। দূবৃত্তরা ২দফায় লুটপাট করেছে প্রায় ৩৯ লক্ষ টাকার মালামাল। ডাকাতদের আতংকে প্রবাসী পরিবারের স্বদেশে ফেরা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। দূর্বৃত্তরা ওই বাড়িতে হানা দিয়ে গত মঙ্গলবার সন্ধা রাতে প্রায় ১লক্ষাধীক টাকার মালামাল লুটে নেয়। গত বছরের ফেব্রুয়ারী মাসের লন্ডন প্রবাসী আব্দুল আলীম তার ভাই আব্দুল আজিজ ও আব্দুল আজাদ সহ স্ব-পরিবারের ১০জন সদস্য লন্ডন থেকে বাংলাদেশে আসেন তার মরহুম পিতা হাজী মছদ্দর আলীর কুলখানি সম্পন্ন করার জন্য।
এই মহৎ কাজের পর দিন গত বছরের ৯মার্চ দিবাগত রাতে লন্ডন প্রবাসীর বাড়িতে ঘটে যায় দূর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনা। একদল মুখোশধারী ডাকাতদল আলিশান বাড়ির পেছনের কলাপসিবল গেইটের তালা ভেঙ্গেঁ রাত অনুমান ৩টার দিকে ঘরে প্রবেশ করে পরিবারের সবাইকে অস্ত্রের মূখে জিম্মি করে প্রায় ৩০ লক্ষাধীক টাকা মূল্যের ডলার, পাউন্ড, নগদ ২লক্ষ টাকা, ১৫ বাভরি স্বর্ণালংকার, ৫টি দামী মোবাইল ফোন সহ ২দফায় প্রায় ৩৯লক্ষাধীক টাকার মালামাল লুটে নেয় দূর্বৃত্তরা। ডাকাতির ঘটনার পর পরই স্বপরিবারে দেশ ত্যাগ করেন লন্ডন প্রবাসী হাজী আব্দুল আলীম। এর পর থেকে তিনি পরিবার পরিজন নিয়ে দেশে ফিরতেই পাচ্ছেন বলে অভিযোগ করেন বাড়ির কেয়ারটেকার একই গ্রামের দিলাওর মিয়া জানান, গত মঙ্গলবার দিবাগত সন্ধা রাত অনুমান ৮টার দিকে তিনি রাতের খাবার খেতে তার বাড়িতে চলে যান।
এই সুযোগে দূর্বৃত্তরা কলাপসিবল গেইটের তালা ভেঙ্গে লক্ষাধীক টাকার মালামাল লুটে নিয়ে যায়। একই গ্রামের বিশিষ্ট মুরুব্বি শেখ সোনা মিয়া, মোঃ আরজু মিয়া, মোঃ চান মিয়া, আব্দুর নুর, সেলিম আহমদ, মামুন মিয়া, জসিম উদ্দীন আনোয়ার মিয়া ও গ্রামের মসজিদের মোয়াজ্জিন কালা মিয়া নামের ব্যক্তি বলেন, ওই লন্ডন প্রবাসীর বাড়িতে ২দফা চুরি ও ডাকাতির ঘটনা তারা শোনেছেন। শুধু এই বাড়িতেই নয় চৈতন্যপুর গ্রামটি একটি ক্রাইমজোনে পরিনত হয়েছে। সন্ধার পর পরই কেহ একা একা রাস্তায় চলা ফিরা করতে ভয় পান। অতি সম্প্রতি মো: চান মিয়ার বাড়িতে গভীর রাতে একদল দূর্বৃত্ত ঘরের দরজা ভেঙ্গে ঘরে প্রবেশ করে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ক্ষতবিক্ষত করে চলে যায়। পরে তিনি সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ্য হয়ে বাড়ি ফিরেন। এছাড়াও ওই গ্রামে একের পর এক ঘটছে অপরাধ মূলক কর্মকান্ড।