নবীগঞ্জে এক স্কুল ছাত্রীর প্রেম ও গোপন অভিসার নিয়ে লংকাকান্ড!
প্রকাশিত হয়েছে : ১২:৫৫:২৪,অপরাহ্ন ১৬ এপ্রিল ২০১৫
নিউজ ডেস্ক :: হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার গোপলার বাজার উচ্চ বিদ্যালয়ে দশম শ্রেনীর ছাত্রীর প্রেম ও গোপন অভিসার নিয়ে গত বুধবার বিকালে তুলকালাম কান্ড ঘটেছে। ছাত্র-ছাত্রী ও এলাকাবাসী বিক্ষোভ মিছিল করে প্রায় ৬ঘন্টা সালিশ বিচারক, শিক্ষক, ম্যানেজিং কমিটির সদস্য ও প্রেমিক জুটিকে অবরোদ্ধ করে বিদ্যালয়টি ঘেরাও করে রাখেন। এ সময় বিক্ষোভকারীরা স্কুলের দরজা, জানালা, শিক্ষকদের কয়েকটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে। পরে অতিরিক্ত পুলিশ নিয়ে নবীগঞ্জ থানার ওসি প্রেমিক-প্রেমিকা উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যান। পুলিশ বলছে তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। কোন পক্ষই মামলা দেয়নি তাই কি করা যায় জিজ্ঞাসাবাদ শেষে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
জানা যায়, গত বুধবার বিকালে নবীগঞ্জ উপজেলার গোপলার বাজার উচ্চ বিদ্যালয়ে দশম শ্রেনীর এক ছাত্রী বিকাল ২টার সময় ছুটি নিয়ে বিদ্যালয় থেকে চলে যায়। সে তার নানার বাড়ি দূর্লভপুর গ্রামে থেকে লেখাপড়া করতো। সেখানে যাবার পথে রাস্তার পাশে লতিবপুর গ্রামের কমলা বেগম নামে এক মহিলার ঘরে প্রবেশ করে একই গ্রামের ঐ ছাত্রী প্রেমিক আলাউদ্দিনের পুত্র দুই সন্তানের জনক সেলিম মিয়া(৩৫)কে নিয়ে গোপন অভিসারে মিলিত হয়। পথচারী জনৈক ব্যক্তি ঘটনাটি দেখে স্কুলে ফোন করলে ছাত্ররা ছুটে গিয়ে তাদের আটক করে বিদ্যালয়ে নিয়ে আসে। পরে স্কুলে সালিশ বিচারে প্রেমিক সেলিমকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা ও লিখিত মুচলেখা নেয়া হয়।
এ খবর জনতা ও ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে ছড়িয়ে পড়লে চরম উত্তেজনা দেখা দেয়। শত শত ছাত্র ও জনতা বিক্ষোভ মিছিল করে বিদ্যালয়টি ঘেরাও করে সালিশ বিচারক, শিক্ষক, ম্যানেজিং কমিটির সদস্য ও প্রেমিক জুটিকে অবরোদ্ধ করে রাখে। এ সময় বিক্ষোভকারীরা স্কুলের দরজা, জানালা, শিক্ষকদের কয়েকটি মোটরসাইকেল ভাংচুর করে।
খবর পেয়ে গোপলার বাজার ফাঁড়ির পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দিতে ব্যর্থ হলে পরে নবীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ লিয়াকত আলী অতিরিক্ত পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে অবরোদ্ধদের উদ্ধার করে নবীগঞ্জ থানায় নিয়ে আসেন। থানায় প্রেমিক জুটি তারা কোন অভিযোগ দিতে অস্বীকৃতি জানায়। তারা সাংবাদিকদের জানায় একে অন্যকে বিয়ে করতে রাজি। তারা স্বীকারোক্তি দেয় স্বইচ্ছায় অভিসার করেছে।
এ ব্যাপারে নবীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ লিয়াকত আলী বলেন, কোন পক্ষই মামলা দেয়নি আমরা তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে এসেছি। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে এ ব্যাপারে আইনানুগ সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।