নতুন মুদ্রা চালু করছে আইএস
প্রকাশিত হয়েছে : ১০:১৮:৫৬,অপরাহ্ন ১২ নভেম্বর ২০১৪
অনলাইন ডেস্ক: পশ্চিম এশিয়ায় ধর্মীয় সাম্রাজ্যে প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে এবার সোনা ও রুপার মুদ্রা চালু করতে চলেছে আইএসআইএস (ইসলামিক স্টেট অব ইরাক অ্যান্ড সিরিয়া)।
ইরাকের মসুল শহরে এবং নিবাহ্ প্রদেশে সপ্তাহান্তের প্রার্থনায় এ কথা ঘোষণা করেছে আইএস। এক সময়ে পারস্যে প্রচলিত খাঁটি সোনা ও রুপার তৈরি দিনার মুদ্রার প্রচলন ছিল। এখনও কয়েকটি মুসলিম রাষ্ট্রে দিনার নামের মুদ্রা ব্যবহৃত হয়। তবে সোনা-রুপোর পরিবর্তে সস্তার ধাতু দিয়েই এখন তৈরি হয় দিনার। সম্ভবত ৬৩৪ খ্রিস্টাব্দে প্রথম দিনার মুদ্রার প্রচলন শুরু হয়েছিল।
আইএস’র দাবি, ঐতিহাসিক ওই মুদ্রা ধর্মের প্রতীক। দিনারের জন্ম হয়েছিল ধর্মীয় সাম্রাজ্য পরিচালনার সময়েই। ফলে পশ্চিম এশিয়ায় যে ধর্মীয় মানচিত্র আইএসরা আঁকতে চাইছে, সেখানে আসল সোনা-রুপার দিনার মুদ্রা চালু হলে তা আইএস সাম্রাজ্য কায়েমের লড়াইয়ে সিলমোহর লাগাবে। সন্ত্রাসের পাশাপাশি ওই এলাকায় আইএস দাপটের সামাজিক এবং অর্থনৈতিক আধিপত্য বিস্তার করতে পারবে। ইরাক ও সিরিয়ার যে অংশ আইএস দখল করে নিজেদের সংগঠনের নাম লেখা পতাকা উড়িয়েছে, সেই সব এলাকা থেকে ন্যূনতম নিয়ন্ত্রণটুকুও হারিয়ে ফেলবে সে দেশের প্রশাসন।
এ দিকে, ইরাকের সংবাদ মাধ্যমে আইএস-নেতা আবু বকর আল-বাগদাদির নিহত হওয়ার খবর প্রকাশিত হওয়ার তিন দিন পরেও মুখ খুলতে নারাজ পেন্টাগন। সূত্রের খবর, বাগদাদির মৃত্যু নিয়ে একশ শতাংশ নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত বিবৃতি জারি করতে চাইছে না মার্কিন প্রতিরক্ষা দফতর। ইরাকের মাটিতে অতিরিক্ত সেনা মোতায়েনের পর গত শনিবার নতুন করে হামলা চালায় আমেরিকা। বাগদাদের নিকটবর্তী আনবার প্রদেশে আইএস নেতাদের বৈঠক লক্ষ্য করে হামলা চললে কয়েক জন বড় আইএসনেতার মৃত্যু হয়। সম্ভবত তখনই মারা যান বাগদাদি। ২০১১ সালে আমেরিকা বাগদাদিকে ‘স্পেশ্যালি ডেজিগনেটেড গ্লোবাল টেররিস্ট’ তকমা দিয়ে তার মাথার জন্য এক কোটি ডলার পুরস্কার ঘোষণা করে। নতুন করে সেনা মোতায়েনের পর আইএসদের দখলে চলে যাওয়া তেল সমৃদ্ধ অঞ্চলের বেশি কিছুটা ইরাকের সেনা পুনরুদ্ধারও করেছে।
আমেরিকার পাশাপাশি আইএস-যুদ্ধে বড় পদক্ষেপ করেছে বৃটেনের বিশেষ বিমান বাহিনীও (স্পেশ্যাল এয়ার সার্ভিস বা স্যাস)। বৃটিশ র্যাপার থেকে জেহাদ-যুদ্ধে সামিল হওয়া জন ব্রিটিশ নাগরিক অ্যালেন হেনিং এবং ডেভিড হেইনসের মুণ্ডচ্ছেদে অভিযুক্ত। গত সপ্তাহেই স্যাসের একটি দল পশ্চিম এশিয়ার এক গোপন ঘাঁটিতে পৌঁছেছে।