নতুন বইয়ের ঘ্রাণে মাতোয়ারা চট্টগ্রাম
প্রকাশিত হয়েছে : ৮:৩৪:০৬,অপরাহ্ন ০১ জানুয়ারি ২০১৫
নিউজ ডেস্ক::
সারাদেশের মত চট্টগ্রামেও উৎসব মূখর পরিবেশে শুরু
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, হরতালের না থাকলে প্রতিটি স্কুলেই আরো উৎসবমুখর পরিবেশে বই বিতরণ করা যেত। আনুষ্ঠানিক আড়ম্বরতা না থাকলেও প্রতিকূলতার মধ্যেও প্রতিটি স্কুলে বছরের প্রথম দিন শিক্ষার্থীরা বই পাচ্ছে।
“আমি যখন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ছিলাম ২০০৩ সাল থেকে ২০০৬-০৭ সাল পর্যন্ত বছরের প্রথম দিন একটা-দুইটার বেশী বই দিতে পারি নাই। এপ্রিল-মার্চ পর্যন্ত বই দেওয়ার রেকর্ড রয়েছে। কিন্তু বর্তমান সরকারের আন্তরিক উদ্যোগের কারণেই বছরের প্রথম দিন সব বই শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেওয়া যাচ্ছে।”
মেজবাহ উদ্দিন বলেন, হরতালসহ বিভিন্ন কারণে কিছু স্কুলে এখনো পর্যন্ত শতভাগ বই পৌঁছায়নি। সেগুলোতে কয়েকদিনের মধ্যেই পর্যায়ক্রমে বই পাঠিয়ে দেওয়া হবে।
অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নাসরিন সুলতানা, সহকারি কর্মকর্তা (এডি) মো. জহির উদ্দিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মিউনিপ্যাল স্কুলের শ্রেণী ভিত্তিক মেধা তালিকা অনুসারে প্রথম শ্রেণীর বৃষ্টি আক্তার, দ্বিতীয় শ্রেণীর রূপা মজুমদার, তৃতীয় শ্রেণীর সুরাইয়া জাহাঙ্গীর (প্রমি), চতুর্থ শ্রেণীর মায়মুনা বিনতে অনিভা, পঞ্চম শ্রেণীর নাফিস হাসনাতের হাতে বই তুলে দেন জেলা প্রশাসক।
চট্টগ্রাম বিভাগীয় প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, ২০১৫ সালে চট্টগ্রামে প্রাথমিক পর্যায়ে বইয়ের চাহিদা ৫২ লাখ ২৮ হাজার ৭৬৪টি। জেলা ও নগরীর ৪ হাজার ১২০ স্কুলের ২ লাখ ১৫ হাজার ২৬৬ শিক্ষার্থীর কাছে এ বই পৌঁছানো হবে।
বৃহষ্পতিবার নগরীর বিভিন্ন স্কুল ঘুরে দেখা গেছে, নতুন বই নিতে ভোর থেকেই বিদ্যালয়গুলোতে হাজির হয় ছাত্র-ছাত্রীরা। শিক্ষার্থীরা মেতে ওঠে আনন্দ উৎসবে। এসময় নতুন বই হাতে পেয়ে পাতা উল্টিয়ে বইয়ের ঘ্রাণ নিতে দেখা গেছে শিক্ষার্থীদের।